২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জিনেদিন জিদানের দুর্দান্ত এক গোলের সুবাদেই রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিল নবম শিরোপা। এক যুগ পর, ২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়ালের দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের মুহূর্তেও ডাগআউটে ছিলেন এই ফরাসি কিংবদন্তি। সেবার তিনি ছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তির সহকারী। আর এবারের মৌসুমে রিয়ালের একাদশতম শিরোপাটি এসেছে জিদানেরই প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। এ বছরের শুরুতে কোচের দায়িত্ব নিয়েই রিয়ালকে ইউরোপসেরার মুকুট পরিয়েছেন জিদান। দারুণ এই সাফল্যে দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সাত সদস্যের এক অভিজাত ক্লাবে।
এবারের আগে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের বিরল কৃতিত্বটা ছিল ছয়জনের। অভিজাত এই ক্লাবে জিদান যোগ দিয়েছেন সপ্তম সদস্য হিসেবে। ২০০২ সালে খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের পর এবারের মৌসুমে কোচ হিসেবেও ইউরোপসেরার মুকুট পরেছেন এই ফরাসি কিংবদন্তি।
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের প্রথম কৃতিত্বটিও ছিল রিয়াল মাদ্রিদের এক কিংবদন্তির। ১৯৫৬ সাল থেকে টানা তিনটি আসরে খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জিতেছিলেন মিগুয়েল মুনোজ। আর ১৯৬০ ও ১৯৬৬ সালে কোচ হিসেবেও তিনি জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।
এই ক্লাবের দ্বিতীয় সদস্য জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনি। ১৯৬৩ ও ১৯৬৯ সালে এসি মিলানের খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিলেন ইতালিয়ান এই মিডফিল্ডার। আর ১৯৮৫ সালে জুভেন্টাস প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরা হয়েছিল ত্রাপাত্তোনির তত্ত্বাবধানে।
কোচ হিসেবে সবচেয়ে সফল আরেক ইতালিয়ান কার্লো আনচেলত্তি। দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন তিনি। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এসি মিলানের হয়ে। আর ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। এর আগে ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে এসি মিলানের জার্সি গায়ে সফলতা পেয়েছিলেন সাবেক এই মিডফিল্ডার।
অভিজাত এই ক্লাবের পরবর্তী দুই সদস্যই নেদারল্যান্ডসের। ইয়োহান ক্রুইফ ১৯৭১ থেকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন অ্যাজাক্সের জার্সি গায়ে। আর ১৯৯২ সালে কোচ হিসেবে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতিয়েছিলেন বার্সেলোনাকে।
২০০৬ সালে কাতালানরা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিল আরেক ডাচ কোচ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের হাত ধরে। তার আগে ১৯৮৯, ১৯৯০ ও ১৯৯৫ সালে খেলোয়াড় হিসেবেও সফল হয়েছিলেন সাবেক এই ডাচ মিডফিল্ডার।
মিগুয়েল মুনোজের পর একই ক্লাবের কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি পেপ গার্দিওলা। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনার যে দলটি ক্রুইফের তত্ত্বাবধানে শিরোপা জিতেছিল, সেই দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন গার্দিওলা। আর বার্সেলোনার কোচ হিসেবে ইউরোপসেরা হয়েছিলেন ২০০৯ ও ২০১১ সালে।
No comments:
Post a Comment