ভেনিজুয়েলায় নতুন সংবিধান প্রণয়নে ভোট বাতিলের দাবিতে সরকার বিরোধীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এতে কমপক্ষে দুইজন নিহত ও বহুলোক আহত হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, আগামী ৩০ জুলাইয়ের এ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার তার ক্ষমতায় থাকার সবধরনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছে। গত চারমাসে এ ধরনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১০৫ জন নিহত হয়েছে।
দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা লিউপোলদো লোপেজ এজন্য সামরিক বাহিনীর সহায়তা কামনা করে বলেছেন, তারা যেন সরকারের থেকে তাদের সমর্থন উঠিয়ে নেন। তিনি বলেন ,এটা কোন সাংবিধানিক নির্বাচন নয় বরং এটি একটি সাংবিধানিক ‘ধাপ্পাবাজি’। লোপেজ বলেন, সরকার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তার মাধ্যমে দেশ থেকে গণতন্ত্র পুরোপুরি উঠে যাবে। ১৫ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এজন্য দেশবাসীকে সর্বতোভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা এ প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় যে শপথ নিয়েছিলেন সেই দায়িত্ব পালনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েন। কেননা দেশ আজ এক বিরাট সংকটে নিপতিত। সরকারের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন শুধু দেশের ভিতরেই নয়,বাহির থেকেও এর জন্য চাপ আসছে। দেশটিতে এমন এক সময়ে এ ধর্মঘট হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশের ১৩ জন সিনিয়র নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের যে দিন ধার্য করা হয়েছে এর মাধ্যমে সেখানকার গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হবে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ধর্মঘট নিয়ে ব্যাপক রক্তারক্তির আশঙ্কায় হাজার হাজার লোক সেখান পার্শ্ববর্তী দেশ কলম্বিয়ায় পালিয়ে গেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটে বিভিন্ন স্থানে প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সড়ক -মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা দেখা যায়। অফিসগামী লোকজন পড়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। ব্যবসা-বাণিজ্যও প্রায় বন্ধ থাকে। এ ধর্মঘটের পর আজ শুক্রবার বিরোধীরা দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, তারা দেশের মাঝে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। আর এসব করছে তারা সরকার বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment