গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত নব্য জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর ২৪ কর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) বিভাগের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার মামলার তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকার প্রেক্ষিতে আমরা এ পর্যন্ত ওই হামলার ঘটনায় ২৪ জন নব্য জেএমবি কর্মীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। ওই মামলার চার্জশিট শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে।’
সিসিটিসি প্রধান বলেন, জুলাইয়ে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে এ পর্যন্ত ২৪ জঙ্গির সংশ্লিষ্টতা দেখা গেছে। এদের মধ্যে দু’জন ওই হামলা সংঘটিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ২৪ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৫ জন মারা গেছে। ৪ জন জেলে রয়েছে, অপর ৫ জন পলাতক।’
যে ৮ জন জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে তারা হলো— তামিম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম মারজান, মেজর জাহিদুল ইসলাম, সারোয়ার জাহান, তানভীর কাদেরি, মো. আব্দুল্লাহ ওরফে রনী, আবু রায়হান ওরফে তারেক ও ফরিদুল ইসলাম আকাশ।
তিনি জানান, আটক চারজনের মধ্যে তিনজন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগান ও মিজানুর রহমান ওরফে সিনিয়র মিজান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সিসিটিসি প্রধান বলেন, ‘গুলশানে হামলায় নিহত ২০ জনের ময়না তদন্ত রিপোর্ট ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি এবং আমরা আরো ছয়জনের অনুরূপ রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।’
হলি আর্টিজান হামলার তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনা থেকে কার্যকর করা পর্যন্ত সবকিছুই তদন্ত শেষে সুস্পষ্ট হবে। তিনি আরো জানান, তদন্ত শেষ পর্যায়ে থাকায় মামলার চার্জশিট এ বছরের মধ্যেই পেশ করা হবে। বাসস।
No comments:
Post a Comment