বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই বাড়ির ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
পরে রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে।
ধর্ষিতার বাবা বলেন, তিনি বক্তারপুর মহল্লায় তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিদ্দিকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার তিনি ও তার স্ত্রী কাজের উদ্দেশে বাড়ির বাইরে চলে যান। আর এই সুযোগে ওই বাড়ির মালিক তার মেয়েকে একা পেয়ে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে তার কক্ষে নিয়ে যায়। এরপরই তার ওপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন।
এ সময় ছাত্রী চিৎকার দিলে ধর্ষণের পর স্কুল ছাত্রীকে বাড়িওয়ালা তার নিজ কক্ষের আলমারির ভেতরে হাত পা ও মুখ বেঁধে আটকে রাখে। পরে সন্ধ্যার পর সিদ্দিকের স্ত্রী বাড়িতে এসে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
এক পর্যায়ে গোঙানির শব্দ পেয়ে বাড়ির মালিকের ঘরের ভেতরে আলমারি থেকে তার ধর্ষিতা মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত সিদ্দিকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শরীফসহ বেশকিছু নেতাকর্মী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তারা ওই বাড়িতে সাংবাদিকসহ কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হবে।
তবে এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক সিদ্দিককে গ্রেফতার করতে পারেনি।
No comments:
Post a Comment