দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশটি। বিধ্বস্ত আর্থ-সামাজিক অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এখন উন্নয়নের পথে। দেশ পুনর্গঠনে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে দিনে দিনে। উন্নত হচ্ছে বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানও। তাই প্রতি বছরই দেশটি কয়েক বিলিয়ন পণ্য আমদানি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।
স্বল্প জনসংখ্যা অথচ বিশাল আকৃতির দেশ কম্বোডিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অসীম। আর নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে পারেn। চামড়া, পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতে কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারের বাণিজ্যিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সেই দেশে দ্রুত বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপনের দাবি তাদের।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে সেখানে গড়ে তুলেছেন শিল্প-কারখানা। যেখানে বাংলাদেশি শ্রমিক ছাড়াও কাজ করছেন কম্বোডিয়ার নাগরিকরা। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উন্নয়নশীল এ দেশটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্যাশান ডিজাইনের উদ্যোক্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশের চেয়ে এদেশের ভূমি ত্রিশ শতাংশ বড়। আমাদের দেশের শ্রমিকগুলি আমরা এদেশে কাজে লাগাতে পারবো। এখানে গার্মেন্টসের টেকনিশিয়ানের খুবই অভাবে।
গত বছরও আমরা কম্বোডিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছি।’ পোশাক শিল্পের মতো চামড়া, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এখানে। এক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে ভিসা সহজীকরণসহ দুই সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও শ্রমশক্তি রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে এখানে। বর্তমানে কম্বোডিয়ায় তিন শতাধিক বাঙালি বসবাস করেন। এর মধ্যে শতাধিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বলে জানান প্রবাসীরা।
No comments:
Post a Comment