আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “হেট ক্রাইমের” অভিযোগের বেশ কিছু খবর পোস্ট করা হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে এ ধরনের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ও শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিবিসি ট্রেন্ডিং খবর দিচ্ছে। এ ধরনের সব অভিযোগের ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে- এসব ঘটনার পেছনে কাজ করছে ধর্ম ও বর্ণ বিদ্বেষ। কিন্তু বিবিসি বলছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব অভিযোগের সত্যতা বা মঙ্গলবারের নির্বাচনের সঙ্গে এর আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কীনা তা যাচাই করা অসম্ভব।
“হেট ক্রাইম” বা বিদ্বেষমূলক যেসব অপরাধের খবর সামাজিক মাধ্যমে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে:
ফিলাডেলফিয়াতে বিভিন্ন ভবনের দেওয়ালে ট্রাম্প সমর্থক নানা দেওয়াল লিখনের সঙ্গে নাৎসীদের বেশ কয়েকটি প্রতীকী স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। একটি ঘটনায় গাড়ির গায়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের পাশে লেখা হয়েছে “ট্রাম্পের শাসন”।
নিউ ইয়র্ক স্টেটের ওয়েলসভিলের ছোট এক গ্রামে খেলার মাঠের দেওয়ালে স্বস্তিকা চিহ্নের পাশে লেখা হয়েছে “আমেরিকা আবার শ্বেতাঙ্গদের হোক্।”
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে এক নারীর ব্যাগ ও গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়া দুজন লোক ডাকাতির সময় “ট্রাম্প ও মুসলমান” সংক্রান্ত মন্তব্য করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলছে তারা এই ঘটনাকে “হেট ক্রাইম” হিসাবে দেখছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করছে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরাও আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় এক তরুণী ইনস্টাগ্রামে ট্রাম্পকে সমর্থন করে মন্তব্য করায় পরদিন কলেজে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। তার বাবা মা বলেছেন ঐ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শিকাগোতে ট্রাফিক দুর্ঘটনার শিকার এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধোর করে তার জিনিসপত্র লুটপাট করেছে একদল কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। ঐ হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে যাতে সেখানে জড়ো হওয়া লোকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে “ডোন্ট ভোট ট্রাম্প”।
বানানো গল্পও শোনা যাচ্ছে এই হুজুগে। লুইসিয়ানায় এক ছাত্র বর্ণবাদী হামলার শিকার হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে বলে দুই যুবক তাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবিদ্বেষী গালিগালাজ করেছে। পরে জানা যায় গোটা ঘটনাই সাজানো।
এমনকী সংখ্যালঘুদের উপর পুরনো হামলা ও হেট ক্রাইমের অনেক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে- যেগুলো নির্বাচনের অনেক আগের ঘটনা- নির্বাচনের সঙ্গে সেগুলোর কোনো যোগাযোগ নেই।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে মিঃ ট্রাম্পের জয়লাভ এধরনের “হেট ক্রাইম” আসলেই বাড়িয়ে দিয়েছে কীনা তা বুঝতে আরও সময় লাগবে বলেই ।
সূত্র : বিবিসি
ফিলাডেলফিয়াতে বিভিন্ন ভবনের দেওয়ালে ট্রাম্প সমর্থক নানা দেওয়াল লিখনের সঙ্গে নাৎসীদের বেশ কয়েকটি প্রতীকী স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। একটি ঘটনায় গাড়ির গায়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের পাশে লেখা হয়েছে “ট্রাম্পের শাসন”।
নিউ ইয়র্ক স্টেটের ওয়েলসভিলের ছোট এক গ্রামে খেলার মাঠের দেওয়ালে স্বস্তিকা চিহ্নের পাশে লেখা হয়েছে “আমেরিকা আবার শ্বেতাঙ্গদের হোক্।”
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে এক নারীর ব্যাগ ও গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়া দুজন লোক ডাকাতির সময় “ট্রাম্প ও মুসলমান” সংক্রান্ত মন্তব্য করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলছে তারা এই ঘটনাকে “হেট ক্রাইম” হিসাবে দেখছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করছে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরাও আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় এক তরুণী ইনস্টাগ্রামে ট্রাম্পকে সমর্থন করে মন্তব্য করায় পরদিন কলেজে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। তার বাবা মা বলেছেন ঐ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শিকাগোতে ট্রাফিক দুর্ঘটনার শিকার এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধোর করে তার জিনিসপত্র লুটপাট করেছে একদল কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। ঐ হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে যাতে সেখানে জড়ো হওয়া লোকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে “ডোন্ট ভোট ট্রাম্প”।
এমনকী সংখ্যালঘুদের উপর পুরনো হামলা ও হেট ক্রাইমের অনেক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে- যেগুলো নির্বাচনের অনেক আগের ঘটনা- নির্বাচনের সঙ্গে সেগুলোর কোনো যোগাযোগ নেই।
সূত্র : বিবিসি


No comments:
Post a Comment