জঙ্গিবাদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসে নতিস্বীকার করা হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে কাতার।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-সানি বলেছেন সংকট সমাধানে তিনি কূটনৈতিক সমাধান চান। সামরিক উপায় বর্তমান সংকটের সমাধান করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইসলামী চরমপন্থাকে সমর্থনের যে অভিযোগ দেশটির বিরুদ্ধে উঠেছে, কাতার তাও প্রত্যাখ্যান করেছে। সৌদি আরব ও বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও ভ্রমণ সম্পর্ক ছিন্ন করে।
কুয়েতের আমীর সংকট কাটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন। তিনি এরই মধ্যে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন।বৃহস্পতিবার দোহায় এক বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেন, "কাতারকে একঘরে করা হয়েছে 'কারণ আমরা সফল ও প্রগতিশীল'।"
তিনি বলেন, 'আমরা শান্তির পক্ষে একটি প্লাটফরম, সন্ত্রাসের পক্ষে নই আমরা। চলমান এই সংকট পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত নই। আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিকে ধুলায় লুটাতে দিতে প্রস্তুত নই।'
তিনি বলেন, 'ইরান প্রস্তাব দিয়েছে যে খাবার ও পানি পরিবহনে কাতার তাদের তিনটি বন্দরকে ব্যবহার করতে পারে, তবে এই প্রস্তাব এখনও দোহা গ্রহণ করেনি।'
কাতার খাদ্য আমদানির ওপর বিপুলভাবে নির্ভরশীল এবং চলমান সংকট একদিকে যেমন খাদ্য মজুদ প্রবণতা বাড়িয়েছে, অন্যদিকে খাবারের স্বল্পতাও তৈরি করেছে। শেখ মোহাম্মদ বলেন, 'কাতার কখনোই এই মাত্রায় প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়নি।'
No comments:
Post a Comment