পাকিস্তানের আরেক কর্মকর্তা জানান, চলমান সংকটের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সরাসরি মধ্যস্থতা করতে পারছে না বরং কুয়েতের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন দিয়ে তাকে বেগবান করার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, যদি কুয়েতের উদ্যোগ সফল না হয়, তখন পাকিস্তান ও তুরস্কসহ অন্য কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কাজ করবে। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পাকিস্তান কাতারে সেনা পাঠাচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ পাক প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফর করেন। মিথ্যা ওই খবরের কারণে সৌদি আরবের ভেতরে এমন একটি ধারণা তৈরি হচ্ছিল, ইসলামাবাদ কাতারের পক্ষ নিচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি সফরের সময় নওয়াজ শরিফ রিয়াদকে নিশ্চিত করেছেন যে, সৌদি আরবের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পাক সরকার ও জনগণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈঠকে বাদশাহ সালমান সৌদি সফরের জন্য নওয়াজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান এবং পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাসহ সব ধরনের স্বার্থের প্রতি রিয়াদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।
‘কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ অমানবিক’ : কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেয়া পদক্ষেপকে ইসলামী মুল্যবোধের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ কাতারকে যেভাবে একঘরে করার চেষ্টা করছে, তার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কাতারের ওপর এই অবরোধ অমানবিক এবং অনৈসলামিক। খবর বিবিসির।
এরদোগান বলেন, কাতারের ক্ষেত্রে এক গুরুতর ভুল করা হচ্ছে। তাদের বিচ্ছিন্ন করার এই চেষ্টা অমানবিক এবং ইসলামী মূল্যোধের বিরোধী। এটা কাতারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল। মঙ্গলবার আঙ্কারার ক্ষমতাসীন একে পার্টির এমপিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন। উপসাগরীর দেশগুলোর মধ্যে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের বেশ উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং কাতারকে তারা ওই অঞ্চলের প্রধান মিত্র বলে গণ্য করে। স্বভাবতই কাতারের বিরুদ্ধে অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর অবরোধ আরোপের ঘটনায় তুরস্ক বেশ ক্ষুব্ধ। এদিকে কাতারে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি সামরিক বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার তিন সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দল কাতার গেছে এবং তারা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সমন্বয় করবে।
No comments:
Post a Comment