চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের একটি কক্ষে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবতার’ নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম ওরফে মানি খন্দকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আখতার মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২ জুন বৃহস্পতিবার স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামলায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বেলগাছি এলাকার আসিফসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে ওই তরুণী (২২) গত ১৭ মে সন্ধ্যায় সেখানে যান। রোগী দেখে বাড়ি ফেরার সময় তিন-চারজন সন্ত্রাসী প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই তরুণী ও তাঁর এক বন্ধুকে দোতলার একটি পরিত্যক্ষ কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আসিফ নামের একজন ওই তরুণীকে তাঁর বন্ধুর সামনেই ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দেরিতে জানাজানি হলে ‘মানবতা ফাউন্ডেশন’ ভিকটিম ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। ভিকটিম ও পরিবারের সদস্যরা আসামিদের ভয়ে মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করলে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অবস্থিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের ইনচার্জ ইল্লিন সুলতানা জানান, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিন হাসপাতালের এমএলএসএস সেলিমের কাছে পরিত্যক্ত ওই কক্ষের চাবি ছিল। তার কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবক আসিফ চাবিটি নিয়ে কক্ষটি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার নবাগত সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়নকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment