নিম্ন বর্ণের মেয়ের সঙ্গে উচ্চ বর্ণের ছেলের প্রেম এবং পালিয়ে বিয়ের পরে তাদের জীবন সংগ্রাম । এটা বহুচর্চিত | কিন্তু ভারতের আহমেদাবাদের এক দম্পতিরে ক্ষেত্রে বিষয়টি ঘুরেছে অন্যদিকে। এখানে ২৪ বছরের স্ত্রী সারানিয়া সম্প্রদায়ের যাযাবর ঘরের মেয়ে। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কৈশোর থেকেই এরা বাধ্য হয় যৌনবৃত্তি গ্রহণ করতে। সেখান থেকে তাকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনেছেন স্বামী । কিন্তু সামাজিক চাপ পিছু ছাড়ছে না। অতীত আবার মেয়েটিকে টানছে পঙ্কিল আবর্তে।
গুজরাতের ভাদিয়া জেলা কুখ্যাত দেহ ব্যবসার জন্য। প্রচলিত সামাজিক রীতি অনুযায়ী এই গ্রামের সারানিয়া সম্প্রদায়ের মেয়েদের গ্রহণ করতেই হয় দেহ ব্যবসা। আহমেদাবাদের ওই তরুণী বধূ ও শুরু করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই জীবন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পা রাখেন পৃথিবীর আদিম পেশায়। একদিন খদ্দের হিসেবে এলেন এমন এক যুবক‚ যিনি প্রেমে পড়লেন দেহ পসারিণীর । সেদিনের সেই খদ্দের আজ তরুণীর স্বামী। ২৫ বছর বয়সী তরুণ চাকরি করেন পশু হাসপাতালে। বিয়ের পরে সংসার পেতেছেন আহমেদাবাদে।
কিন্তু তাঁদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে তরুণীর বাড়ির লোক | তারা চায় না‚ ঘরের মেয়ে দেহ বিক্রি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবন শুরু করুক। পাশাপাশি হাত বাড়িয়েছে বহু মিডলম্যানও। তারা তরুণীকে দিয়ে আবার দেহ ব্যবসা শুরু করাতে চায়। নিরাপত্তার খোঁজে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন এই দম্পতি। ভাবছেন পুলিশের কাছে গিয়ে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার আবেদন করবেন।
Sunday, September 4, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment