জৈবিকভাবেই পুরুষের চেয়ে শক্তিশালী নারীরা। সঙ্গত কারণে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন তারা।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রক্রিয়াতেই পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন না নারীরা। অধিকন্তু মহামারী, দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগময় পরিবেশেও পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন তারা। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে ছয় মাস থেকে চার বছর বেশি বাঁচেন।
নারীদের আয়ু বেশি হওয়ার নেপথ্যে কতগুলো কারণ উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। তাদের যুক্তি- ‘প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে সারভাইভ (বাঁচতে) করতে হয় তা শৈশবেই আয়ত্ত করে ফেলেন মেয়েরা। জিন বা হরমোনজনিত কারণেও দীর্ঘায়ু লাভ করেন তারা। তাদের শরীরে প্রবাহিত হয় এস্ট্রোজেন নামক হরমোন। এটি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অতিরিক্ত জীবনীশক্তি দান করে।’
গবেষণায় আমলে নেয়া হয় ২৫০ বছরের মৃত্যুহার। গবেষক দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ভার্জিনিয়া জারুলি বলেন, ‘দুই লিঙ্গের আয়ুর পার্থক্য নির্ণয়ে আমাদের গবেষণাটি অনন্য।’
গবেষণা প্রবন্ধটি প্রসিডিং অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র : জি নিউজ, ডেইলি মেইল।
No comments:
Post a Comment