কফি উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। চলতি বছরে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ২০১৭ সালের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে ব্রাজিলের কৃষি পরিসংখ্যানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আইবিজিই। খবর এগ্রিমানি ও এজিওয়েব।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ব্রাজিলে সব মিলে ৫ কোটি ৩২ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে অ্যারাবিকা কফি উৎপাদন হতে পারে ৪ কোটি ১৪ লাখ ব্যাগ, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে বছর শেষে দেশটিতে রোবাস্তা কফি উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। এ সময় দেশটিতে সব মিলে ১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যাগ রোবাস্তা কফি উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সালে দেশটিতে প্রাকৃতিক কারণে অ্যারাবিকা কফি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটিতে অ্যারাবিকা কফির আবাদ আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। ব্রাজিলের এসপিরিটো সান্তো প্রদেশসহ কফি উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় বিদ্যমান খরা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ায় এসব অঞ্চলে পণ্যটির আবাদ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের (আইসিও) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ মৌসুমে ব্রাজিলে মোট ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যাগ অ্যারাবিকা কফি উৎপাদন হতে পারে। এ সময় পানীয় পণ্যটির মোট বৈশ্বিক উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। এবারের মৌসুমে অ্যারাবিকা ও রোবাস্তা মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ব্যাগ কফি উৎপাদন হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইসিও।
No comments:
Post a Comment