Tuesday, January 12, 2016
জার্মানির লাইপজিগ শহরে মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভ
জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় লাইপজিগ শহরে মুসলিম বিরোধী এক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ নববর্ষের প্রাক্কালে কোলনে বহু নারীকে যৌন হেনস্তার জন্য দায়ী জার্মানিতে আসা অভিবাসীরা। জার্মানিতে লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবার কারণে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। ডানপন্থী সংগঠন পেগিডা মুভমেন্ট-এর কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন লাখ লাখ আশ্রয়প্রার্থীকে জার্মানিতে থাকার অনুমতি দিয়ে জার্মানদের জন্মভূমিকে দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বিনষ্ট করছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, নববর্ষ উদযাপনের প্রাক্কালে কোলনে নারীদের উপরে শ’খানেকের বেশি যৌন হামলার ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের প্রায় সকলেই অভিবাসী। তবে, পুলিশ মনে করছে কোলনে রোববারে বিদেশীদের ওপরে যে হামলা হয়েছে তার পেছনে মূলত উগ্রপন্থীরাই দায়ী এবং নববর্ষের উৎসবে নারীদের ওপর হামলার জের হিসেবেই এই হামলা করা হয়েছে। জার্মানীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মাইসিয়েরে বলেছেন, বিতর্ক বা দ্বন্দ্বকে সমাজে মেনে নিতে হবে। তবে সেটিকে সীমা অতিক্রম করতে দেয়া যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, "বিতর্ককে সয়ে নিতে হবে, তা যত কঠিন বিতর্কই হোক না কেন। কিন্তু সেই বিতর্ক যদি ঘৃণা ও সহিংসতায় পরিণত হয় তবে তা ওখানেই শেষ"। "রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদেরকে যখন বন্য জন্তু বলে গালি দেয়া হয়, যখন তাদের আশ্রয়স্থলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়, যখন রাজনীতিবিদদের বিশ্বাসঘাতক বলে অসম্মান করা হয়, আর যখন দেশের গণমাধ্যমকে ‘মিথ্যা সংবাদমাধ্যম’ বলে নিন্দ্ করা হয় তখন তা স্পষ্টতই অগ্রহণযোগ্য" বলেন মাইসিয়েরে। এদিকে এই মাসের শুরু থেকে প্রতিদিনই জার্মানি তাদের অনেক অভিবাসীকে অস্ট্রিয়াতে ফেরত পাঠাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যাদেরকে অস্ট্রিয়াতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তারা সিরিয় নাগরিক নয়, বরং তারা মূলত আফগানিস্তান, মরক্কো ও আলজেরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে।বিবিসি।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment