দেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। অনেকগুলো সুপার ডুপার হিট হওয়া সিনেমার নির্মাতা তিনি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেশ আয়োজন করেই শুরু করেছিলেন ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর শুটিং। বেশ কয়েক লটে সিনেমাটির দৃশ্যায়ন সমাপ্ত হয়েছে। ডাবিং এর কাজও প্রায় শেষের পর্যায়ে।
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খল-অভিনেতার খোলস পাল্টানো মনোয়ার হোসেন ডিপজল। লম্বা সময় বিরতি কাটিয়ে এই ছবির মাধ্যমে তিনি আবার চলচ্চিত্রে ফিরেছেন। তার বিপরীতে আছেন ঢাকাই ছবির প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। অন্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী ও বিদ্যা সিনহা মিম। আরো অভিনয় করেছেন আহমেদ শরীফ, দিলারা, অমিত হাসান, অরুণা বিশ্বাস, নাদির খান, ববি, জ্যাকি আলমগীর, শবনম পারভীন, ইলিয়াস কোবরা, সুব্রত প্রমুখ। প্রযোজনা করছে রাজেশ ফিল্মস।
এদিকে এ সিনেমার ডাবিং স্টুডিওতে নিজের সেলুলয়েডে দৃশ্য দেখে অবচেতন মনেই ‘লজ্জায় লাল হয়েছেন মৌসুমী’। ঘটনাটি ঘটেছে সাউন্ড কমপ্লেক্সে। হালকা আলোয় মৌসুমী বসে ছিলেন। এখানে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ সিনেমার ডাবিং করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর প্রযোজক নাদের খান সিনেমাটির একটি গান দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সিনেমাটির নায়িকা মৌসুমী এ নিয়ে বেশ আপত্তি তোলেন।
কিন্তু কেন? মৌসুমী জানান, গানটি তার সামনে দেখালে তিনি খুব লজ্জা পাবেন। তিনি চলে যাওয়ার পর গানটি দেখানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু উপস্থিত সবার অনুরোধে একসঙ্গে গানটি যখন শুরু করা হল তখন মৌসুমী লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রেখেছিলেন। গানটিতে মৌসুমীর সঙ্গে নাচছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গানটি দেখার পর উপস্থিত সবাই হাততালি দেন এবং প্রশংসা করেন।
এদিকে লজ্জা পাওয়ার কারণ হিসেবে মৌসুমী বলেন, গানটির শূটিং করতে গিয়ে আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। আর ডিপজল ভাই আরো বেশি লজ্জা পেয়েছিলেন। বাস্তবে উনি আসলে অনেক লাজুক। তিনি আমার সঙ্গে শট দিতে গেলেই লজ্জা পেতেন। কিন্তু একা শট দিতে কোনোরকম লজ্জা পেতেন না বরং খুব ভালো পারফরম্যান্স করেন।
‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এ মৌসুমীকে একজন প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। অটিস্টিক ভাই ও একমাত্র বোনকে নিয়ে যার জীবনযুদ্ধ। আর তার স্বামীর চরিত্রে থাকছেন ডিপজল।
উল্লেখ্য, রাজেশ ফিল্মস প্রযোজিত এ সিনেমার কাহিনী লিখেছেন নাদের খান। সংলাপ লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু। এখন ছবিটি মুক্তির পালা।
No comments:
Post a Comment