সাকিব-মাহমুদুল্লাহর রেকর্ড জুটিতে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের ১১৪ ও মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ১০২ রানে ভর করে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৫ উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখে।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শেষ চারে পা রাখার সম্ভাবনাটাও বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪০ ওভারের আগেই ২০০ পেরুনো নিউজিল্যান্ড ৩০০ বা তার বেশি স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু মোসাদ্দেকের স্পিনে ধরাশায়ী হয়ে শেষ ১২ ওভারে মাত্র ৬৭ রান করতে পারে কিউইরা। মোসাদ্দেক ৩ ওভারে তুলে নেন তিন উইকেট যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। ২ উইকেট নেন তাসকিনও।
বোলাররা তাদের কাজটা করার পর ব্যাটসম্যানরা শুরু করেন টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই। কিন্তু প্রথম ওভারেই আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টিম সাউদি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শূন্য রাতে টিম সাউদির শিকার হন তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে সাব্বির রহমানকেও সাজঘরে ফেরান এই বোলার। দলীয় ১২ রানে সৌম্য সরকারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন টিম সাউদি। এর পর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিজের ৩০তম জন্মদিনে দলীয় ৩৩ রানে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় সাকিব-মাহমুদুল্লাহর প্রত্যাবর্তনের লড়াই। এই দুই জনের ২২৪ রানের রেকর্ড জুটিতে ভর করে অবিশ্বাস্য এক জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। সাকিব ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১৫ বলে ১১৪ রান করে দলীয় ২৫৭ রানে যখন বোল্টের বলে বোল্ড হয়েছেন তখণ জয় বাংলাদেশের মুঠোয়। কাজ বলতে বাকি ছিল মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি। উল্রেখ্য, এটি মাহমুদুল্লাহর তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং আগের দুটি করেছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপে।
সেটিও হয়ে যাওয়ার পরে ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোসাদ্দেকের চারে কার্ডিফে আরেকটি ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ১২ বছর আগে এই কার্ডিফেই অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ঠিক সমান ব্যবধানেই নিউজিল্যান্ডকে হারালো টাইগাররা।
No comments:
Post a Comment