১৫ মাসেও চিহ্নিত হয়নি দেশব্যাপী আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘাতকরা। এখনো একাধিকবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও দীর্ঘ এ সময়ে মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এদিকে তনু হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছে তনুর পরিবার।
গত বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা সিআইডি। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ না করে প্রতিবেদন দেওয়ায় ঘটনার রহস্য উত্ঘাটন নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় দেখা দেয়। ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এমন তথ্যও তারা নিশ্চিত হয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ মেচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা কিংবা ফলাফল কি? এ নিয়েও সিআইডি মুখ খুলছে না।
তনুর মা আনোয়ারা বেগম জানান, আমার মেয়ে হারালাম। কিন্তু বিচার পেলাম না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম থেমে নেই। মামলার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কিছু অগ্রগতিও আছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment