লক্ষ্য ছিল মাত্র ২১৭। তবু পেরে উঠল না জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে গেছে গ্রায়েম ক্রেমারের দল। এতে ৯১ রানের জয়ে রকেট ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত থাকল মাশরাফি বাহিনী।
এ জয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে অপ্রতিরোধ্যই থাকল টিম বাংলাদেশ। দুই দলের শেষ ১০ দেখায় প্রত্যেকবারই জয় পেল টাইগাররা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমন মিরে। তবে তাতে বাদসাধেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার অসাধারণ আউট সুইঙ্গারে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন মাসাকাদজা।
এর পর অতিথি শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। পর পর ২ বলে তিনি ফিরিয়ে দেন ওপেনার মিরে ও অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলরকে। এতে চাপে পড়ে তারা। সেই চাপের মধ্যে ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে ক্রেমার বাহিনীকে আরও চেপে ধরেন ম্যাশ।
এদিন যেন জোড়া উইকেট নিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বাংলাদেশ বোলাররা। সাকিব, মাশরাফির পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বিশেষজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দলীয় ৬৮ রানে পর পর দুই বলে তিনি ফিরিয়ে দেন পিটার মুর ও ম্যালকম ওয়ালারকে। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
এ অবস্থায় প্রতিপক্ষ শিবিরে ছোবল মারেন রিভার্স সুইং তারকা রুবেল হোসেন। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে গ্রায়েম ক্রেমারকে ফেরান তিনি।
একে একে সব ব্যাটসম্যান যাওয়া-আসার মধ্যে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে বুক চিতিয়ে লড়তে থাকেন সিকান্দার রাজা। অবশেষে তাকে বোল্ড করে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। দারুণ ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যান ফিরলে জয়ের সুবাস পেতে থাকে টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত ১২৫ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। সাকিবের পর জিম্বাবুইয়ানদের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকেন কাটার মাস্টার।
এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান।তার শিকার ৩ উইকেট। জোড়া উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, সানজামুল ও মোস্তাফিজ। বাকিটি ঝুলিতে ভরেন রুবেল।
এর আগে তামিম-সাকিবের শতরানের জুটিতে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে সাকিবের বিদায়ের পরই হঠাৎ পথ হারায় টাইগাররা। ২৩ রানের মধ্যে ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে তারা। সেখান থেকে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে ২১৬ পর্যন্ত নিয়ে যান টেলএন্ডাররা।
তামিম (৭৬) ও সাকিব (৫১) ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রান পর্যন্ত করতে পারেননি। ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করে ফেরেন সানজামুল। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ। অপর প্রান্তে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুবেল। শেষ ২ উইকেটে ৪৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। ৩ উইকেট নিয়ে তাতে সমর্থন জোগান কাইল জারভিস।
No comments:
Post a Comment