সৌদি আরবকে লোহিত সাগরের দুটো দ্বীপ দেয়া নিয়ে মিসর উত্তাল হয়ে উঠছে। সৌদি বাদশাহ সালমানের গত বছরের মিসর সফরের সময় লোহিত সাগরের দুটো দ্বীপ সৌদি আরবকে দেয়ার ব্যাপারে বিতর্কিত একটি চুক্তি হয়। গত সপ্তাহে মিসরের সংসদ ওই চুক্তি অনুমোদন করে।
এখন সেটি অনুমোদন করেছেন মিসরের সাবেক সেনাপ্রধান এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি। কিন্তু এই চুক্তি নিয়ে মিসরে বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে।বিক্ষুব্ধরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট সিসি সৌদি সাহায্যের লোভে দেশের জায়গা ‘বিকিয়ে’ দিচ্ছেন। সেই সাথে আইনি লড়াইও শুরু হয়েছে।
বিরোধীরা বলছেন, যেহেতু ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মোরসির সরকারকে সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাতের পর থেকে সৌদি আরব জেনারেল সিসিকে সমর্থন করে আসছে, সে কারণে সৌদিদের খুশি করতে সংবিধান লঙ্ঘন করছেন প্রেসিডেন্ট।
মিসরের একটি আদালত সৌদি আরবের কাছে দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। তবে অন্য আরেকটি আদালত চুক্তিকে বৈধ বলে রায় দেয়।চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন মিসরের সাংবিধানিক আদালতের কাছে। তারা এখনো কোনো রায় দেয়নি।
প্রেসিডেন্ট সিসি বলছেন, দ্বীপ দুটোর প্রকৃত মালিক সৌদি আরব। ১৯৫০-এ সৌদিরা তাদের প্রতিরক্ষায় মিসরকে ওই দুই দ্বীপে সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছিলো। এখন শুধু সৌদি আরবের দ্বীপ তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
সানাফির ও তিরান নামের এ দুই দ্বীপ দুটো খুব কাছাকাছি। এগুলোর মধ্যে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। তিরানের অবস্থান আকাবা উপসাগরের ঠিক মুখে। এলাকাটি কৌশলগত-ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোহিত সাগরে ঢোকার জন্য ইসরাইল এটি ব্যবহার করে।
বেসামরিক লোকজন দ্বীপ দুটোতে বসবাস করে না। মিসরের সৈন্য এবং বহুজাতিক শান্তিরক্ষীরা এখানে মোতায়েন রয়েছেন। ইসরাইল ১৯৫৬ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দু’বারই দ্বীপ দুটো দখল করে। পরে আবার মিসরকে ফিরিয়ে দেয়। বাসস।
No comments:
Post a Comment