গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পুরনো বিমানবন্দরের এলিনিকো ক্যাম্প থেকে শত শত শরণার্থীর উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে দাঙ্গা পুলিশ । পরিত্যক্ত একটি ভবনে কোন রকমে আশ্রয় গুঁজে থাকা এসব নিরীহ মানুষকে উচ্ছেদ করায় তারা এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন।
স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা তাদের প্রয়োজনীয় যেটুকু জিনিস পাচ্ছেন তা নিয়েই কোন রকম যেতে বাধ্য হচ্ছেন। দুই বছর আগে এই ক্যাম্পে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। কিন্তু স্বল্প সময়ের নোটিশে ওই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। সে লক্ষ্যে গতকাল পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। খুব ভোরের দিকে বিমানবন্দর এলাকার সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে এ অভিযান চালানো হয়। কোন সাংবাদিককেও সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ক্যাম্প থেকে প্রায় পাঁচশ জনকে অ্যাথেন্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭০ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হতে পারে। রাজধানীর বাইরে পাঠানোর আগে ১৫০ জনকে তাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য অ্যাথেন্সের একটি সরকারি দপ্তরে পাঠানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পরে রাজধানীর বাইরে পাঠানো হবে। এদিকে হঠাৎ করে পুলিশের এই অভিযানের বিরুদ্ধে পুরনো বিমানবন্দরের সামনে বহু মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
এ সময় অবিবাহিত যে ১৫০ জনকে পেট্রো রেলি স্ট্রিটে পাঠানো হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা বলেন, এর মাধ্যমে তারা এসব লোকদের বহিষ্কার করার ফন্দি-ফিকির আঁটছেন । বামপন্থি অ্যাথেন্স সিটি কাউন্সিলর প্রেট্রোস কনসট্যানটিনাউ বলেন, পুলিশ এক্ষেত্রে তাদের পক্ষে যা করণীয় তা-ই তারা করছে। পুলিশ এ ঘটনায় তাদের ক্যাম্পের নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল এলিনিকো শরণার্থীর শিবিরের অবস্থা খুবই করুণ।
শতশত লোক বিভিন্ন তাঁবুর মাঝে গাদাগাদি করে থাকতো। ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না তারা। ছিল না খাবার পানির ব্যবস্থা। যে কারণে তাদেরকে খুব মানবেতর জীবন-যাপন করতে হতো। গত গ্রীষ্মে তাদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ ছিল। ছিল মারাত্মক খাদ্য সংকট। অবশ্য গ্রিক পুলিশের দাবি, এলিনিকোর ৯০ ভাগ শরণার্থীই স্বেচ্ছায় অন্যত্র যাওয়ার জন্য সম্মত হয়। আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment