এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিক্ষোভের মুখে ব্রাজিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের। এছাড়া নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা মোকাবিলায় ফেডারেল পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী গত শনিবার রিও ডি জেনিরোতে তার ছেলেবন্ধুর বাড়িতে যান। সেখানে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়, তাকে পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওযুধ খাইয়ে দেয়া হয়। এরপর অচেতন ওই মেয়েটিকে ৩০ জন মিলে ধর্ষণ করে।
রবিবার সকালে ঘুম ভাঙার পর ওই কিশোরী দেখে, তাকে অন্য একটি বাড়ির শোওয়ার ঘরে রাখা হয়েছে। তাকে ঘিরে রেখেছে বেশ কয়েকজন পুরুষ। ওই সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে সে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়।
ধর্ষণকারীরা মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, ওই ঘটনার কয়েকদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ধর্ষণের ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয় তারা। ধর্ষকরা সেখানে লিখেছে, ‘এটাই ব্রাজিলের সংস্কৃতি’।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই মেয়ের ছেলেবন্ধুসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে শনাক্তও করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। গণধর্ষণ ও ভিডিও পোস্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অনলাইন আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের নাম দেওয়া হয় ‘ব্রাজিলে ধর্ষণের সংস্কৃতি’। অনলাইন আন্দোলনকারী রাজপথে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী,গত শুক্রবার রাস্তায় নামেন তারা। রাজধানী রিও ডি জেনিরোসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের কারণে অচল হয়ে পড়ে গোটা শহর। সূত্র: বিবিসি
No comments:
Post a Comment