Social Icons

Friday, September 30, 2016

নোবেল পুরস্কারের তারিখ ঘোষণা

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানসূচক পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত নোবেল পুরস্কার ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে এই পুরস্কারের কর্তৃপক্ষ রয়েল সুইডিশ একাডেমি। বার্তা সংস্থা এপি খবরটি নিশ্চিত করেছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, পুরস্কারের তারিখ ঘোষণার ঐতিহ্যে এবার খানিকটা ব্যতিক্রম হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সাধারণত যে সময় নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, এবার সেই পুরস্কার ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে গেছে।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ৩ অক্টোবর ওষুধ, ৪ অক্টোবর রসায়ন, ৫ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৭ অক্টোবর শান্তি ও ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। আর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ১৩ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। অবশ্য পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।

দিল্লিসহ ভারতের ছয় রাজ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় দিল্লিসহ ছয় রাজ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' নামের অভিযানের পর ভারত আশঙ্কা করছে 'প্রতিশোধ' নিতে হামলা করতে পারে পাকিস্তান। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সীমান্তবর্তী ছয়টি প্রদেশে 'হাই অ্যালার্ট' জারি করেছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সতর্কতা জারি করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, দিল্লি ছাড়া সতর্ক অবস্থা জারি করা অন্য রাজ্যগুলো হচ্ছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। সতর্ক অবস্থার আওতায় থাকছে শিল্প এলাকা, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন, ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
খবরে আরো বলা হয়, সতর্কতার অধীনে থাকছে ঐতিহাসিক তাজমহল, লালদুর্গ এবং দেশটির পূজামণ্ডপগুলো।
এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, "পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে।"
এ ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসজুড়ে সতর্ক অবস্থা জারি থাকতে পারে। 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন দেখা হবে। চলতি মাসেই দীপাবলীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব আছে ভারতে। আর এ কারণে পুরো অক্টোবরেই এ ধরনের সতর্ককতা জারি থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এলাকায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারতের দাবি 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' নামে অভিযান চালিয়েছে তারা। তবে পাকিস্তান একে বলছে, এলওসির 'সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন'। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের দুই সেনা সদস্য নিহত হন। জবাবে ভারতের এক সেনাকে আটক করে পাকিস্তান।
এ ঘটনায় পাকিস্তান দাবি করেছে ভারতের আটজন সেনা নিহত হয়েছে। তবে তা অস্বীকার করেছে ভারত।

সিঙ্গাপুরে জিকা আক্রান্ত বাংলাদেশিরা ঝুঁকি মুক্ত

সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ১৯ জন বাংলাদেশি জিকায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তারা প্রায় সবাই এখন সুস্থ। ধীরে ধীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব নেগেটিভ হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামণ রোগ নিয়ন্ত্রণের (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে যে কয় জন বাংলাদেশি জিকায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সে দেশে ভালো চিকিৎসা পেয়েছেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এখনো তারা মনিটরিংয়ে রয়েছেন। ফলে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের ভীতি নেই।
সিঙ্গাপুরে জিকায় বাংলাদেশি নাগরিক আক্রান্তের খবর প্রকাশের পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। এরপর মালয়েশিয়ায়ও এ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মেলে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদেরও স্ক্যানিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সমন্বিত বিশেষ টিম বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করে। এছাড়া সিঙ্গাপুর বা অন্য কোনো দেশে জিকায় আক্রান্ত কোনো বাংলাদেশিকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ডা. শামসুজ্জামান বলেন, দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে শাহজালাল বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন যাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। উপসর্গ না থাকলেও শরীরে বয়ে আনা বাহক থেকে পরবর্তী সময়েও জিকার প্রকাশ ঘটতে পারে। এ কারণে এসব দেশ থেকে অাসা যাত্রীদের হেলথ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যেখানে উপসর্গ এবং লক্ষণ উল্লেখ করা রয়েছে। কোন ধরনের লক্ষণ দেখলেই সেই কার্ড নিয়ে তারা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যাবেন। যদি জিকা শনাক্ত হয় তবে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় আমরা ঝুঁকিমুক্ত নই।

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয় নারী

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করতে অনেক নারীকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে নারীদের বিষণ্ণতার আশঙ্কা তৈরি হয় বলে মনে করছেন গবেষকরা। সর্বশেষ এ গবেষণাটি করেছেন ডেনমার্কের গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিষণ্ণতা মূলত একধরনের মানসিক সমস্যা। এ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বহু কারণ রয়েছে। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভনিরোধক ওষুধও বিষণ্ণতার কারণ।
বহুদিন ধরেই নারীরা গর্ভনিরোধের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করছেন। এটি মূলত হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। আর এ হরমোরনের তারতম্যের কারণেই বিষণ্ণতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষণ্ণতার সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির এ সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায়। গবেষকরা জানান, প্রায় এক মিলিয়ন নারীর ওপর গবেষণায় এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে এ গবেষণাটি করা হয়েছে। এতে অল্পবয়সী নারী থেকে শুরু করে বয়স্ক নারী পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গবেষকরা জানান, যে নারীরা গর্ভধারণ রোধ করতে পিল সেবন করেন তাদের ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে বিষণ্ণতার জন্য ওষুধ দিতে হয় বলে দেখা গেছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন শুরুর প্রথম ছয় মাসে এ বিষণ্ণতার প্রভাব দেখা যায়।
তবে শুধুমাত্র যে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি যারা সেবন করেন শুধু তাদেরই বিষণ্ণতার প্রবণতা দেখা যায়, তাই নয়। গর্ভধারণ রোধে ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানেও এ বিষণ্ণতা হতে পারে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে ইমপ্ল্যান্টস, প্যাচেস ও জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা বিভিন্ন পদ্ধতি যারা ব্যবহার করেন তাদের মাঝেও সীমিত পর্যায়ে বিষণ্ণতা হতে পারে। এক্ষেত্রে যে নারীদের বয়স কম, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
এ গবেষণার জন্য ডেনমার্কের ১৫ তেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রায় এক মিলিয়ন নারীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাদের ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন অজভিন্ড লিডেগার্ড। তিনি জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করা নারীদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একই বয়সের পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবে বয়ঃসন্ধিতে আসার আগ পর্যন্ত এ হার একই থাকে।
গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে।

পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ ঘোষণা

উরিতে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' অপারেশনের ঘটনায় পাল্টা হামলা চালানোর কথা ভাবছে পাকিস্তান।

এই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বিনোদন জগতেও।

কিছুদিন আগে ভারত থেকে পাকিস্তানি শিল্পীদের ফেরত পাঠানোর কথা উঠেছিল।

এবার পাকিস্তানে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির হল মালিকরা। খবর ডন'র।
 
করাচির নুপ্লেস ও আট্রিয়াম সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা তাদের হলে কোনো ভারতীয় ছবি প্রদর্শন করবে না। বর্তমানে সেখানে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত পিঙ্ক ছবি চলছে।
 
নুপ্লেক্স সিনেমা নিজেদের ফেসবুক পেজে জানায়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তারা কোনো ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শন করবে না।
 
অ্যাট্রিয়াম সিনেমাসও তাদের ওয়েবসাইটে একইরকম ঘোষণা দেয়।  

ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পরমাণু বোমা

পাকিস্তানের কাছে থাকা ১৩০টি পরমাণু বোমার সবগুলিই ভারতের দিকে তাক করে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবেলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কংগ্রেসের স্বায়ত্তশাসিত শাখা কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস-সিআরএসের ২৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়ে ভয়ংকর ও উদ্বেগজনক তথ্য রয়েছে।

সিআরএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে থাকা ১১০ থেকে ১৩০টি পরমাণু বোমা সবকটিই যে কোনও মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য তৈরি। পাকিস্তান যে সব সময়েই পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, সেটাই প্রমাণ করে এই প্রস্তুতি।

মার্কিন গবেষকরা ওই প্রতিবেদনে আশংকা জানিয়ে বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে কোনও রকম আক্রমণের সম্ভাবনা দেখলেই পাকিস্তান পরমাণু হামলা চালাতে পারে। সেই কারণেই সবকটি পরমাণু বোমা সক্রিয় করে রাখা রয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রতিবেদনের এই ভাষ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে পাকিস্তানী প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফের ভাষ্যে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বেসরকারি 'সামারা' টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তান নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিতবোধ করলে ভারতে পারমাণবিক হামলা চালানো হবে।

তিনি আরও বলেন, 'পাকিস্তান তার কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার গড়ে তুলেছে। এগুলো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এসব পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শনীর জন্য শোকেসে তুলে রাখা হয়নি। যদি আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও হুমকির সম্মুখীন হই তাহলে এসব অস্ত্র তাদের (ভারত) প্রতি নিক্ষেপ করা হবে।'

তবে পাকিস্তানের মোকাবিলায় ভারতও নিজেদের পরমাণু বোমার সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাকিস্তান তার নিরাপত্তার জন্য যা প্রয়োজন তাই করবে: নওয়াজ

পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যা কিছু করা দরকার তার সবই করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর ডনের।

নওয়াজ শরিফ বলেন, আমরা সবাই আমাদের মাতৃভূমিকে যে কোন আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতের হামলার বিষয়ে জরুরি আলোচনার জন্য শুক্রবার পকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

মন্ত্রিরিষদের বৈঠকে ভারতীয় সেনাদের আগ্রসন রোখে দেয়া জন্য পাকিস্তানী সেনাদের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

এতিম শিশুকে পতিতালয়ে নিয়ে গণধর্ষণ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চাচাত বোনের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে এসে ১২ বছরের এক এতিম শিশুকে পতিতালয়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছে ভগ্নিপতি ও তার সহযোগীরা। 
  
সোমবার রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাণিজ্যিক কেন্দ্রের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হাওরের এক পতিতালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 
  
ওই শিশুকে গ্রাম্য সালিশের নামে আটকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া কোনো আইনি সহায়তা নিতে দিচ্ছে না ধর্ষকরা। 
  
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের পিতৃহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের কাছে থাকা ১২ বছরের শিশুকে সোমবার তার চাচাত বোনের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাদাঘাটের কুনাট গ্রামে তার স্বামী আলমাসের বাড়িতে নিয়ে আসে। 
  
ওই দিন রাতে আলমাস ওই শিশুকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের হাওরে থাকা একটি চিহ্নিত পতিতালয়ে নিয়ে যায়। 
  
রাতে ভগ্নিপতি আলমাসসহ কমপক্ষে ছয়জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে রক্ষক্ষরণ হয়ে শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। 
  
বুধবার রাতেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে দ্বিতীয় দফায় গণধর্ষণ করে ওই ছয়জন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ওই পতিতালয় থেকে পালিয়ে কিশোরী পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে তার এক চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। 
  
স্বজনদের কাছে গণধর্ষণের কথা জানালে ভগ্নিপতি আলমাস, তার সহোদর আক্তার ও রতনসহ ধর্ষকরা গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য চাপ দেয়। 
  
শুক্রবার সকালে ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে চাইলেও বাধা দেয় তারা। এমনকি থানায় অভিযোগ না করতে হুমকি দেয়। 
  
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে এ প্রতিনিধিকে শিশুটি তার স্বজনের মোবাইলফোনে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। 
  
বাদাঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রেনু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলমাস আমার কাছে এসেছিল।' 
  
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল্লাহকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি যুগান্তরকে বললেন, ঘটনা সত্য হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দেয়া হবে।

ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বোন ধর্ষিত

বন্ধুর শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ বোনদের নিয়ে এসে চোখের জলে ভাসতে হচ্ছে ভাইকে। কখনো কল্পনাও করেনি বোনের ইজ্জত এভাবে হরণ করা হবে। 
  
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামে। 
  
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামের ইউনুছ মিয়ার মেয়ে মাসুদা বেগমের বিয়ে ছিল। বিয়েতে মাসুদার দুলাভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে রুশন মিয়া দাওয়াত করেন তার বন্ধুকে। 
  
দাওয়াত পেয়ে তার দুই বোনকে নিয়ে বেড়াতে শিয়ালউড়ি গ্রামে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ওই বন্ধু। বিয়ের পর দুই বোনের থাকার জায়গা দেয়া হয় ইউনুছ আলীর ভাই মধু মিয়ার ঘরে। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের নেশা জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে দুই বোন এক সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। 
  
তখন মধু মিয়ার মেয়ের জামাই উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আনন্দগ্রামের আলী হোসেনের ছেলে নুর আলম ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন নুর আলমকে আটক করে। 
  
পরে নুর আলমের স্বজনরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সকালে বোনকে সঙ্গে নিয়ে মাধবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই বন্ধু। 
  
তিনি বলেন, 'কখনো ভাবিনি আমাদের সঙ্গে এমন করা হবে। বন্ধুর দাওয়াতে এসে আমার বোনের ইজ্জত যাবে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।' 
  
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আশীষ কুমার মৈত্র জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষাছাড়া কিছু বলা যাবে না। 
  
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
  
মাধবপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতাদির হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়ের মা-বাবা আসলে তাদের বক্তব্য শুনে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

মুন্সীগঞ্জ দুর্ঘটনা : ৬০ফুট পানির নিচে গাড়ি সনাক্ত, রেকার তলব

মুক্তারপুর সেতুর রেলিং ভেঙ্গে পড়ে যাওয়া কারটি শনিবার ৬০ ফুট পানিরে নিচে সনাক্ত করে রশি বাধা হয়েছে। এটি টেনে উঠানোর জন্য রেকার তলব করা হয়েছে। তবে গাড়ির ভেতরে লাশ আছে কি না তা নিশ্চিত করেনি ডুবরী।
 
মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য মো. মোশারফ হোসেন জানান, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মালিকের পুত্র জালাল উদ্দিন ভূইয়া রুমী (২০)।
 
ডুবরীদের বরাত দিয়ে মোশারফ হোসেন জানান, কারটির ভেতরে লাশটি থাকতে পারে। তবে কার উদ্ধার না করে এটি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রুমী নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুর রউফের পুত্র। রাতে চালক মো. রুবেলকেসহ রুমি কারটি নিয়ে মুক্তারপুর সেতু ঘুরতে আসে।
 
চালক রুবেল জানান, সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে তাকে (চালককে) নামিয়ে রেখে রুমী নিজেই গাড়িটি ড্রাইভ করছিলেন। ব্রিজের উপরেই টোল প্লাজা থেকে ইউ টার্ন করার কথা বলে কারটি নিয়ে একাই চালাচ্ছিলেন। ইউ টার্ন করে ঘুরে আসার পথেই গাড়িটি নিয়ে রেলিং ভেঙ্গে পড়ে যায়। কারটি গত ঈদের কয়েক দিন আগে কেনা হয়েছিল। রুমী কলেজ ছাত্র। নারায়ণগঞ্জের কালী বাজারে বাবার স্যানাটারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাঝে মাঝে বসতেন।
 
শুক্রবার মধ্যরাতে কারটি সেতুর উত্তর প্রান্তের টোল প্লাজা পার হয়ে সেতুর মাঝামাঝি স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পশ্চিম দিক দিয়ে পরে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরীরা ঘটনাস্থলে রাতে আসলেও তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরা পরীক্ষা করে অ্যালিয়েন কোম্পানির কারটি সম্পর্কে ধারনা নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
 
সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবরী হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার রাত ২ টার দিকে নদীর প্রায় ৬০ ফুট পানির নিচের তলদেশ থেকে নিখোঁজ মাইক্রোবাসটির বাম্পার পাওয়া যায়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার কাজ স্থগিত হয়। পরে আবার শনিবার সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
 
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার এই সেতু এলাকায় রুমীর পরিবারের সদস্যদের আহাজারি চলছে।

রাশিয়া সিরিয়ান বিদ্রোহীদের জঙ্গিতে পরিণত করছে : যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়া সিরিয় সরকারকে অস্ত্র ও অন্যান্য উপায়ে সাহায্য করায় সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জঙ্গি গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র এ দাবি করেন।
 
মার্ক টোনার জানিয়েছেন, রাশিয়া-সিরিয়ার যৌথ বিমান হামলা কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যা এই ইস্যু নিয়ে আরো 'ধোঁয়াশা' তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র হয়ত আর কোন যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে না।
 
এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সিরিয়ার একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের বিবৃতি দিয়ে আসছে। তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) লক্ষ্য দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
 
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরোভ বলেন, শক্তিশালী জাভাত ফাতেহ আল-সাম (আল নুসরা ফ্রন্ট) এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী থথেকে সিরিয়ার ভিন্নমতালম্বী বিদ্রোহীদের পৃথক করার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। বিবিসি।

মেক্সিকোতে সামরিক গাড়িবহরে হামলায় নিহত ৫

মেক্সিকোতে সামরিক গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১০জন। শুক্রবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
 
পুলিশ ধারণা করছে হামলার পেছনে মাদক সম্রাট এল চ্যাপোর হাত থাকতে পারে। হামলায় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মাদক মামলায় জড়িত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটিকে পাহারা দিচ্ছিল পুলিশের গাড়ি। সেই গাড়িবহরেই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
 
দেশটির জেনারেল আলফ্রোনসো দুয়ার্তে বলেন, আমরা এখনো জানিনা কারা এই হামলা চালিয়েছে। তবে তারা এল চ্যাপোর লোক হয়ে থাকতে পারে। এবিসি নিউজ ও রয়টার্স

বাবা-মাকে হত্যার পর ১৭ প্রতিবেশীকে হত্যা

টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বাবা-মাকে খুন, এরপর অপরাধ ঢাকতে আরো ১৭জন প্রতিবেশীকে খুন করেছেন চীনের এক নাগরিক। সম্প্রতি দেশটির পুলিশের কাছে নিজেই একথা স্বীকার করেছেন ইয়াং কিংপি নামে ওই নাগরিক।
 
খুন করা প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন তিন বছরের শিশুও ছিল। ছিলেন একজন ৭২ বছরের বৃদ্ধ। চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, নিহতরা ৬টি পরিবারের সদস্য ছিল। তবে ঠিক কিভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবিসি

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সমাধান চান বান কি-মুন

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলতি উত্তেজনার সমাধান চান জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। ভারত-পাকিস্তানের চলমান সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকতে চান বান কি-মুন। পরমাণু শক্তি সম্পন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্র দু'টিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি।
 
শুক্রবার বান কি-মুনের এক মুখপাত্র জাতিসংঘ থেকে জানায়, ভারতের উরি এলাকার সেনা ঘাঁটিতে হওয়া হামলাকে কেন্দ্র করে লাইন অব কন্ট্রোলে শুরু হওয়া পাকিস্তান-ভারতীয় সৈন্যদের গোলাগুলি ও অবস্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
 
উভয় পক্ষকে 'সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের' মাধ্যমে এবং 'সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের' আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ভারত ও পাকিস্তান অনুমতি দিলে আমাদের সবচাইতে দক্ষ কর্মীরা বিষয়টির সমাধান নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী।
 
সেই সঙ্গে এই দুই দেশ 'শান্তি বজায় রেখে আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে' কাশ্মির ইস্যুতে সমাধানে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকম।

