ব্রাজিলের সাও পাউলোয় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ১০ বছর পর ৯১ লাখ ৫০ হাজার ডলার (৩ কোটি রিয়াল) জরিমানার মুখে পড়েছে উড়োজাহাজ নির্মাতা ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাস। এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৯৯ জনের পরিবারকে জরিমানার এ অর্থ দেয়া হবে। ব্রাজিলের এক আদালতও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর সিনহুয়া ও জাপান টাইমস।
বিমান দুর্ঘটনার মামলাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী গ্যাব্রিয়েলা রিসতৌ এএফপিকে জানান, ‘কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর ৩৩টি পরিবার জরিমানা বিষয়ে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।’ জানা গেছে, নিহতদের ৯৩ জনের স্বজনদের সঙ্গে নভেম্বরে চুক্তিটি সম্পন্ন হলেও এতদিন তা গোপন রাখা হয়েছিল। ‘কোনরকম বিলম্ব’ ছাড়াই জরিমানার অর্থ পরিশোধে এয়ারবাস সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসতৌ।
এক বিবৃতিতে এয়ারবাস চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে দুর্ঘটনার পেছনে তাদের উড়োজাহাজের কোনো ত্রুটি দায়ী নয় বলে জানিয়েছে তারা।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে ব্রাজিলের উড়োজাহাজ সংস্থা টিএএমের পর্তো অ্যালেগ্রে থেকে সাও পাউলোগামী ফ্লাইট ৩০৫৪ ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। ফ্লাইটে ব্যবহূত এয়ারবাসের এ৩২০ উড়োজাহাজটি কঙ্গোনহাস বিমানবন্দরে অবতরণকালে নিকটবর্তী টিএএম এক্সপ্রেসের একটি গুদামঘর ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে। গুদামঘরের সঙ্গেই শেলের একটি ফিলিং স্টেশন থাকায় মুহূর্তেই বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় উড়োজাহাজের ১৮৭ যাত্রী ও আশপাশে থাকা আরো ১২ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এখন পর্যন্ত এটি ব্রাজিলের সবচেয়ে ভয়াবহতম বিমান দুর্ঘটনা। ঘটনার ১০ বছর পার হয়ে গেলেও কেউ এখনো দোষী সাব্যস্ত হয়নি।
২০০৯ সালে তদন্তের সমাপ্তি টেনে বলা হয়, মানুষের ভুল ও প্রযুক্তিগত ত্রুটিই দুর্ঘটনার কারণ।
টিএএম উড়োজাহাজ সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৯ জন নিহতের মধ্যে ১৯৭ জনের পরিবারকে কোম্পানির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment