চলুন ব্রাজিল সম্পর্কে জেনে আসি এমন ১০ টি বিষয় যাতে অন্য দেশের থেকে অনেক এগিয়ে দেশটি।
খেলা
খেলাধুলায় প্রকৃতিপ্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে জম্মায় ব্রাজিলিয়ানরা। খেলাধুলা তাদের ব্যক্তিত্বের একটি মূল অংশ। হয়ত তারা অনেক রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু অন্যকে সদা আনন্দ এবং বিনোদন দেয়ার মধ্যে ব্রাজিলিয়ানদের জুড়ি মেলা ভার।
বিশ্ব তাদের কাছ থেকে শিখতে পারে খেলাধুলায় মেতে থেকে কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়। তারা ভলিবল, সাইক্লিং, ফুটবল, সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার মধ্যেই কাজের আনন্দ খুঁজে নেয়।
মিউজিক
যে সঙ্গীত ব্রাজিলকে মাতিয়ে রাখে ধরণ অনুযায়ী সেটা স্বতন্ত্র । সঙ্গীতের ধরণ, যন্ত্রের ব্যবহার আর ছন্দের বৈচিত্রের কারণে এটা প্রতিদ্বন্দ্বীহীন। বিশ্বের মানুষ পরিচিত সাম্বার সঙ্গে।সাম্বায় ইউরো-আফ্রিকান একটি মিশ্রণ রয়েছে। এটা ইউরোপিয়ান মার্চের সঙ্গে আফ্রিকান ড্রামের এক সমন্বয়। আর আছে বোসা নোভা, এটা ধীরগতির সাম্বা, যেখানে ফরাসি প্রতিকীবাদের সঙ্গে আমেরিকান জাজ মিশেছে।
রেইন ফরেস্ট
আমাজান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিরক্ষীয় বন, যা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তরভাগের ৯টি দেশে অবস্থিত। এর মধ্যে আমাজানের ৬০% রয়েছে ব্রাজিলে। হাজারও প্রজাতির জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ এই ইকোসিস্টেম অত্যন্ত শক্তিশালী যা কিনা মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে।
আমাজান পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হলেও পানির পরিমাণের দিক থেকে এক নম্বরে । আমাজান নদ প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ পঁচাত্তর হাজার ঘনমিটার পানি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আটলান্টিকে। আমাজানের মোহনা পৃথিবীর অন্যসব নদনদীর চেয়ে চওড়া। এর প্রস্থ ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মোহনার মধ্যেই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্বাদু পানির দ্বীপ মারাকোর অবস্থান।
লাঞ্চ
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ পর্তুগাল, ইতালি ও স্পেনের উপনিবেশ ছিল ব্রাজিল। তাই ব্রাজিলিয়ান খাবারে ইউরোপীয় খাবারের মিশ্রণ রয়েছে কিছুটা। এছাড়া ব্রাজিলিয়ান লাঞ্চ প্রতিবেশি আমেরিকানদের লাঞ্চ থেকেও আলাদা। তাদের রান্নায় মূলত চাটনির গন্ধ খুবই জনপ্রিয়। তারা গরম সসের সঙ্গে গরুর মাংস, অন্যান্য মাংসাশী প্রাণীর মাংস পছন্দ করে। এর সঙ্গে চাল, মটরশুটি, কলা ভাজা এবং বিয়ার ব্রাজিলিয়ানদের লাঞ্চের অন্যতম পছন্দ।
বিচিত্র ফল
ব্রাজিলে রয়েছে বিচিত্র সব ফলের সমাহার। এর মধ্যে রয়েছে কামু-কামু, গ্রাভিওলা, জাবুতিকাবা, Cupuaçu, হিজলি গাছের ফল ইত্যাদি। কাজু ব্রাজিলে খুবই জনপ্রিয়। আমাজন এলাকার ‘আসাই’ এবং ‘আসেরোলা’ ফল দুটি ব্রাজিলের সব এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে এমন কিছু ফল আছে যার স্বাদ আপনি শুধু ব্রাজিলেই পাবেন।
বেকড পণ্য
ব্রাজিলে বেকড পণ্য খুবই জনপ্রিয়। চিজকেকস, কুকিস, ব্রাউনিস, টর্টিজ, ফ্ল্যানস ব্রাজিলের জনপ্রিয় বেকড ফুড। স্থানীয় ‘পেডারিয়া’ নামক খাবারটি সাধ্যের মধ্যে এক অসাধারণ আহার ব্রাজিলিয়ানদের কাছে।
গ্রীলড মাংস
ব্রাজিল হল অনুভূতির শহর। এখানে সবকিছু খুব গভীরভাবে অনুভব করা হয় এবং স্বাদ নেয়া হয়। ব্রাজিলের একটি জনপ্রিয় খাবার হল গ্রীল করা মাংস। একে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘চুরাসকো’। মুরগী, গরু বা শুকরের মাংস যাই হোক না কেন, গ্রীলড করা মাংসই হবে ব্রাজিলিয়ানদের জন্য সর্বোত্তম ডিনার।
পার্টি করা
ব্রাজিলিয়ানদের জন্য উদযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হোক ছোট আকারে বা বড় কোন উদযাপন। তাদের দুটি বড় উৎসব হল কার্নিভাল এবং নতুন বছর উদযাপন।নতুন বছর উদযাপনে রিও’র সমুদ্র সৈকতে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ ভিড় জমান আতশবাজির প্রদর্শণী দেখতে। এমনকি ব্রাজিলের প্রত্যেকটি ছোট শহরেও আতশবাজির প্রদর্শনী হয়ে থাকে।
প্লাস্টিক সার্জারি
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাস্থেটিক প্লাস্টিক সার্জারি অনুসারে, ২০১৪ সালে কসমেটিক প্লাস্টিক সার্জারিতে শীর্ষে ব্রাজিল। বিশ্বের প্লাস্টিক সার্জারি অপারেশনের ১৩ শতাংশ হয়ে থাকে এখানে। ব্রাজিলিয়ান প্লাস্টিক সার্জন ইভো পিটানগাই বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়।
প্লাস্টিক সার্জারি সম্পর্কে ব্রাজিলের মানুষের মধ্যে কোন লুকোচুরি নেই। তারা এ ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করে থাকেন।
চুম্বন
এটা ভিন্ন সংস্কৃতির জন্য এবং তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ের জন্য বিশ্রী হলেও ব্রাজিলীয়রা অপরিচিতদের সঙ্গে পরিচয় পর্বে চুমু দিয়ে অভিবাদন জানায়।এখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে পুরুষের পরিচয় পর্বের শুরু এবং শেষে উভয় গালে চুমু দেয়ার রীতি গতানুগতিক।
বেইজস (চুম্বন) এখানে কোন কোন সময় পরিবারে আপনাকে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে পারে। গাল-নাক মিলানো শুভেচ্ছা বিনিময় তাদের জন্য একটি জোরালো শক্তি।
বেইজস (চুম্বন) এখানে কোন কোন সময় পরিবারে আপনাকে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে পারে। গাল-নাক মিলানো শুভেচ্ছা বিনিময় তাদের জন্য একটি জোরালো শক্তি।
No comments:
Post a Comment