তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই উত্তর কোরিয়া রোববার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা চালায়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হলেও পিয়ংইয়ংয়ের সমরশক্তিকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না বলে এশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা মতপ্রকাশ করেছেন।
তাইওয়ানের ন্যাশনাল চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ আর্থার ডিং বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া সরকার এরই মধ্যে যথেষ্ট নিবারক শক্তি অর্জন করেছে। শনিবার একটি সামরিক প্যারেডের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, এখন তাদের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গুটিয়ে নেয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মতো উত্তর কোরিয়াও কার্যত একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে এ বাস্তবতার অর্থ হল, উত্তর কোরিয়াকে অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশের সমান হিসেবে বিবেচনা না করলেও অন্তত সাবধানে চলতে হবে।’ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু হলে অন্তত ১০ লাখ মানুষ নিহত হবে। তাছাড়া যুদ্ধ হলে পতন হবে স্বৈরশাসক কিম জং উনের। তাতে সীমান্ত নিয়ে সমস্যায় পড়বে চীন।
কারণ কিম চীনের মিত্র। এ কারণে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই উষ্ণ। কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন রণতরী মোতায়েনের পর থেকে এ অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা ঘিরে রয়েছে নানা আশঙ্কা। তার ওপর উত্তর কোরিয়ার বারবার পরমাণু হামলার হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের কারণে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে চীন ও রাশিয়া নিরপেক্ষ থাকবে না বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। আর এতে কিমের দেশ হয়ে উঠতে পারে চীন-রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্র।
No comments:
Post a Comment