বগুড়ার শেরপুরের পল্লীতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করেছে এক যুবক।
গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এলাকার মাতবররা বিষয়টি ধামাচাপা ও ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বিষয়টি প্রকাশ হয়। পরে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সকলের অজান্তে ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আবদুর রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম বিপ্লব (২২)। এর পর মেয়েটির হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে।
ভোরে মেয়ের মা দরজা খুললে রবিউলকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে। সে সময় মেয়ের মা ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখে তার মেয়ের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছে।
ধর্ষক রবিউল ইসলাম বিপ্লব একই গ্রামে খালার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো এবং এলাকায় ছেলে-মেয়েদের কোচিং করাতো। সে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন বিষয়ের অনার্সের ছাত্র বলে জানা গেছে।
সকালে মেয়ের বাবা বিষয়টি এলাকার মাতবরদের জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে থানায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন। গত বৃহস্পতিবার শালিস বৈঠকে দুজনকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু দেনমোহরের বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় তা ভণ্ডল হয়ে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মেয়ে ও তার বাবা শেরপুর থানায় অভিযোগ দাখিল করে। কিন্তু পুলিশ অভিযান চালালেও আসামিকে আটক করতে পারেনি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শেরপুর থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়েও আসামিকে পাওয়া যায়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment