আপনি কি নিয়মিত চুলে রং করেন? তাহলে সাবধান! বিজ্ঞানীরা বলছে এখন হেয়ার ডাইয়ে এমন কিছু কেমিকেল মেশানো হচ্ছে যাতে হতে পারে ক্যান্সার। প্যারাবেন,অ্যামোনিয়ার মতে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো থাকে হেয়ার ডাইয়ে। তবে সেগুলি নিরাপদ মাত্রাতেই থাকে বলে দাবি করে কোম্পানি গুলি।
কিন্তু সবক্ষেত্রে কি সেগুলি মেনে চলা হয়! সাধারণ তিন রকমের হেয়ার ডাই ব্যবহার করে থাকেন সকলে। তারমধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় টেম্পোরারি বা অস্থায়ী হেয়ার ডাই। এই রং সাধারণ দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করার পরেই চলে যায়। অপেক্ষাকৃত কম রাসায়নিক মেশানো থাকে এই রংগুলিতে। গবেষকরা বলছেন অস্থায়ী হেয়ার কালার বা ডাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
যে হেয়ার কালার বা ডাই একটু বেশিদিন স্থায়ী হয় সেগুলিতে একটু বেশি মাত্রায় রাসায়নিক মেশানো থাকে। এই রং সাধারণ ৫ থেকে ১০ বার শ্যাম্পু করলে উঠে যায়। বলতে গেলে মাস খানেক স্থায়ী থাকে।
আর স্থায়ী বা পারমানেন্ট হেয়ার ডাইয়ের বিপদ সব থেকে বেশি। কারণ এতে সবথেকে বেশি রাসায়নিক মেশানো থাকে। এগুলি বেশি ব্যবহার করলে এলার্জি, গলায় সংক্রমণ, ফুসফুসে সংক্রমণ, চুল ওঠা, ড্রাই হয়ে যাওয়া, চুলকানি, চোখে সংক্রমণের মতো একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। এতে স্কিন ক্যান্সার বা ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রবণতা দেখা দেয়।
যে কারণে গবেষকরা বলছেন হেয়ার ডাই ব্যবহার করার সময় কিছু সাবধানতা মেনে চলুন। চুলে রং করার সময় সবসময় গ্লাভস বা দস্তানা পরে নেওয়া উচিত। খুব বেশি হেয়ার কালার বা ডাই ব্যবহার করবেন না। অস্থায়ী এবং সেমি টেম্পোরারি হেয়ার কালার ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হেয়ার ডাই বা হেয়ার কালার ব্যবহার করতে।
No comments:
Post a Comment