পাকিস্তানে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পদত্যাগ করেছেন।
তিনি পাকিস্তানের ১৮তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আগের ১৭জনের কেউই তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি।
অনেকেই মনে করছেন সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যেটা গণতন্ত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
অন্যান্যরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
অন্যান্যরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যেভাবে বেসামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, তারা এই ঘটনাকে সেই দীর্ঘ ইতিহাসের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছেন।
পনেরো মাস ধরে চলা মামলার শুনানি বিতর্কে জর্জরিত ছিল। এই মামলা হবার কথা ফৌজদারি আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট, যেটা একটি আপিল আদালত, প্রথমে মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
কিন্তু পরে তারা শুধু মামলাটি আমলেই যে নিলো, তাই নয়, তারা নিজেরাই একটি তদন্ত শুরু করলেন যেখানে সামরিক গোয়েন্দা সার্ভিসকে প্রধান ভূমিকা দেয়া হয়।
অনেকেই মনে করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সার্বিক অভিযান হয়তো স্বপ্নই রয়ে যাবে, তবে এই রায় হয়তো দেশে নতুন রাজনীতিকদের আগমনের পথ খুলে দেবে - যেটা অতীতেও প্রায়ই ঘটেছে।
- বিবিসি বাংলা
No comments:
Post a Comment