বিমান কিভাবে আকাশে উড়ে

পাখির মত ডানা মেলে উড়বার শখ মানুষেরআদিকাল থেকেই। ছোটবেলায় অনেকেরই এইম-ইন লাইফ থাকে পাইলট হবার। জাহাজের মতো একটা প্রকান্ড জিনিস না হয় পানিতে ভেসে থাকলেও আমরা অবাক না হয়ে থাকলাম, কিন্তু বিমানের মত কয়েক হাজার টনের একটা বস্তু দিব্যি হামিং বার্ডের মত আকাশে উড়ে বেড়ালে অবাক নালাগলেও ঈর্ষা তো লাগে মাস্ট। ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনন্য সাফল্য এই বিমান বা উড়োজাহাজ। চলুন তাহলে মনের খিদা মেটাই-
বিমান কিভাবে উড়ে তা জানতে চাইলে আগেজানতে হবে বিমান কোথায় উড়ে? বাতাসে! আর এই বাতাস হলো বিজ্ঞানের ভাষায় ফ্লুইড (Fluid)। পানি যেমন ফ্লুইড ঠিকতেমনি বাতাস ও ফ্লুইড। কাজেই একটা ঈগলের কিংবা একটি বিমানের আকাশে উড়া অনেকটা একটা হাঙ্গরের পানিতে সাঁতার কাটার মতই। এ কারণেই এরোডাইনামিক্সের বিভিন্ন টেস্ট আকাশে না করে প্রথমে পানির নিচে করা হয়। একটা বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন সেটি ৪টি এরোডাইনামিক্স বল অনুভব করে।
১। ওজন-যা নিচের দিকে ক্রিয়া করে অভিকর্ষ বলের কারণে,
২। লিফট-উপরের দিকে,
৩। ড্র্যাগ(Drag)-প িছনের দিকে (একটি লাঠিকে যদি বাতাসে বা পানিতে এদিক-ওদিক নাড়ানো হয়, তবে যে বল বাঁধাদেয়ার চেষ্টা করে সেটাই ড্র্যাগ। অর্থাৎ বাতাসের বাঁধাজনিত বল।)
৪। থার্স্ট (Thrust)-সামনের দিকে।
স্পষ্টতঃ ১ ও ৩ নং বল হচ্ছে প্রাকৃতিক এবং ২ ও ৪ নং হচ্ছে কৃত্রিম, যা এদের বিপরীতে ক্রিয়া করে এবং যা বিমানকে ফুয়েল খরচ করে পেতে হয় ওজন এবং পশ্চাতমুখী টান (Drag) এরবিপরীতে ভেসে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
এবার আসা যাক কিভাবে বিমান এই ২ ও ৪ নং বল সৃষ্টি করে।
লিফটঃ
যে বল উড়োজাহাজকে তার ওজন বা অভিকর্ষবলের বিরুদ্ধে উড্ডয়ন করতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই এটি একটি উর্ধ্বমুখী বল।
আমরা জানি, যেকোন ফ্লুইডের বেগ তার প্রবাহের পথে প্রযুক্ত চাপের সমানুপাতিক, অন্যকথায় তার প্রবাহ পথের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক( V=Q/ A)। ঠিক যেমন বৈদুতিক বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ রোধের ব্যস্তানুপাতিক। যদি প্রবাহের পথে কোন বাঁধার থাকে অর্থাৎ প্রবাহ পথ Narrow হয়ে যায় তবে প্রবাহের বেগ বৃদ্ধি পায় এবং চাপ হ্রাস পায়। একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে-একটা নল দিয়ে যখন পানি আসে তখন নলটা যদি চেপে ধরা হয় তবে পানির বেগ অনেক বেড়ে যায় কিন্তু চাপ হ্রাস পায়।একই নীতি ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিনের কার্বুরেটর কিংবা যেকোন স্প্রে(যেমনঃ এরোসল, বডি স্প্রে)’র ক্ষেত্রে। এই নীতির নাম ‘ভেঞ্চুরী নীতি (Venturi Principle)’, যা কিনা ফ্লুইড মেকানিক্সের বিখ্যাত বার্ণোলীর ইক্যুয়েশানের (Bernoulli’sEquation) ব্যবহারিক রূপ।
বিমানের যে ডানা থাকে তার নাম উইং (Wing) বা এয়ার ফয়েল (Air Foil)। বিমানের ডানার আকার তো সবাই জানে-একটু বাঁকানো ধরণের। যখন ই একটাবিমান সামনের দিকে চলতে শুরু করে তখনএর ডানা বায়ুকে দু’টি স্তরে ে বিভক্ত করে ফেলে-একটি ডানার উপরের স্তর, অন্যটি নিচের। এখন ডানার উপরের বিশেষধরণের অর্ধবৃত্তাকার বা অধিবৃত্তাকার আকৃতির কারণে এর উপর দিয়ে যে বায়ু স্তর অতিক্রম করে তা বাঁধা পায় বা কম আয়তনের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে বার্ণোলী নীতি অনুসারে এই বায়ু স্তরের বেগ বৃদ্ধি পায় কিন্তু চাপ হ্রাস পায়। পক্ষান্তরে ডানার নিচের তলটি সমতল বলে বায়ুস্তরের বেগ বা চাপ পরিবর্তন হয় না। সুতরাং যেহেতু ডানার উপরের বায়ুচাপ অপেক্ষা নিচের বায়ুচাপ বেশী,স্বাভাবিকভাবেই বিমানটি বায়ুর চাপে ওজনের বিপরীতে উপরের দিকে উঠবে। একেইলিফট বলে। প্রাথমিক অবস্থায় ভূমি থেকে উঠার সময় অনেক বেশী লিফট প্রয়োজন হয় বলেই বিমান ভূমি থেকে টেকঅফ করার সময় তির্যকভাবে উঠে। কারণ যতবেশী তির্যকভাবে ডানা বা উইং গুলোকে বাতাসে মুভ করানো যাবে তত বেশী লিফট পাওয়া যাবে। এখন নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কেন টেক অফের আগে বিমানকে রানওয়েতে অতদূর চলতে হয়। কারণ এ সময় ধীরে ধীরে বিমানের বেগ বাড়তে থাকে বলে লিফটও বাড়তে থাকে এবং একটা নির্দিষ্ট বেগে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করলেই লিফট বল বিমানের ওজনের চেয়ে বেশী হয় এবং বিমান ফাইনাল টেক অফ করে। বিমানকে যখন ল্যান্ডিং-এর প্রয়োজন হয় তখন বিমানের ডানা দু’টিকে নিচের দিকে বাঁকা করা হয়। ফলে এখন ডানার নিচের বায়ুর চাপ ধীরে ধীরে কমতে থাকেএবং বিমান উচ্চতা হারিয়ে নিচের দিকে নামতে শুরু করে।
থার্স্ট(Thurst) :
বিমান তো আকাশে উঠলো, কিন্তু বাতাস তোএকে পিছনের দিকে Drag করে নামিয়ে দিতে চাইবে। কাজেই এই বলকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে চাই বল বা থার্স্ট। এ বল নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র কাজে লাগিয়ে সৃষ্টি করা হয়। বিমানের ইঞ্জিন থাকে এর ডানায়। বিমানের উইং বা ডানায় জেট ইঞ্জিনচালিত কম্প্রেসর ঘুরলে বাইরেরবায়ু প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিনের ভিতরে প্রবেশ করে। ইঞ্জিনে ২টি চেম্বার থাকে। একটি কম্বাসচন চেম্বার, অন্যটিএয়ার চেম্বার। এই দুই চেম্বার থেকে প্রচন্ড বেগে বের হওয়া এক্সহস্ট গ্যাস পিছনের বায়ুতে আঘাত করে, ফলে নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে পিছনের বায়ু থার্স্ট প্রয়োগ করে বিমান কে সামনের দিকে চলতে সাহায্য করে।
ইঞ্জিনে প্রবিষ্ট বায়ুর প্রায় ৮০% এয়ার চেম্বারের মধ্য দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায় এবং থার্স্ট তৈরী করে। অবশিষ্ট ২০% বায়ু দুইটি কাজ করে।
১. কম্প্রেসড হয়ে কম্বাসচন চেম্বারে প্রবেশ করে এবং ফুয়েলকে জ্বলতে সাহায্য করে। এই ফুয়েল জ্বালানীর ফলেউৎপন্ন গরম গ্যাস প্রচন্ড বেগে বের হয়ে যাওয়ার সময় কম্প্রেসরের টার্বাইনকে ঘুরায়, যা প্রকারান্তরে এর সাথে কাপল্ড সাকশান ফ্যানকে ঘুরতেসাহায্য করে, যার ফলে নতুন বায়ু কম্প্রেসড হয়ে ইঞ্জিনে প্রবেশ করে।
২. টার্বাইনকে ঘুরিয়ে যখন গরম এক্সহস্ট গ্যাস বের হয়ে যায় তখন তাও থার্স্ট সৃষ্টি করে।
সংগৃহীত

মঙ্গল গ্রহে করা হবে সবজির চাষ!

বৈজ্ঞানিক কোনো কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবেই তা সম্ভব। আর তা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহের লাল মাটিতে শাকসবজির চাষ। হয়তো মঙ্গলে চাষাবাদ করতে কী লাগবে? সম্প্রতি ‘দ্য মার্সিয়ান’ নামের এক চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে তা। গবেষকেরা বলছেন, যা-ই লাগুক না কেন, তাঁদের কাছে সে ধরনের প্রযুক্তি এখন রয়েছে। মঙ্গলবাসীরা মঙ্গলে শাকসবজি চাষের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন।
২০৩০ সাল নাগাদ মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা। তবে এর আগে অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাপক কাজ করতে হবে তাদের। এর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলে যাতায়াতে রকেট তৈরি ও পরীক্ষা করা। দীর্ঘদিন মঙ্গলে অবস্থান করলে মানব শরীরের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
মঙ্গলে যাওয়ার রাস্তাটিও অবশ্য কম দূরত্বের নয়। মঙ্গলে বর্তমানে যে কিউরিওসিটি নামের রোবটযান রয়েছে, সেটি পৌঁছাতে আট মাস সময় লেগেছে। বর্তমানে নাসার গবেষকেরা এই সময় কমিয়ে ছয় মাসে আনতে কাজ করছেন।
অবশ্য মঙ্গলযাত্রীর এক বছরের এই আসা-যাওয়ার পথে সতেজ কোনো খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অবশ্য নাসা যদি মঙ্গলগ্রহে বাগান করে ফেলতে পারে, তবে তা মঙ্গলযাত্রীর জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনক হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই কাজে নেমে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্ল্যান্টস, সয়েলস অ্যান্ড ক্লাইমেট বিভাগের গবেষক ব্র“স বাগবি।
বাগবি বলেন, নাসার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মহাকাশে জৈবিক জীবন ধারণের উপযোগী সিস্টেম গড়ে তুলতে নাসাকে সাহায্য করছি। এর মধ্যে মহাকাশ স্টেশনে বসবাসের পাশাপাশি, চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের প্রকল্পও রয়েছে। পৃথিবী থেকে স্বতন্ত্র একটি ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর বাইরে কোনো গ্রহে চাষাবাদ করার পদ্ধতি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। নাসার সঙ্গে এ ধরনের একটি পদ্ধতি তৈরিতে কাজ করছি। এ ধারণা থেকেই ‘দ্য মার্সিয়ান’ ছবিতে দেখানো বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলগ্রহে আলু চাষের যে দৃশ্যটি মার্ক হুইটনি তাঁর ছবিতে দেখিয়েছেন, তা বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে।
যাঁরা এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে লেটুস পাতা জন্মানোর খবর পড়েছেন, তাঁরা হয়তো জানেন যে এর পেছনেও বাগবি ও তাঁর গবেষক দলের হাত রয়েছে। মূলত তাঁরাই বিশেষ চেম্বারে উদ্ভিদ জন্মানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের দাবি, মহাকাশে বা মঙ্গলগ্রহের মতো ভিন্ন কোনো গ্রহে তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতেই উদ্ভিদ জন্মানো যাবে।
গবেষক বাগবি পৃথিবীতে উদ্ভিদের যে গ্রোথ চেম্বার নিয়ে কাজ করছেন তা মূলত বদ্ধ একটি প্রক্রিয়া। বিশালাকার রেফ্রিজারেটরের মতো একটি পদ্ধতিতে হাইড্রোপনিক্যালি প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে। এখানে প্রাকৃতিক কোনো আলোর দরকার হয় না। আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে উদ্ভিদকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা মহাকাশে পরিবেশকে উদ্দীপনার মাধ্যমে উদ্ভিদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হয়।
গবেষক বাগবি বলেন, এ ক্ষেত্রে মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা মাধ্যাকর্ষণ খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। অনেকে মনে করেন, মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় কী না-কী ঘটতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, মাধ্যাকর্ষণ না থাকলেও উদ্ভিদের কোনো ক্ষতি হয় না। আমাদের মনে হয়, মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় উদ্ভিদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হয়। তার বেড়ে ওঠার জন্য মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে লড়তে হয় না, বাতাস না থাকায় অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয় না। ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা থাকে না, তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে মঙ্গলগ্রহের অভিযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন জটিলতার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। মঙ্গলগ্রহের অভিযাত্রীকে কমপক্ষে কয়েক মাস সেখানে থাকতে হবে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, বৃক্ষরোপণ ও বাগান করার মতো কাজগুলো করতে হবে। যদিও মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে চাষাবাদ আর মঙ্গলের মাটিতে চাষাবাদ সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ‘দ্য মার্সিয়ান’ ছবিতে যা দেখানো হয়েছে, সে ধারণার কম-বেশি হবে। কোনটি ঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, তা ঠিক করে বলা যায় না। তবে ছবিতে দেখানো ধারণাটি সঠিক।

২০ বছর পর ঢাকায় এলেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’

ঢাকাই চলচ্চিত্রে একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’খ্যাত অঞ্জু ঘোষ। তার মিষ্টি হাসি, বড় চোখের মায়াবী চাহনি, মন মাতানো অভিনয়, প্রাণ দুলানো নাচ দাগ কেটেছিলো কোটি যুবকের অন্তরে। কিন্তু সব ছেড়ে হঠাৎ করেই তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান। বসবাস করতে শুরু করেন কলকাতায়। সেখানে অবশ্য কিছু চলচ্চিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ২০ বছর পর ঢাকায় এলেন অঞ্জু ঘোষ। তবে তার এই ঢাকা সফর একেবারেই গোপনীয়। সেকারণে তিনি মিডিয়াকে এড়িয়ে গেছেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, অঞ্জু ঘোষ চলতি সপ্তাহে ঢাকায় এসেছেন। এখন রাজধানীর শ্যামলীতে তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। এছাড়া রাজধানীর শ্যামলী শপিং কমপ্লেক্সেও তাকে একবার দেখা গেছে। অন্যদিকে অঞ্জু যে বিল্ডিংয়ের উঠেছেন সেখানে বসবাসকারী অনেকেই তাকে চিনতে পেরেছেন। তবে তিনি কেন এসেছেন, কতোদিন থাকবেন এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, অঞ্জুর প্রকৃত নাম অঞ্জলি ঘোষ। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তার জন্ম। ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় এই নায়িকা অঞ্জু ঘোষ এখন কলকাতাবাসী। সেখানেই নিজে ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়া অঞ্জু কলকাতার বিশ্বভারতী যাত্রা পালাতেও নিয়মিত অভিনয় করেন।
বাংলাদেশে তার উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বড় ভালো লোক ছিলো’, ‘আবে হায়াত’, ‘প্রাণ সজনী’, ‘ধন দৌলত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রক্তের বন্দি’, ‘আওলাদ’, ‘চন্দনা ডাকু’, ‘মর্যাদা’, ‘নিয়ত’, ‘দায়ী কে’, ‘কুসুমপুরের কদম আলী’, ‘অবরোধ’, ‘শিকার’, ‘রঙ্গিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘চোর ডাকাত পুলিশ’, ‘শঙ্খমালা’, ‘আদেশ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘এই নিয়ে সংসার’, ‘গাড়ীয়াল ভাই’, ‘প্রেম যমুনা’ ইত্যাদি।
১৯৯৬ সালে মনের ভেতর এক অজানা কষ্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অঞ্জু। তারপর থেকেই কলকাতাতেই তার নিবাস। 

১৪০০ বছর আগেই কুরআন যা বলেছে, সেটাকেই এখন বিজ্ঞানীরা বলছে বিষ্ময়কর আবিষ্কার

সম্প্রতি আমেরিকার উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ একটি নতুন প্রজাতির মৌমাছির সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করছে। তারা এই প্রজাতির মৌমাছিকে অস্বাভাবিক প্রাণী বলে অবিহিত করেছে। এই প্রজাতির মৌমাছি পাহাড়ে নিজেদের বাসা নির্মাণ করে। তারা তাদের এধরণের আবিষ্কারকে অনন্য বলে দাবী করেছে। অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে এ ধরণের মৌমাছি সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনে আলোচনা করা হয়েছে। সূরা নাহলের ৬৮ নং আয়াতে মৌমাছিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তোমরা পাহাড়ে, বৃক্ষে ও তারা (মানুষেরা) যে মাচাসমূহ প্রস্তুত করে তাতে গৃহ নির্মাণ কর।
গবেষকগণের মতে, এধরণের মৌমাছি আমেরিকার কলোরডো প্রদেশ এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ‘ডেথ ভ্যালি’ এলাকার মরুভূমির পাহাড় ও শিলা খনন করে নিজেদের বাসা নির্মাণ করেছে। এই মৌমাছি পাথরের উপর কাছাকাছি উল্লম্ব গর্ত করে নিজেদের বাসা নির্মাণ করে সেখানে থাকে।
এটাই প্রথম বারের মত নয় যে, বৈজ্ঞানিক ও গবেষকগণ এমন কিছু আবিষ্কার করেছেন যেটার সম্পর্কে ১৪০০ বছর পূর্বে পবিত্র কুরআনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।
পবিত্র কুরআনে এমন অনেক কিছু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো আবিষ্কার করতে এখনও বৈজ্ঞানিক ও গবেষকগণ অপারগ। এ থেকেই প্রমাণ হয়, এই পবিত্র গ্রন্থ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে এসেছ।-ইকনা

প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা: অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণ সংবর্ধনা দিতে আসা সশস্ত্র যুবলীগ নেতাকে আট করেছে পুলিশ। আটক যুবলীগ নেতা সেলিম খান ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। বিমান বন্দর থানা পুলিশ জানিয়েছে তার অস্ত্রটি লাইসেন্স করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে লাইসেন্স করা অস্ত্র নেয়াও নিষেধ।
শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টায় তাকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কাছে বলাকা ভবনের কাছ থেকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর ই আজম মিয়া।
সংবর্ধনা স্থল থেকে যুবলীগ নেতাকে নেয়া হয় বিমানবন্দর থানায়। রাত পৌনে আটটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

জেনে নিন সূরার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ ব্যবহারের কারণ

‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ -এর অর্থ পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
সুরা তাওবা ব্যতীত পবিত্র কোরআনে অবতীর্ণ সকল সূরার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ রয়েছে।
কিন্তু কেনো সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম অবতীর্ণ করা হয়েছে- এর কারণ সম্পর্কে হযরত ইমাম আবু হানীফা [রহ] এবং মদিনার অন্যান্য ফোকাহায়ে কেরাম বলেছেন, মূলত ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ সূরায়ে ফাতিহা কিংবা অপর কোনো সূরার অংশ বিশেষ নয় বরং বরকত লাভের উদ্দেশ্যে অথবা দুটি সূরার মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি সূরা বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা হয়েছে।
‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’-এর শানে নুজুল বা নাজিলের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস [রা] বলেছেন, রাসুল [সা] ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ অবতীর্ণ হওয়া পর্যন্ত দুটি সূরার মাঝে পার্থক্য বিধান করতে পারতেন না তথা সূরার শুরু-শেষ বুঝতেন না। [মুসতারাকে হাকিম]

উচ্চশিক্ষার জন্য কুমারীত্ব নিলামে তুললেন তরুণী!

স্বপ্ন তার বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। অর্থ সংগ্রহ করতে সোজা পথে হেঁটে ব্যর্থ হন তিনি। শেষমেশ স্বপ্ন সমান বড়ো হতে অদ্ভুত এক কাণ্ড করলেন ওই তরুণী। ফলাও করে নিজের কুমারীত্ব নিলামে তুলে বসলেন! 
 
