ব্রাজিলে আসলে কী খাবেন তা কি ভেবেছেন?
ব্রাজিলে নিঃসন্দেহে অসংখ্য কাবাব ঘর রয়েছে। কিন্তু সেখানে আরো রয়েছে বিভিন্ন ফল-মূল, জলখাবার এবং মাংস ও সবজির ডিশ যা সত্যিই হৃদয়গ্রাহী। আর এসব ব্রাজিলের ঐতিহ্যেরই অংশ। ফলে ব্রাজিল ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না।
ব্রাজিলের একটি প্রধান ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম ম্যানিয়োক। যা ক্যাসাভা বা ইয়োকা নামে পরিচিত। এটি খরা-নিরোধী আলু বা ওল জাতীয় খাবার। এ থেকে ময়দা, জুস, টাপিওকা বা পেস্ট তৈরি করা যায়। খাদ্যটি প্রসঙ্গে এই কিংবদন্তী প্রচলিত আছে যে, কোনো এক রেড ইন্ডিয়ান গোত্র প্রধানের মেয়ের স্নেহের সন্তানের কবর থেকে প্রথম ম্যানিয়োকটি গজিয়ে উঠেছে। আর সায়ানাইড বিষমুক্তকরণের জন্য খাবারটি অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করতে হবে। সচরাচর দেখা যায়না এমন ফল ক্যামু ক্যামু এবং জাবুটিকাবা আর বিখ্যাত আকাই বেরি সমৃদ্ধ পানীয় রাস্তার পাশেই কিনতে পাওয়া যাবে।
ফেইজোয়াদা ব্রাজিলে প্রচলিত পর্তুগীজ কালো শিম সেদ্ধ করে বানানো খাবার যা দেশটির ঐতিহ্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এটি সেদ্ধ মাংস এবং ভাত ও সবুজ শাক-সবজিসহ পরিবেশন করা হয়। বোলো স্যালগাদো- টুনা মাছ ও মুরগির মাংস, মেয়নেজ, ব্রাজিলীয় বাদাম এবং সাদা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। অ্যামাজনের জঙ্গলে পাওয়া যায় ক্যাসাভা বা ইয়ুকা নামের কন্দজাতীয় খাদ্য থেকে তৈরি হয় ম্যানিয়োক ময়দা। এ থেকে আদিবাসি নারীরা তৈরি করেন এক ধরনের সুস্বাদু পাতলা প্যানকেক। প্যাস্টেল হলো এক ধরনের পাতলা ভাজা মালকড়ি যার সঙ্গে মাংস বা ফলমূলসহ বিভিন্ন ধরনের যে কোনো সংখ্যক উপাদান যোগ করা সম্ভব। সধারণত রাস্তার পাশে বা উৎসবে বিক্রি করা হয়।
ব্রাজিলিয়ান প প নামের একটি ফলে রয়েছে রোগ নিরাময়ী উপাদান। আফ্রিকা, ক্যারিয়ান অঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও এটি উৎপন্ন হয়।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডটকম
No comments:
Post a Comment