বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, শহরের কর্তা ব্যাক্তিরা শুধু কয়েক শত হকারকেই বড় করে দেখছেন, এদের উচ্ছেদই সকল সমস্যার সমাধান মনে করছেন, কিন্তু একটু ভাবছেন না, দেশের যে ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির চাহিদা এরা পূরণ করে সেই হত দরিদ্র নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষগুলো যাবে কোথায়? তারা কি শহরের চকচকে বিপনী বিতানে যাওয়ার অর্থনৈতিক সামর্থ রাখেন? তিনি বলেন লুটেরা ধনিক শ্রেণীর এই পুঁজিবাদী ভন্ড সমাজের এটা নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিইবা হতে পারে। নব্য ধনিকরা রঙ্গিন চশমায় যখন তাকায় তখন সব কিছুকেই রঙ্গিন দেখতে চায়, নিচের তলার খেটে খাওয়া নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষ গুলোকে তখন মনে করে সমাজের উচ্ছিষ্ট। যাদের দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্র; যারা গোটা দুনিটাকেই বাচিয়ে রাখছে, যারা এই বিশে^র হারাহারি অংশিদার, মালিক; সেই তাদেরই অস্তিত্ব ¯^ীকার করতে ওদের যেন এদের জাত চলে যায়।
আবু হাসান টিপু বলেন, বছরের পর বছর ধরে সিটি কর্পোরেশনের নামে যখন হকারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের মাশোহারা নেয়া হতো তখন মেয়র মহোদয় নিশ্চুপ ছিলেন, হকার উচ্ছেদে ‘বড় ভাই’দের সদ ইচ্ছা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বড় ভাইদের চেলা চামুন্ডারা যখন একই কায়দায় মাশোহারা গুনতেন তারাও আবার এটাকে তখন সিটি কপোরেশনের একতিয়ার ভুক্ত কর্ম বলে এড়িয়ে যেতেন। পুলিশের কথা আর কি বলবো, ওনারাতো সকালে থানা পুলিশের নামে আর বিকেলে টহল পুলিশের নামে এক দিনেই দুইবার মাশোহারা গ্রহন করে আসছে বছরের পর বছর। কে না জানে এসব চোর চোট্টাদের লুটপাটের কাহিনী। ‘নারায়ণগঞ্জ নাট্যের’ ভাই বোন অভিনিত নাটকের কোন কুশিলব এই হকারদের পয়সায় আয়েস করেন না? সেটা নিশ্চয় নারায়ণগঞ্জবাসী জানেন।
তিনি বলেন আমেরিকা ইউরোপসহ বিশে^র বহু নামি দামী শহরেই হকার রয়েছে এবং সর্বত্র ফুটপাতেই তারা পসরা সাজাচ্ছে। শহর মানেই নাগরিক কোলাহলে পূর্ণ, হাজারো মানুষের উপস্থিতি, নিত্য আসা যাওয়া। আর এ কারণেই ঐ চলন্ত পথের পথিকের দৈনন্দিন কেনাকাটার চাহিদা মেটাতে অনিবার্য ভাবেই গড়ে উঠে ফুটপাতে সস্তায় বিক্রয়লব্ধ বাহারি পণ্যের পসরা। এতো পুঁজিবাদী রাষ্ট্র চরিত্রেরই ¯^াভাবিক নিয়ম। কার সাধ্য আছে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবে। মারহাবা প্রত্যাশীরা সাময়িক প্রতিবন্ধকতা হয়তো সৃষ্টি করতে পারবেন ঠিকই কিন্তু চুড়ান্ত বিচারে সকল বাধা অতিক্রম করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কারো কারো মুখে চুন কালি মেখে আবার ফুল ফুলে ভরে উঠবেই বাগান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি জননেতা কমরেড মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে পার্টির নিয়মিত মাসিক কর্মী সভাতে আবু হাসান টিপু এসব কথা বলেন।
৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে পার্টির জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, রাশিদা বেগম, শহিদুল আলম নাননু, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান আঙ্গুর, নাজমুল হাসান নাননু, মোক্তার হোসেন, আইউব আলী প্রমূখ।
No comments:
Post a Comment