মেয়েটির নাম এরিয়ানা, তার জন্ম ও বেড়ে উঠা রাশিয়ায়। বিদেশে যাবেন, ডাক্তারি পড়তে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। সেজন্য এক রাশিয়ান এস্কর্ট ওয়েবসাইটে নিজের কুমারীত্ব নিলামে তুলেন ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী।
 
এরিয়ানা কুমারীত্ব নিলামে তোলার এই ধারণা পেয়েছেন তারই এক বান্ধবী ললিতার কাছ থেকে। ললিতাও একই কায়দায় নিজের পড়াশুনার খরচ সংগ্রহ করেন।
 
এরিয়ানার কুমারীত্ব নিলামে তোলার সাথে সাথেই বদলে যায় তার ভাগ্য। তার কুমারীত্বের দাম ১৩০,০০০ পাউন্ড থেকে নিলামে শুরু হয়। সোজা পথে যে টাকার জোগাড় করতে চাননি এরিয়ানা, এমনটা নয়। কিন্তু তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি। আর তাই সহজে অনেকটা টাকা উপার্জন করতেই এই পথ বেছে নিয়েছেন ওই তরুণী।
 
এরিয়ানা জানিয়েছেন তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছুই জানেন না তার পরিবারের সদস্যরা। আর পরিবারের মানুষের সিদ্ধান্তের কথা ভেবে বিশেষ চিন্তিতও নন তিনি। নিজেকে একজন 'স্বাধীন' মানুষ দাবি করে এরিয়ানা বলেছেন, ‘এমন কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে লাভ কি যে আগে আমার কুমারীত্ব নষ্ট করবেন এবং তারপর আমায় ঠকাবেন?'

মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার

মেক্সিকোর একটি নদী থেকে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নদীটি একটি লেকের কাছে অবস্থিত। লেকটি মার্কিন পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার দুটি মাদক চক্রের মধ্যে সহিংসতায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। 
 
জালিস্কো রাজ্যের প্রধান প্রসিকিউটর এডুয়ার্ডো আলমাগুয়ের বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে লার্মা নদীতে তিনটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে আরো ৯টি মৃতদেহ পাওয়া যায়।
 
আলমাগুয়ের সাংবাদিকদের বলেন, ‘লার্মা নদী ও লেক চাপালার কাছে ১২টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’ কিভাবে এরা মারা গেছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।
তিনি বলেন, ‘এই ৯টি মৃতদেহে সহিংসতার চিহ্ন রয়েছে।’
 
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের দেহে গুলির জখম রয়েছে। অপর দুটি মৃতদেহ পচে বিকৃত হয়ে গেছে।
 
মৃতদেহগুলো জাম্যাই পৌর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি একটি মাছ ধরার এলাকা। মাদক চক্র জালিস্কো নিউ জেনারেশন ও অন্যান্য সহিংস অপরাধ চক্রগুলো মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে ব্যাপক সহিংসতা চালাচ্ছে।  এএফপি

‘২০১৭ সালের মধ্যে সামরিকভাবে পরাজিত হবে আইএস’

সামরিক শক্তির দিক দিয়ে সম্পূর্ণ পরাজিত হওয়ার পথে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি কর্মকাণ্ড বিশ্লেষক ফিরাস আবি আলি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের মধ্যে পরাজিত হবে জঙ্গি সংগঠনটি।
 
মার্কিন জোটের বিমান হামলায় জর্জরিত আইএস আগামী ১২ মাসের মধ্যেই সামরিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে তিনি বলেন, আইএস সামরিকভাবে পরাজয়ের সামনে রয়েছে। হয়তো ২০১৬ সালের মধ্যে সেটি হবে না, তবে ২০১৭ সালের শেষদিকে তারা সম্পূর্ণ পরাস্ত হবে।
 
তিনি যোগ করেন, মার্কিন বিমান হামলা আইএসকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বিমান হামলা সমর্থিত আক্রমণের সামনে আইএসের টেকার কোনো সুযোগই নেই। কোবানি শহর কুর্দিদের পুনর্দখল করতে অনেক সময় লাগছে। যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে গেছে, কুর্দিরা এতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি তাতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
 
 
আইএস সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ভূখণ্ড হারিয়েছে। মার্কিন জোট সমর্থিত বিমান হামলায় ইরাকি সেনাবাহিনী শিরকাত শহর পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়। ফিরাস আবি আলি বলেন, আইএস ভূখণ্ড হারালেও তাদের মতবাদ ধরে রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

নাইজারে ড্রোনঘাটি বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নাইজারে একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে ড্রোন ওড়ানো যাবে। দেশটির রাজধানীতে মার্কিন বাহিনী রয়েছে। তারা বর্তমানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ফরাসী বাহিনীর সঙ্গে তাদের একটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করছে।
 
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন বিমানঘাঁটি নির্মাণে বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের প্রাপ্ত নথিতে  দেখা গেছে- আফ্রিকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বিমান ঘাঁটিটিকে। আগাদেজ শহরের এই বিমান ঘাঁটি থেকে সহজে লিবিয়া, মালি এবং নাইজেরিয়ায় জঙ্গিদের ওপর  ড্রোন হামলা চালানো যাবে। ২০১৭ সালে এর কাজ সম্পন্ন হবে।
 
যেখানে পাইলটচালিত যুদ্ধবিমান পাঠানো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে মার্কিন বাহিনী সেখানে তারা বোমা নিক্ষেপ কিংবা গোয়েন্দাগিরির জন্য ড্রোন ব্যবহার করে। -বিবিসি

'দক্ষিণ চীন সাগরে আগুন নিয়ে খেলছে জাপান'

জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়ে এ অঞ্চলে কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে আগুন নিয়ে খেলছে। এমন হলে আমরাও নীরব দর্শকের মত বসে থাকব না। গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক মাসিক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। -খবর রয়টার্সের।
 
চীন বরাবরই এ সাগরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের কথা জানান দিয়ে আসছে। দেশটি এ সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র জাপানের হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছে। এ মাসে ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে তারা সংহতি বাড়িয়ে তুলতে কাজ করছেন বিশেষ করে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে তাদের মিত্রতা শক্তিশালীকরণে নজর দিয়েছে।
 
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াং ইউজুন বলেছেন, জাপান নিরবধি দক্ষিণ চীন সাগরে কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা তারা করছে নিজেদের স্বার্থেই। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, তারা ভুল করছে। আমাদের এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় তারা যৌথ টহল বা মহড়া চালালে আমাদের সামরিক বাহিনী অলস বসে থাকবে না বা চেয়ে চেয়ে দেখবে না। তারা আসলে আগুন নিয়ে খেলা করছে, বলেন এ মুখপাত্র। 

অনূর্ধ্ব-১৮ হকি: ফাইনালে ভারতের কাছে হারলো বাংলাদেশ

৪-৪ গোলে ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল ম্যাচটা। বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দলই পেনাল্টি শ্যুটআউটের অপেক্ষায়। তিন সেকেন্ড বাকি থাকতে ভারত পঞ্চম গোল করল। শুক্রবার ভারত ৫-৪ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে বেক্সিমকো এশিয়া কাপ যুব হকিতে চ্যাম্পিয়ন হলো।
 
