শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন এর মনোবিজ্ঞানী লরা বারম্যান বলেন, প্রেমময় চুমোর অর্থ হল, আমরা একে অপরের পার্টনার এবং একসঙ্গে থাকবো। কিন্তু আপনি কি জানেন চুমোর অদ্ভুত ছয় স্বাস্থ্যগত উপকারিতা! আপনার জন্যে রইল চুমুর ছয় স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।
প্রতিরোধব্যবস্থা : এক ডাচ গবেষণায় বলা হয়, মাত্র ১০ সেকেন্ডের ফ্রেঞ্চ চুম্বনের মাধ্যমে একজনের মুখ থেকে অন্যের মুখে ৮০ মিলিয়ন জীবাণুর আদান-প্রদান ঘটে। এসব জীবাণুর কার্যকারিতা বন্ধ করতে দেহে প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার হয়। ২০১০ সালে মেডিক্যাল হাইপোথিসিস জার্নালে বলা হয়, দম্পতিদের চুমো গর্ভের শিশুকে সাইটোমেগালোভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে।
ডিমস্ফোটনে চুমো : মহিলাদের মতে, ডিমস্ফোটনের কাছাকাছি সময়ে চুমো তাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহিলা যখন গর্ভবতী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন চুম্বন তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। চুমোর মাধ্যমেই মহিলারা গন্ধ ও স্বাদের মাধ্যমে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে : ২০০৭ সালে এভোলুশনারি সাইকোলজি জার্নালে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে মহিলা-পুরুষ ফ্রেঞ্চ কিস দারুণ পছন্দ করেন। কিন্তু পুরুষরা স্বল্পমেয়াদি সম্পর্ক গড়তে ফ্রেঞ্চ কিসের সময় জিহ্বার সংযোগ বেশি ঘটাতে চান। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়, দুজনের মুখের স্যালিভা উভয়ের দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
সুখের হরমোন বৃদ্ধি করে : মানুষ যখন চুমো দেয়, তখন মস্তিষ্ক এন্ডোরফিনস হরমোন নির্গত করে যাতে সুখানুভূতির সৃষ্টি হয় এবং একের প্রতি অপরের ভালোবাসা বাড়ে। আবার এতে কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা কমে আসে। এটি বিষণ্নতার জন্যে দায়ী।
সম্পর্ক বাঁচিয়ে দিতে পারে : ২০১১ সালে কিনসে ইনস্টিটিউট স্টাডিতে বলা হয়, যারা বেশি বেশি চুমো খান, তাদের মাঝে যৌনতৃপ্তি তত বেশি থাকে। এদের সুখের মাত্রা অন্যদের চেয়ে তিনগুণ বেশি থাকে।
অনুভূতি থেকেই যায় : চুমোর অনুভূতি বহুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর প্রভাব আপনার মনে সুখ সৃষ্টি করে। তাই চুমো খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনের দুঃখ-কষ্ট দূর হতে বেশি সময় লাগে না। এই সুখানুভূতির স্থায়িত্ব যত বেশি হবে, আপনি তত বেশি দুঃখ থেকে দূরে থাকবেন।
No comments:
Post a Comment