ঢাকা থেকে নুর হুসাইন এর ফটো নিয়ে প্রতিবেদন-------
নগরীর অধিকাংশ উন্মুক্ত জায়গায় বসেছে ঈদ পোশাকের পসরা। গলির মুখে চায়ের দোকানের সামনেও দেখা যাচ্ছে পোশাকের সরগরম কেনাকাটা। বাসট্যান্ডে কিংবা রেল স্টেশনে, লঞ্চঘাটে যেতে পথে পাওয়া যাচ্ছে ঈদের পোশাক। সারা শহর জুড়ে যেন বসেছে ঈদের বাজার।ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়তি কিছু আয়ের আশায় এমন অস্থায়ী বিক্রেতারা সরব হচ্ছেন। আওলাদ হোসেন রোডের আবু বকর দিয়েছেন এমন একটি দোকান যেখানে ছোটদের ঈদ পোশাকের পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের জুতা পাওয়া যাচ্ছে। ২০১১ সালে সে প্রথম এখানে শিশুদের পোশাক নিয়ে বসেন। তার বিক্রি সে বছর ভালোই হয়। তারপর থেকে তিনি নিয়মিত দশ রোজা থেকে ঈদের পোশাক বিক্রি করেন। আস্তে আস্তে জুতা, পারফিউম আর বেল্ট মানি ব্যাগ যুক্ত হয়।
আজিমপুর ইডেন কলেজের সামনে নিয়মিতভাবে বসে মেয়েদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পসরা। ঈদকে সামনে রেখে এখানে বসেছে শিশুদের পোশাকের মেলা। বিক্রেতা হাফিজ উদ্দিন বলেন কসমেটিকস বিক্রি করি, ঈদ উপলক্ষে কিছু পোশাক নিয়ে বসেছি দেখি কেমন হয়। এই বছর সে নিজে প্রথম পোশাকের ব্যবসা করলেও তার আগে অনেকেই এখানে ঈদের পোশাক বিক্রি করে ভালো লাভ করে বলেও তিনি জানান।
মানিক নগরের পুকুর পাড় আর খিলগাঁওয়ের আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় নিয়মিত বসছে ঈদের বাজার। গুলিস্তান ফুটপাত থেকে শুরু করে এই সকল দোকানিরা এখন ব্যস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের ঈদ পোশাকের চাহিদা মেটাতে। শ্রমজীবী নিম্ন মধ্যবিত্তদের অনেকেই সাধ্যের মধ্যে সাধকে মিলিয়ে নেন ফুটপাতের এই সকল দোকান থেকে। এখানেই নিজের জন্য শার্ট কিনলে বজলুর রহমান।
তিনি বললেন ঈদের জন্য নয়। একটা শার্ট দরকার বলেই কেনা। ঈদতো বাচ্চাদের। তাদের পোশাক এখান থেকে আগেই কেনা হয়েছে। তিনি বলেন ফুটপাতেও এখন দাম বেড়ে চলেছে। তারপরও বছরের একটা মাত্র উত্সবে বিবেচনায় বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের মতো মানুষের বেশ বেগ পেতে হয়। এখানেই আর এক ক্রেতা মুনসুর আলী বলেন, উত্সব এলেই সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। রোজা আসার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গিয়েছিল। তেমনি পোশাকেরও দাম দিন দিন বাড়ছে। তবে এখানকার বিক্রেতা আবু সালেহ জানান পোশাকের দাম এ বছর খুব একটা বাড়েনি।
No comments:
Post a Comment