প্রেম কমবেশি প্রতিটা মানুষের জীবনেই আসে। কিন্তু সব প্রেম সফল হয় না। কিছু প্রেমের আয়ু খুব দীর্ঘ হয় না। অনেকেই প্রেমজীবনে ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। কিন্তু এই ব্যর্থতার কারণ কী? সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে কিছু প্রধান প্রধান কারণে এককালের প্রেমিক কালক্রমে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কোনও মেয়ের কাছে—
১. যখন সে নিজেকে একা পায়: একটা সম্পর্কে থাকার পরও যদি নিজেকে একা লাগে, তাহলে সে সম্পর্ক থাকার থেকে না রাখাই ভাল। তাই নয় কি? আপনার ব্যস্ততার কারণে যদি সে একা অনুভব করতেই থাকে, তাহলে খুব শীঘ্রই সে ডিপ্রেশনে চলে যেতে পারে। আর এই কষ্টে সে আপনাকে ছেড়ে যাবে। প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট একে অপরের সাথে ভালবেসে কথা বলুন। তাহলেই পার্থক্য দেখতে পারবেন।
২. বারবার ভুল বুঝাবুঝি: আপনারা যদি একে-অপরকে বারবার ভুল বুঝতে থাকেন, তাহলে আপনাদের মাঝে বিশাল এক দেয়াল গড়তে শুরু হবে। তাই যে কোন ভুলের সাথে সাথেই সেই ভুল ভাঙ্গিয়ে নেয়া উচিৎ। রাগ করে বসে থাকলে সম্পর্ক শুধু খারাপের দিকেই যাবে।
৩. অভ্যাসের দাসত্ব: অধিকাংশ মেয়েই প্রেমের ক্ষেত্রে অভ্যাসকে অপছন্দ করে। একই মেসেজ রোজ রাত্রে প্রেমিকাকে পাঠানো, প্রতি বছর তার জন্মদিনে একই ধরনের উপহার দেওয়া— এগুলো মন ভেঙে দেয় মেয়েদের। অভ্যাসের দাসত্ব করার অর্থ, রোম্যান্টিকতাকে বিদায় দেওয়া— এটাই অভিমত অধিকাংশ মেয়ের। আসলে নিত্যনতুন উপায়ে আকর্ষণ করতে হয় মেয়েদের মন। একই নিয়মে চলতে গেলে তারা হাঁপিয়ে উঠে।
৪. আপনি প্রেমিক হিসেবে সক্রিয়: আপনি কেয়ারিং হবেন, রোম্যান্টিক হবেন— এটা আপনার প্রেমিকা নিশ্চয়ই চান, কিন্তু আপনার প্রেমের বাড়াবাড়ি যদি তার স্বাধীনতায় বা স্বাচ্ছন্দ্যে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তা পছন্দ করেন না অধিকাংশ মেয়েই। তার চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময়ে আপনি তার সঙ্গে গেলেন, এতে আপনার বান্ধবী নিশ্চয়ই আপ্লুত হবেন, কিন্তু আপনি যদি রোজ তাঁকে অফিস থেকে পিক আপ করা শুরু করেন, তাহলে হয়তো অফিসের শেষে তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা মারতে চাইলেও, সেই কাজে বাধা পড়ে। কাজেই প্রেমের বাড়াবাড়িকে এড়িয়ে চলুন।
৫. কমিউনিকেশন গ্যাপ: প্রেমের শুরুতে একে-অপরের সাথে প্রতি মুহূর্তের কথা শেয়ার করা হয়, কিন্তু সম্পর্কের বয়স বাড়তে শুরু করলেই কথার ওজন ও কমে যায়। এতে করে আপনাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তে পারে। একসময় কথা বলার কোন টপিক খুঁজে না পেয়ে চলবে নিরব অভিমান। যা মেয়েদের সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলার প্রধান কারনের মাঝে একটি।
No comments:
Post a Comment