পকেটমারার কাজটা কঠিন হলেও এতে বেশ পরিপক্ক শহরটির নারীরা। আর এই কাজে তারা এতটাই দক্ষ যে পুরুষদের থেকে ৯৩ ভাগ এগিয়ে আছে তারা। বলছিলাম ভারতের রাজধানী দিল্লির কথা।
ভারতের সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এর তথ্য মতে, শহরটির ২০১৭ সালে ৯৩ শতাংশেরও বেশি পকেটমার ছিল নারী। আগের বছর এই হার ছিল ৯১ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে নারী পকেটমারের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ২২২ জন নারী ও ৮৯ পুরুষ পকেটমারকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার হওয়া নারীদের বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৪০। দিল্লির ১৪০টি মেট্রো স্টেশনে সাদা পোশাকে নারী পুলিশ মোতায়েন করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের মতে, ছদ্মবেশ নেয়া সহজ হওয়ায় পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি হারে পকেটমার হচ্ছে। তারা প্রায় সময়েই ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে।
এছাড়া অনেকে নারীদের পকেটমার হিসেবে সন্দেহ করে না। আর এই সুযোগটা নিয়েই তারা দিল্লির স্টেশনগুলোতে পকেট মেরে থাকে।
সংস্থাটির মতে, পকেটমারার জন্য নারীদের বিরুদ্ধে সাধারণত অভিযোগ করেন না ভুক্তভোগীরা।
গত বছর পকেটমারের পর ৬৮ লাখ রুপি উদ্ধার করে আসল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্ত পকেটমারদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৮টি মামলা হয়েছে। বাকিরা নারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায়নি।
ভুক্তভোগীদের এই না চাওয়াকে নারীদের পকেটমার হওয়ার অন্যতম কারণ মনে করে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স
No comments:
Post a Comment