ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন বামপন্থি সরকারের প্রার্থী লেনিন মোরেনো কিন্তু তার রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট পুনর্গণনার দাবি করেছেন। রবিবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
৯৪ শতাংশ ভোট গণনার পর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো ৫১ দশমিক সাত শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল প্রার্থী গুইলেরমো ল্যাসো ৪৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। দুই দশক আগে ডাকাতির এক ঘটনার সময় পায়ে গুলি লাগার কারণে তিনি হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
নির্বাচিত হয়ে ২৪ মে দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনি হবেন হুইল চেয়ার ব্যবহার করা বিরল এক প্রেসিডেন্ট। লেনিনের সমর্থকরা ইতোমধ্যেই বিজয় উৎসব শুরু করে দিয়েছে। রাজধানী কুইটোতে পতাকা দুলিয়ে বিজয় উৎসব করতে থাকা সমর্থকদের উদ্দেশ্যে লেনিন বলেছেন,“এখন থেকেই দেশের জন্য কাজ শুরু করুন! আমাদের সবাই!”
জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী বিষয়ক সাবেক দূত লেনিন সিঙ্গেল মাদার, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লেনিন জয়ী হলে তা উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জন্য বড় ধরনের স্বস্তির ব্যাপার হবে। কারণ জয়ী হলে অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন ল্যাসো।
ল্যাসোর ভোট পুনর্গণনার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় বাম শাসনে ধস নেমে ডানপন্থার পতাকা উড়েছে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পেরুতে বামপন্থি সরকারকে হটিয়ে ডানপন্থি সরকার ক্ষমতায় এসেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধ্বজাধারী এসব সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশগুলোতে দুর্নীতির কেলেঙ্কারিও বাড়তে শুরু করেছে। রয়টার্স।
Monday, April 3, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment