স্লোভেনিয়া থেকে যুক্তরাজ্যগামী একটি বিমানে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহজনক কথাবার্তা চলছে বলে পাইলটকে সতর্ক করার পর সেটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। ইজি-জেট সংস্থার ওই বিমানটি স্লোভেনিয়া থেকে লন্ডনের কাছে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে আসছিল, কিন্তু বিমানের ভেতরে তিনজন যাত্রী জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে কথা বলছেন - এ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পর সেটিকে শনিবার জার্মানির কোলন-বন বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওই তিনজন ব্যক্তি ব্রিটেনের নাগরিক - তাদের আটক করার পর এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিমানের ১৫১ যাত্রীকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় - তিন ঘন্টার ওপর বন্ধ রাখা হয় বিমান চলাচল। ওই তিনজন সন্দেহভাজন যাত্রীর মধ্যে একজনের একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে পুলিশ উড়িয়ে দেয়।
কোলন বন বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, ‘বিমানের ভেতরে যে সন্দেহজনক কথাবার্তা চলছে সে ব্যাপারে পাইলটকে জানানোর পর তিনি এখানে অনির্ধারিত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।’ অবতরণের পর বিমানের সব যাত্রীকে আপদকালীন সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে একটি ট্রানজিট গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এয়ারবাস ৩১৯ বিমানটির আপদকালীন সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনার পর নজন যাত্রীকে চিকিৎসা দিতে হয়।
কোলন পুলিশের এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ওই তিনজন যাত্রীর মধ্যে যে কথাবার্তা হচ্ছিল, সেটা শুনতে পেয়ে বিমানের অন্য যাত্রীরা বিমানকর্মীদের সে ব্যাপারে জানান। 'জঙ্গি বিষয়বস্তু' নিয়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছিল বলে জানানো হলেওএ ব্যাপারে বিশদে কিছু ভেঙে বলা হয়নি।
ওই বিমানের একজন যাত্রী ড্যানিয়েল নুনান বিবিসিকে জানান, অবতরণের পর সশস্ত্র পুলিশ বিমানের ভেতর ঢোকে এবং সন্দেহভাজন যাত্রীদের দুজনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তৃতীয়জন আপদকালীন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেও পরে তাকেও টারম্যাক থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়ে যায়।
নুনান আরও বলেন যে বিমানের সব যাত্রীকেই পুলিশ জেরা করেছে। তবে বিমানের যাত্রীদের মালপত্রে বা বিমানের ভেতর পুলিশ কোনও বিস্ফোরক খুঁজে পায়নি। জার্মানির 'দ্য বিল্ড' সংবাদপত্র জানিয়েছে আটক তিনজন ব্যক্তি লন্ডনের একটি সংস্থায় কাজ করেন ও তারা একটি বিজনেস ট্রিপ থেকে ফিরছিলেন। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment