ইরাকের ফাল্লুজা নগরীতে নিরাপত্তা বাহিনীর যুগপৎ অভিযানে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর ৭০জন যোদ্ধাসহ কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জানা যায়, গত চার বছরে এই অঞ্চলে আইএস নির্মূলে কমপক্ষে ২০টি অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর যুগপৎ অভিযানের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার থেকে শত শত মানুষ এলাকা ছাড়ছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) গুরুত্বপূর্ণ অপর একটি ঘাঁটিতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ফাল্লুজা নগরীতে কমপক্ষে ৫০ হাজার বেসামরিক লোক এখনও আটকা পড়ে রয়েছে। তবে আলেপ্পোর কাছে আইএসের বিস্তারের ফলে তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ। মার্কিন নেততৃত্বাধীন জোট ফাল্লুজা এলাকার আইএসের এক গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে। তবে কখন তাকে হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
জোটের মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন বলেন, ফাল্লুজায় আইএসের কমান্ডার মাহের আল-বিলাবিসহ ৭০ এর বেশি শত্রু যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। দুই দিন আগে আইএস কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তবে এক ইরাকি কর্মকর্তা ও এক স্থানীয় কর্মকর্তা গত সপ্তাহে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন।
হাজার হাজার ইরাকি সৈন্য ফাল্লুজা পুনর্দখল করে নিতে গত ২২-২৩ মে অভিযান শুরু করে। ইরাকের যে দুটি নগরী এখনও আইএস নিয়ন্ত্রণ করছে তার মধ্যে একটি হল ফাল্লুজা ও অপরটি হল মসুল। ফাল্লুজায় প্রায় এক হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের ইরাকি পরিচালক নসর মুফলাহি বলেন, ‘ফাল্লুজার পরিস্থিতি দিনে দিনে গুরুতর হচ্ছে।’
অভিযানের আগে নিরাপদ করিডরের পরিকল্পনা করা হলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খুব কম সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক পালাতে সক্ষম হয়েছিল। শুক্রবার সবচেয়ে বেশি মানুষ পালিয়েছে।
পুলিশের লেফটেনেন্ট জেনারেল রায়েদ শাকির জওদাত বলেন, ‘আমাদের বাহিনী ৪৬০ জনকে সরিয়ে এনেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।’
স্থানীয় বাসিন্দা উম্মা ওমর বলেন, ‘আইএস আমাদের এমন খাবার দিয়েছিল যা কেবল প্রাণীরা খেতে পারে।’ তিনি তার পরিবারের ১০ জনেরও বেশি সদস্যের সঙ্গে পালিয়ে এসেছেন।
সীমান্তে ওপারে সিরিয়ায় আইএসের কার্যত রাজধানী রাকাতেও অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
Saturday, May 28, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment