সাইবার হামলার মাধ্যমে ইকুয়েডরের একটি ব্যাংক থেকে গত বছর হাতিয়ে নেওয়া ১২ মিলিয়ন ডলারের অধিকাংশ হংকংয়ে নিবন্ধিত ২৩টি কোম্পানির মাধ্যমে লোপাট হয়েছিল বলে জানা গেছে। সাইবার চুরির এ ঘটনায়ও সুইফট প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল।
ঘটনা সংশ্লিষ্ট আদালতে উত্থাপিত নথি ও আদালতের আদেশের অনুলিপি পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সাইবার চুরির মাধ্যমে হংকংয়ে নিয়ে যাওয়ার পর টাকাগুলো কোথায় গিয়েছিল তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে আদালতের নথিতে। ইকুয়েডরের বাঙ্কো দেল অসত্রো (বিডিএ) কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের প্রথম দিকে হংকংয়ের আদালতে ওই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। তাদের অভিযোগ, এই কোম্পানিগুলো ‘অনৈতিকভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
হংকংয়ে ৯ মিলিয়ন ডলার গিয়েছে এবং বাকি ৩ মিলিয়ন ডলার দুবাইসহ বেশ কয়েকটি দেশে গেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে জমা দেওয়া আরেকটি নথিতে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১১ হাজার ব্যাংককে যুক্ত করা সুইফট প্লাটফর্মের মাধ্যমেই ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়।
তবে সুইফট বলছে, তাদের সার্ভারের নিরাপত্তা কখনও বিঘ্নিত হয়নি। অর্থ চুরির ঘটনায় হংকংয়ের পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের আদালতেও মামলা করেছে ইকুয়েডরের ব্যাংকটি। অর্থ ছাড়কারী প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফার্গোকে বিবাদী করেছে তারা। এ মামলা বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, সুইফট বার্তা পেয়েই টাকা ছাড় করেছিল ওয়েলস ফার্গো। তবে তারাও এখন বুঝতে পারছে হ্যাকাররা ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment