ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণের বিষয়ে আশাবাদী জার্মানি ও আর্জেন্টিনা। বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনা সফরকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এ সময় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে মেরকেলের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাকরি। খবর এএফপি।
দক্ষিণ আমেরিকার পাঁচটি দেশের বাণিজ্যিক জোট মারকোসুর। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে ও ভেনিজুয়েলা (১ ডিসেম্বর থেকে সদস্যপদ স্থগিত রয়েছে) মারকোসুরের সদস্য। আর্জেন্টিনা সফরে মাকরির সঙ্গে মারকোসুর ও ইইউর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণের বিষয়ে আলোচনা করেন মেরকেল।
জার্মান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মেরকেল জানান, এক বছর থমকে থাকার পর মারকোসুর-ইইউ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ায় উভয় পক্ষই অত্যন্ত আনন্দিত। বৈঠক শেষে মাকরির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মেরকেল বলেন, যেসব বিষয় জার্মানির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, সেসব বিষয়ে সহযোগিতা লাভের আশায় মিত্রস্থানীয় দেশের সন্ধান করছে জার্মান প্রশাসন।
এদিকে মারকোসুরভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মতের অমিল দেখা দেয়ায় ইইউর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনা এক বছর থমকে ছিল। বর্তমানে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ জোটের অন্যান্য সদস্য দেশ ইইউর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে সম্মত আছে বলে জানান মাকরি। তবে কৃষিবাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতা বিরাজমান থাকায় ইইউ ও মারকোসুরের বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে আশাবাদী মাকরি। তিনি বলেন, ইইউর কৃষিবাজারে বিদ্যমান সংরক্ষণবাদ দূর করতে কাজ করতে হবে মেরকেলকে। তবে মারকোসুরের কৃষিবাজার থেকে সংরক্ষণবাদ দূর করতে ততটা কাজ করতে হবে না বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জি২০-এর প্রেসিডেন্সি জার্মানির কাছে রয়েছে। এক বছর পর এ দায়িত্ব আর্জেন্টিনার হাতে তুলে দেবে জার্মানি। আর্জেন্টিনার হাতে জি২০-এর দায়িত্ব তুলে দেয়ার আগে পরিস্থিতি বুঝতে একদিনের সফরে আর্জেন্টিনা এসেছিলেন মেরকেল।
No comments:
Post a Comment