কলম্বিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি ম্যাচেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার এক ডিফেন্ডারের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। খেলতে পারেননি টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো। পরের বছর কোপা আমেরিকায়ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠ ছেড়েছিলেন লাল কার্ড দেখে। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন চার ম্যাচের জন্য। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আবার কলম্বিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে হয়তো সেই স্মৃতিগুলোই তাড়া করেছিল নেইমারকে। তবে এবার আর কোনো বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে। নিজে একটি গোল করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন নেইমার।
ম্যাচের শুরুতেই ব্রাজিল এগিয়ে গিয়েছিল মিরান্ডার গোলে। দুই মিনিটের মাথায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার। ৩৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরে ১-১ গোলের সমতা। সমতাসূচক এই গোলও এসেছে ব্রাজিলের রক্ষণভাগের ভুলে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস।
এরপর জয়সূচক গোলটির জন্য অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারছিলেন না নেইমার-জেসুস-মিরান্ডারা। বেশ কয়েকবার জোরালো আক্রমণ চালিয়েও সফল হতে পারেনি সেলেসাওরা। তবে ৭৪ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি নেইমারকে। ফেলিপে কর্টিনহোর পাস থেকে বল পেয়ে নির্ভুল শটে লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনি।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই গোল করে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকোকে ছুঁয়ে ফেলেছেন নেইমার। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ৭১টি ম্যাচ খেলে জিকো করেছিলেন ৪৮টি গোল। নেইমারও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৪৮তম গোলটি করেছেন নিজের ৭১তম ম্যাচে। ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমারের নাম আছে চতুর্থ স্থানে। আগে আছেন শুধু রোমারিও (৫৫), রোনালদো (৬২) ও পেলে (৭৭)।
No comments:
Post a Comment