অনলাইনে আর দশটা পণ্যের মতো জলজ্যান্ত নারী যৌনদাসী হিসেবে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। জানা গেছে, সামরিক অভিযানে সিরিয়া ও ইরাকে কঠোর চাপের মধ্যে থাকা সংগঠনটির সদস্যরা আর্থিক সমস্যা সমাধানে বেপরোয়া আচরণ করছে।
আবু আসাদ আলমানি নামের আইএস যোদ্ধা ২০ মে এক নারীর ছবি পোস্ট করে সেই যোদ্ধা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলে, এটি সেই ভাইদের জন্য, যারা দাসী কেনার কথা ভাবছেন, এর দাম ৮ হাজার ডলার। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আইএস যোদ্ধার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি দেয়া হয়।
এর কয়েক সেকেন্ড পর ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই আরেকজন মেয়ের ছবিসহ নতুন একটি পোস্ট দেয়া হয়। কেঁদে চোখ ফোলানো ওই মেয়ের দামও ৮ হাজার মার্কিন ডলার। পাবলিশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পোস্টগুলো সরিয়ে ফেলে। কিন্তু ওই পোস্টগুলোর অস্তিত্ব আইএসের হাতে যৌনদাসী হিসেবে বন্দি শত শত নারীর ভয়াবহতাকেই প্রমাণ করে।
প্রতিদিন নতুন নতুন সামরিক হামলার আশঙ্কায় থাকার কারণে খাবার আর ওষুধের অভাবে পড়ে যাচ্ছে আইএসের বহু সদস্য। তাই কিছু টাকা কামানোর আশায় এই যৌন দাসীদেরকেই বিক্রি করে দিচ্ছে তারা, তাও আবার আধুনিক উপায়ে - অনলাইনে!
ফেসবুকে এই পোস্টের আগে থেকেই অনলাইনে যৌনদাসী বেচার কাজ করছে আইএস সদস্যরা। সামাজিক মাধ্যমে নারীদের এভাবে কেনাবেচার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক মাসে। এসব কেনাবেচা যেনতেনভাবে হয় না। এজন্য কিছু আনুষ্ঠানিক নিয়মকানুনও অনুসরণ করে ক্রেতা-বিক্রেতারা। যার মধ্যে রয়েছে-সর্বনিম্ন কত বছর বয়সের বন্দিকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এবং তাদেরকে কত বেশি মার দেয়া যাবে।
তবে ২০ মে-র আগে ছবিসহ যৌনদাসী বিক্রির ঘটনা ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন স্ট্যালিনস্কি বলেন, আমরা এর আগে আইএসের ব্যাপক বর্বরতা দেখেছি। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তারা যেসব বিষয় প্রচার করছে তা নিখাদ শয়তানি। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে যৌনদাসী কেনাবেচা এরই আরেকটি উদাহরণ। ওয়াশিংটন পোস্ট।
No comments:
Post a Comment