নাম পালটে গেছে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের। তারা একীভূত হয়েছে দ্য গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট (জিআইএমএফ)-এর সঙ্গে। এ খবর দিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নজরদারি করা মার্কিন সংস্থা সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নতুন নাম- ‘জিআইএমএফ বাংলা টিম’। এর সঙ্গে সঙ্গে তারা জিআইএমএফ’র র্যাংকেও উন্নীত হয়েছে।
সাইটের বিবৃতিটির শিরোনাম ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জয়েনস জিআইএমএফ, রি-ব্র্যান্ডেড জিআইএমএফ বাংলা টিম’। ‘জিআইএমএফ বাংলা টিম’-এর লোগোও ব্যবহার করা হয়েছে। লোগোর নিচে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে- ‘দ্য ক্রিয়েশন অব দ্য জিআইএমএফ বাংলা টিম। ফলোইং দ্য মার্জার অব আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’।
ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেশন অব আমেরিকান সাইয়েন্টিস্ট (এফএআর) জানিয়েছে, গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট (জিআইএমএফ) মূলত আল কায়েদা সহ আরও কিছু চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একটা প্রচারযন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ সংগঠনটিকে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড গণমাধ্যম সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। মূলত, বিতরণের জন্য বিভিন্ন চরমপন্থি প্রচারপত্র তৈরির কাজ করে সংগঠনটি। ইন্টারনেটে চরমপন্থিরা যে কয়েকটি সংগঠন ব্যবহার করে তথ্য ছড়িয়ে দেয়, তার মধ্যে এটি একটি। এ সংগঠনের প্রধান সমপর্কে কোনদিন কোন ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। ২০১৩ সালের মার্চে আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে জিআইএমএফ’কে প্রথম শনাক্ত করা হয়। তখন একটি ইয়াহু অনলাইন গ্রুপে নিজেদের কৌশলপত্র প্রকাশ করে সংগঠনটি। সেখানে ইউরোপের দেশ স্পেনে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। তিন মাস পরই ওই হামলা হয়। তখন সংগঠনটি জিআইএম নামে পরিচিত ছিল। জিআইএম’র মাধ্যমেই আল কায়েদা নিজেদের বিবৃতি প্রকাশ করতো। আল কায়েদা এ সংগঠনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জঙ্গি সংগঠনটির অনুসারীদের কাছে তখন জিআইএম’ই ছিল একমাত্র যথার্থ উৎস! এছাড়া, আল কায়েদার নেতৃবৃন্দও অনুসারীদের জানায় যে, ইন্টারনেটে আল কায়েদার নামে প্রচারিত সকল তথ্য অবশ্যই জিআইএম’র ইয়াহু গ্রুপ হয়ে আসতে হবে। তবে ২০০৩ সালের পর জিআইএম’র ইয়াহু গ্রুপটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তার পর থেকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া যেতে থাকে জিআইএমএফ’র নামে আল কায়েদার প্রচারপত্র।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment