কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিডনি রোগ সারা বিশ্বে একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল সমস্যা। দেহের মধ্যে প্রবাহিত রক্তকে কিডনি শোধন করে ও বর্জ্য পদার্থগুলোকে মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। আর এভাবে আমরা সুস্থ থাকি।
কিডনির পাথর জমা অতি পরিচিত একটি সমস্যা। এটি সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে। কিডনির ভিতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে কিডনিতে পাথর হয়। সাধারণত খনিজ এবং অম্ল লবণ দিয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়। কিডনিতে বিভিন্ন কারণে পাথর হয়ে থাকে। তবে প্রস্রাব গাঢ় হলে তা খনিজগুলোকে দানা বাঁধতে সহায়তা করে এবং তা পাথরে রূপ নেয়।
যেহেতু কিডনিতে পাথর জমলে যে কারও জন্য তা ক্ষতিকারক হতে পারে একারণে এর উপসর্গগুলো সবারই জানা উচিত। কিডনিতে পাথর হলে পিঠে কিংবা পাজরের দুইপাশে, তলপেটে ব্যথা হয়, প্রসাবের পরিমাণ বেশি থাকে, প্রসাবের সময় ব্যথা হয়, ইউররিনের রঙ গোলাপি, লাল, বাদামি কিংবা গাঢ় রঙের হয়। জ্বর এবং বমি বমি ভাবও হয়।
এগুলোর সবগুলিই যে একজনের মধ্যে দেখা দেবে তা কিন্তু নয়। একেকজনের উপসর্গ একেকভাবে দেখা দেয়। এটা পাথরের আকৃতি এবং কিডনির কোনো স্থানে জমেছে তার উপর নির্ভর করে।
কিডনিতে পাথর জমলে কেউ কেউ ঠিকমতো দাঁড়াতে, বসতে কিংবা শুয়ে থাকতে পারেন না। সবসময়ই অস্বস্তি বোধ করেন। পেটে অসহ্য যন্ত্রনা হয়। কারও কারও আবার প্রসাবে রক্ত দেখা দেয়।
কিডনিতে পাথর জমলে রক্ত, ইউরিন পরীক্ষা, এক্স রে , আলট্রাসাউণ্ডের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। একারণে শরীরে উপসর্গগুলোর যেকোনোটি দেখা দিলে এবং নিজের কাছে সন্দেহ লাগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment