ঢাকা থেকে বিমানে নিউ ইয়র্ক যেতে এখন সময় লাগে ২০ ঘণ্টারও বেশি। ১২ হাজার ৬৫৪ কিলোমিটারের এই পথ যদি মাত্র ১ ঘণ্টায় পার হওয়া যায়, কেমন হবে? শুনতেই তো অবিশ্বাস্য লাগছে, তাই না? আপাতত অবিশ্বাস্য মনে হলেও এতো দ্রুত বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়া যাবে, এমন বিমান আবিস্কারের মূলসূত্রটা পেয়ে গেছেন কানাডার একজন ইঞ্জিনিয়ার। চার্লস বোম্বারডিয়ার নামক ওই ইঞ্জিনিয়ারের আবিস্কৃত সূত্র মেনে যে বিমানটি বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তার নাম হবে ‘অ্যান্টিপড’। প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে দশজন যাত্রী উঠতে পারবে বিমানটিতে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশি যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়াল দিতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছেন বোম্বারডিয়ার। চার্লস বোম্বারডিয়ারের নকশা করা বিমান উড়বে ইলেক্ট্রিক শক্তির মাধ্যমে। বন্দুকের গুলির মতো প্রাথমিক গতি হবে এটির। হাইড্রোজেন পুড়িয়ে এবং তরল অক্সিজেন কম্প্রেস করে তৈরি হবে বিমানটির অবিশ্বাস্য গতি। চোখের পলকে নিউইয়র্ক ঘুরে আসতে পারবে ঢাকার মানুষ। যে রাস্তা পাড়ি দিতে এখন লাগে একদিন, মাত্র এক ঘণ্টায় সে রাস্তা পার হওয়াকে তো চোখের পলক বলাই যায়! বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত যাত্রাবাহী যে বিমানটি উড়ে, সেটির গতি ঘণ্টায় ৫৭০ মাইল। কিন্তু অ্যান্টিপড উড়বে ঘণ্টায় সাড়ে ছয় হাজার মাইল গতিতে! একই সঙ্গে যেতে পারবে চল্লিশ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে। বোম্বারডিয়ার যে স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন করেছেন, তা সত্যি সত্যি বাস্তব হতে আরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। তবে একদিন এটা সত্য হবে বলেই তার বিশ্বাস। অ্যন্টিপডের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভিতরে থাকা যাত্রীরা গতির সঙ্গে কিভাবে তাল মেলাবেন, তা নিয়ে চিন্তা করছেন তিনি ও তার দল।
সূত্র: কলকাতা
Monday, January 25, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment