গ্যালারিতে থাকা পাঁচ-ছয় হাজার দর্শক চিৎকার আর করতালির আওয়াজে মুখর স্টেডিয়াম। আজকের ম্যাচটি যে ‘স্পেশাল’ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দর্শক-সমর্থকদের আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল কৃষ্ণা বাহিনী। চীনা তাইপেকে ৪-২ গোলে গুড়িয়ে দিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে উঠে গেল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বে চীনা তাইপেকেই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু আগের তিনটি ম্যাচে ইরান, সিঙ্গাপুর ও কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশের মেয়েরা আজ সেই বাধা উড়িয়ে দিয়েছে। দুই দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি। তবে শেষ ম্যাচের ফলফল এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ পয়েন্টে বাংলাদেশ শীর্ষে। টানা চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা বাংলাদেশ।
আজ ম্যাচের পুরোটা জুড়েই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। যদিও প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল স্বাগতিকেরাই। একাদশ মিনিটে বক্সের বেশ দূর থেকে সু ইউ-হুসানের দৃষ্টিনন্দন এক গোলে এগিয়ে যায় চাইনিজ তাইপে।
২৬তম মিনিটে সমতায় ফেরার স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের। বক্সের মধ্যে কৃষ্ণা রাণী সরকারকে ডিফেন্ডার চেং চাও-ই ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দুই হলুদ কার্ডে চেং মাঠ ছাড়েন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে শামসুন্নাহারের মাটি কামড়ানো শট জালে জড়ায়। ৩৭তম মিনিটে বক্সের মধ্যে কৃষ্ণাকে চাইনিজ তাইপের অধিনায়ক সু ইউ-হুসান ট্যাকল করলে আরেকটি পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার মাপা শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন।
৫৬তম মিনিটে অনুচিংয়ের বাড়ানো বলে কৃষ্ণার বাঁ পায়ের জোরালো শট পরাস্ত করে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে। ৭৭তম মিনিটে তাইপের সু ইউ হুসুনের আত্মঘাতী গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। খেলার শেষ দিকে এক গোল দিয়ে ব্যবধান কমায় অতিথিরা।
খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে তেং পেই লিন মাঠ ছাড়লে নয়জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করে চীনা তাইপে। আগামী সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে ছোটনের দল।
No comments:
Post a Comment