যুক্তরাজ্য ও কানাডা সফর শেষে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন।
তিনি কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় রবিবার বিকাল ৩টায় নিউইয়র্ক সিটির লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্ট ত্যাগের সময় রাস্তার পাশে শত শত নেতা-কর্মী তুমুল তাকে অভ্যর্থনা জানান। অন্যদিকে এবার এয়ারপোর্টে বিএনপি এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন কমিটি নেই। তার উপরে সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন নিউইয়র্ক স্টেট কমিটি করার দায়িত্ব নিয়ে এসে বিএনপিকে আরো বিভক্ত করেছেন। যে বিভক্তির কারণে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির কমিটি এখন ৬টি। সব মিলিয়ে হতাশায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এবার এয়ারপোর্টে বিক্ষোভ অথবা কালো পতাকা দেখতে যায়নি।
এয়ারপোর্টে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর বক্তব্যের পাশাপাশি স্লোগানে নেতৃত্ব দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগরসহ সভাপতি এম ফজলুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, লুৎফুল করিম, জয়নুল আবেদীন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সভানেত্রী মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্রস্থ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির মিয়া, ওয়াশিংটন মেট্র আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মাহমুদুন্নবী বাকী, লেখক-সাংবাদিক হারুন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুর রহিম বাদশা, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হক খান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি ফরিদ আলম, যুবলীগের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহানা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি, রাশেদা কোরেশী, সবিতা দাস, শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সহ-সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজি, প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি দেওয়ান বজলু, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের চেয়ারপার্সন এম এ সালাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া এবং সেক্রেটারি শাহীন আজমল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাখাওয়াত বিশ্বাস, আব্দুল মুসাব্বির, নুরে আলম জিকো প্রমুখ।
এয়ারপোর্ট থেকে শেখ হাসিনা সোজা জাতিসংঘ সংলগ্ন ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে যান। এখানে অবস্থান করে জাতিসংঘের কর্মসূচিতে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্জিনিয়ায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা শেখ হাসিনার। সেখান থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন জানান।
এদিকে, জাতিসংঘ সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের বাসায় তার সফরসঙ্গীসহ ডিনারে যোগদান করেন শেখ হাসিনা।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন। ২০ সেপ্টেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত লিডার্স সামিট অর রিফিউতে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সন্ধ্যায় ৭টা ৩০ মিনিটে এবং রাতে গ্যান্ড হায়াতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সার্বজনীন সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মিশনে সকাল ১০টা সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং ঐ দিনই ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন।


No comments:
Post a Comment