শেষ তিন সেকেন্ড ঠেকাতে পারলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা ৪-৪ গোলে ড্রয়ে শেষ করতে পারতো। পেনাল্টি শ্যুটআউটে গিয়ে ভাগ্যটা নির্ধারণ হতো। কিন্তু হলো না। যুব এশিয়া কাপ হকিতে গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ ৫-৪ গোলে হারিয়েছিল ভারতকে। সেই ভারত ফাইনালে উঠে বাংলাদেশকে একই ব্যবধানে, ৫-৪ গোলে হারিয়ে ফাইনাল জিতল। আগের ম্যাচের প্রতিশোধ নিল। 
 
বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক বেশি এগিয়ে থাকলেও কালকের ফাইনালে বাংলাদেশই গোল করে দুই বার এগিয়ে গিয়েছিল। দুই বার পিছিয়ে গিয়েও গোল করে পেছন থেকে এসে স্কোর লাইন সমান করেছিল। এমন সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করতে পারেননি। 
 
বাংলাদেশের শক্তি পেনাল্টি কর্নার। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ এবং ওমান আর সেমিফাইনালে চাইনীজ তাইপের বিপক্ষে পেনাল্টি কর্নারগুলো কাজে লাগিয়েছে। ভারত সেটা জানে। প্রথম ম্যাচের পরই ভারতের কোচ কারিয়াপ্পা বলেছিলেন বাংলাদেশের পেনাল্টি কর্নারই ম্যাচটার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেটা জানে বলেই ফাইনালে বাংলাদেশ যেন পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রেখেছিল। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আক্রমণে গিয়েও পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে পারছিল না। ভারত সব সময় অধিকতর সর্তক ছিল। এখানেই বাংলাদেশের অস্ত্র ভোতা করে দিয়েছে ভারত। এরপরও বাংলাদেশ তিনটা পেনাল্টি কর্নার পেলেও গোল হয়েছে মাত্র একটা।
  
ম্যাচের ২০ মিনিটে বাংলাদেশের গোল পায় প্রথম গোর করেন অধিনায়ক রোমান সরকার ১-০। পাল্টা আক্রমণে গোল শোধ করেন ভারতের শিবার আনন্দ ১-১। ৩৪ মিনিটে মহসিনের গোলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার এগিয়ে যায় ২-১। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই, ৪৩ মিনিটে হাদিক সিং গোল করে সমতা আনেন ২-২। কনজেংবামসিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় ভারত ৩-২। 
 
 
৬০ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আশরাফুলের গোলে আবার সমতা আসে বাংলাদেশের ৩-৩। বাজে গোল হজম করায় ২ মিনিট পর আবার ভারত এগিয়ে যায় কনজেংবামসিংয়ের গোলে ৪-৩। আশরাফুলের হিট পেলত আসলে রিভার্স হিটে মাহবুব হোসেনের গোলে আবারও সমতা আনে বাংলাদেশ ৪-৪। তুমুল উত্তেজনা চলছে মাঠে। বাংলাদেশের দুর্বলতার সুযোগ নেয় ভারত। তিন সেকেন্ড বাকি। বাংলাদেশ গোল হজম করে ৪-৫ গোলে ভারতের কাছে হেরে যায়।
 

ব্রাজিলে বেড়াতে গিয়ে কোথায় খাবেন ? যেনে রাখা ভাল ।

 ব্রাজিলে যাই থাকুক, দেশটার মানুষগুলো ভীষণ সুখী। ব্রাজিলে নেমে আপনি কোনো গোমড়ামুখো হোটেল ম্যানেজার বা খিটখিটে মেজাজের ট্যাক্সি ড্রাইভার পাবেন না। সবাই বেশ হাসিখুশি। কারণ ব্রাজিলের সংস্কৃতিটাই এমন, মেহমানদের এমন করে বরণ করে নেওয়া হয় যাতে মনে হয় তারা অনেক আগে থেকেই পরিচিত।

যাদের ঘোরাঘুরির অভ্যাস আছে তারা হয়তো বিষয়টি খেয়াল করে দেখেছেন, আলাদা আলাদা এলাকায় আলাদা সংস্কৃতি, আলাদা মানুষের মিশেল। আবার কিছু কিছু এলাকায় একই ধরনের মানুষ আর কাছাকাছি সংস্কৃতি রয়েছে। যেমন : লাতিন আমেরিকা। দূরত্ব বা ভৌগোলিক দিক দিয়ে আমেরিকার কাছাকাছি হলেও ভাষা এবং সংস্কৃতিতে আমেরিকার থেকে অনেকটাই আলাদা।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো মানুষ চেনে ফুটবলের বদৌলতে। অনেক বিখ্যাত ফুটবলারের জন্ম দিয়েছে লাতিন আমেরিকা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, পর্তুগাল সবগুলোই লাতিন আমেরিকার দেশ। ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি ব্রাজিল। আমাদের দেশেও ব্রাজিলের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
যাঁরা একটু ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি দেখতে চান, জানতে চান বিচিত্র কিছু, তাঁদের জন্য ব্রাজিল হতে পারে ভ্রমণের উপযুক্ত স্থান। যেসব কারণে ব্রাজিল ভ্রমণ আপনার কাছে কাঙ্ক্ষিত হতে পারে সেগুলো একনজরে দেখে নিতে পারেন।
 সারা ব্রাজিল জুড়ে রয়েছে হাজার হাজার রেস্টুরেন্ট ।প্রতিটা রেস্টুরেন্ট এর রয়েছে আলাদা আলাদা খাবার সাদ ।

মন খুলে খাবেন ।সাথে মদ,বিয়ার তো থাকবেই ।ব্রাজিল যেমন ওপেন সেক্স এর দেশ ,সেই সাথে মদ বিয়ারও ওপেন বিক্রি চলে ।
 রিও দ্যা জেনারিও ,সাও পাওল ,কুরিচিবা ,ব্রাজিলিয়া , সালবাদর ,মিনাজেরাইস ,নাতাল সহ সারা ব্রাজিলে রয়েছে রকমারি খাবার ।
 কার্নিভালটা মিস হয়ে গেল বলে মন খারাপ করার কিছু নেই। ব্রাজিলে যখনই যান, বিনোদনের কোনো অভাব হবে না। কারণ সব সময়েই কোনো না কোনো উৎসব লেগে থাকে ব্রাজিলে। থিয়েটার উৎসব, স্ট্রিট ডান্সের উৎসব কিংবা ফুটবল টুর্নামেন্ট। ব্রাজিলিয়ানরা যে কোনো খুশি, আনন্দ বা প্রাপ্তিকে উৎসবে পরিণত করতে পারে। সেখানে থাকলে আপনিও আয়োজনের অংশ হয়ে যাবেন।



 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates