ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্বার বাংলাদেশ দল। মাশরাফি-রুবেল-মোস্তাফিজদের বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো কাঁপছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। লংকান ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেন উইকেটছেড়ে বাঁচার পথ খুঁজছেন।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্তশ্রীলংকার সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৭উইকেটে ১৩০ রান।
যাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলো বাংলাদেশ দল। সেই কুশল পেরেরাকে শুরুতেই সাজঘরে ফেরান নাসির হোসেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই কুশল পেরেরার উইকেট তুলে নেন তিনি।আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮০ রান করা লংকান এমারমুখি ব্যাটসম্যানকে মাত্র ১রানে ফেরান অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কুশল পেরেরা গুরুত্বপূর্ণউইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলংকা। নাসিরের পর হাথুরুসিংহের শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ সেরা এই পেস বোলারের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন লংকান ওপেনার উপল থারাঙ্গা।
৪৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলংকা। এই ধকল সামলিয়ে উঠার আগেই লংকান শিবিরে ফের আঘাত হানেন মাশরাফি। তার দ্বিতীয় শিকার কুশল মেন্ডিস। এরপর কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ডিকাওয়ালার স্টাম্প উড়ে যায়। ১৬ রানে ফেরেন লংকান এই ব্যাটসম্যান।
নিশ্চিত পরাজয়ের শংকা আরও বাড়িয়ে দেন চান্দিমাল। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর জোরা আঘাত হেনে গুনারত্ন ও হাসারাঙ্গাকে ফেরান সাকিব।১১৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ক্ষণ গুনছেশ্রীলংকা।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন এনামুলি হক বিজয়। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করা এই ওপেনার এদিন ফেরেন ৩৭ বলে ৩৫ রান করে।
শুরুর ভালোর রেস ধরে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। উদ্বোধনীতে ৭১ রানের জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। আগের ম্যাচে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকা দেশসেরা এই ওপেনার এদিন ভালো খেলা সত্বেও সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ১০২ বলে ৭ চার ও দুই ছক্কায় ৮৪ রান করেন।
তামিমের বিদায় বুঝতে দেননি উইকেটে অন্যপ্রান্তে থাকা সাকিব আল হাসান। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পরেন সাকিব। গুনারত্নের শিকারে ধরা পরার আগে ৬৩ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে ফেরেন এ অলরাউন্ডার।
সাকিবের বিপদায়ের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে এই ভায়রা ভাইরা ৫০ রানের জুটি গড়েন। তামিম-সাকিবের পর ফিফটি তুলে নিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। থিসেরা পেরেরার বলে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৫২ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন মুশফিক। শেষ দিকে সাব্বির রহমানের ১২ বলের অপরাজিত ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment