অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতারের পথ সুগম করতে আরেকটি বিল পাশ হলো মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে। ২২৮-১৯৫ ভোটে বৃহস্পতিবার পাশ হওয়া এই বিল ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী নির্বাহী আদেশের পরিপূরক।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পরই ট্রাম্প অভিবাসনের মর্যাদা নেই-এমন অবৈধদের গ্রেফতারের নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, লস এঞ্জেলেস, সাক্রামেন্টো, বস্টনসহ তিন শতাধিক সিটির মেয়র তার আদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের পরিপন্থি হিসেবে অভিহিত করেন। তারা ট্রাম্পের নির্দেশ না মানার ঘোষণাও দেন স্যাঙ্কচুয়ারি সিটির প্রশাসক হিসেবে।
গত কয়েকমাসে এসব মেয়ররা একজন অবৈধ অভিবাসীকেও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ট কিংবা ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর এজেন্টের কাছে সোপর্দ করেননি। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অন্য কোন অভিযোগে গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীদেরকেও আইসের কাছে হস্তান্তর করেননি।
এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন সিটিগুলোর ফেডারেল অনুদান বন্ধের সার্কুলারও জারি করে। তাতেও কোন লাভ হয়নি। এজন্যেই প্রতিনিধি পরিষদে এই বিল পাশ করেছে রিপাবলিকানরা। তবে সিনেটের অনুমোদন ব্যতিত এই বিল আইনে পরিণত হবে না। সিনেটে কমপক্ষে ৬০ ভোট লাগবে। এ ধরনের একটি বিল এর আগেও উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সিনেটের সমর্থন পায়নি।
একইসাথে পাশ হওয়া দুটি বিলের একটির শিরোনাম হচ্ছে ‘ক্যাট ল’। গুরুতর অপরাধীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার এ বিল পাশ হয় ২৫৭-১৬৭ ভোটে। অপরাধী-অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদানকারি সিটিসমূহের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক অবরোধের জন্য ‘নো স্যাঙ্কচুয়ারি ফর ক্রিমিনালস এ্যাক্ট’ বিলটি পাশ হয় ২২৮-১৯৫ ভোটে।
রিপাবলিকানদের এধরনের মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে ডেমক্র্যাটরা বলেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রস্ত অবস্থা তৈরির ফলে সামগ্রিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। অভিবাসী অধ্যুষিত সিটিসমূহ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হলে কেউই অপরাধীদের কোন তথ্য পুলিশকে দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে না।
এই বিল অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের পাশাপাশি অপরাধে লিপ্ত অবৈধ অভিবাসীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার অভিযান শুরু হবে। এ শ্রেণীর অবৈধরা স্থায়ীভাবে বসতি গড়ার কোনো ধরনের সুযোগ পাবে না।
No comments:
Post a Comment