কাতারের বিরুদ্ধে আনা সৌদি অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
কাতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও কূটনৈতিক টানাপড়েন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে না পারার কারণে দেশ দুটির বিরুদ্ধে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নয়ের্ত বলেন, ‘সময় যত যাচ্ছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সন্দেহ তত ঘণীভূত হচ্ছে।’
সন্ত্রাসবাদের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ও দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রায় দু সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র এ বক্তব্য দিল।
নয়ের্ত বলেন, কাতারের ওপর পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো দু সপ্তাহ আগে অবরোধ আরোপ করেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কাতার সরকারের কাছে কিংবা ওই এলাকার জনগণের কাছে অভিযোগের বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরে নি। এ অবস্থায় আরব দেশগুলোর তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।
মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ‘ঘটনার এ পর্যায়ে আমরা সাধারণ একটি প্রশ্নই তুলছি আর তাহলো- সন্ত্রাসবাদের অভিযোগেই কী তারা কাতারের বিরুদ্ধে বর্তমান পদক্ষেপ নিয়েছে? নাকি পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসি’র ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা টানাপড়েনের কারণে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে?’
আগামী সপ্তাহে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আলে সানি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। তার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এসব প্রশ্ন তুলল।
No comments:
Post a Comment