পৃথিবীর বুকে যে কোন আছড়ে পরতে পারে গ্রহাণু। বিশ্বের বৃহত্তম শহরগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর গ্রহাণুর আকার তুলনামূলক বড় হলে তো কথাই নেই। তখন সমগ্র পৃথিবীই হয়তো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
কুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালান ফিটসজিমন-এর মতে, বিষয়টা এখন এমন পর্যায় চলে গিয়েছে যে আদৌ এমনটা ঘটবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা বাড়ানোর চেয়ে ঘটলে কবে ঘটবে, সে সম্পর্কে এখন অনুসন্ধান চালানো দরকার।
১৯০৮ সালের ৩০ জুন সাইবেরিয়ায় আছড়ে পড়েছিল একটি গ্রহাণু। সেই গ্রহাণুর ধাক্কায় ধ্বংস হয়ে যায় প্রায় ২০০০ বর্গকিমি এলাকা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আজকের দিনে এমন কোনো সংঘর্ষ একটি ছোট শহরকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আপাতত পৃথিবীর কাছে থাকা গ্রহাণুগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। মহাকাশে এমন ১৫০০-এরও বেশি গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যা পৃথিবীর খুব কাছে রয়েছে। তবে তারা এটাও জানিয়েছেন যে, এদের মধ্যে অধিকাংশই বিপজ্জনক নয়। পৃথিবীর দিকে এদের ধেয়ে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
কিন্তু এমনও অনেক অচিহ্নিত গ্রহাণু রয়েছে, যা যেকোনো দিন ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে। তাই বিজ্ঞানীরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন। ১০৯ বছর আগে যে গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল, তা কিন্তু কোনো আগাম আভাস দিয়ে আসেনি। তাই এ বিষয়ে যে সতর্ক হওয়ার সময় এসে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
No comments:
Post a Comment