Social Icons

Sunday, July 30, 2017

দুর্নীতিগ্রস্ত সব বিশ্বনেতারা ------ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা লুলাকে সাড়ে নয় বছরের জেল দিয়েছে আদালত ৷


দুর্নীতি, ঘুস ও ক্ষমতার অপব্যবহার৷ চলুন জেনে নেয়া যাক, গত পাঁচ বছরে কোন কোন বিশ্বনেতার বিরুদ্ধে এ সব অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে ৷

 লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা, ব্রাজিল

লুলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের৷ আলোচিত ‘কার ওয়াশ’ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে এবং একইসঙ্গে ব্রাজিলের এলিটদের মাঝে ঘুসবাণিজ্যের বিস্তারের বিষয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা লুলাকে সাড়ে নয় বছরের জেল দিয়েছে আদালত৷

পৃথিবীর একটি মহাদেশের নাম দক্ষিণ আমেরিকা ।

 দক্ষিণ আমেরিকা
পৃথিবীর একটি মহাদেশের নাম। এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। এর মোট আয়তন ১,৭৮,২০,৯০০ বর্গকিলোমিটার। এর উত্তরে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ। পানামা স্থলযোজক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা পৃথক করা হয়ে থাকে। এছাড়া রয়েছে উত্তর দিকে রয়েছে আট্লান্টিক মহাসাগর। এর উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্যারাবিয়ান সাগর  ও আটলান্টিক মহাসাগর। দক্ষিণে আটলান্টিক-প্রশান্ত মহাসাগরের মিলিত রেখা বরাবর সাগর পারের এ্যান্টার্ক্টিকা মহাদেশ। আর পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। উত্তরে ক্যারিবীয় সাগর থেকে দক্ষিণে হর্ন অন্তরীপ পর্যন্ত মহাদেশটির দৈর্ঘ্য ৭,৪০০ কিলোমিটার। আর পূর্ব-পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ব্রাজিলের পুন্তা দু সেইক্সাস থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত পেরুর পুন্তা পারিনিয়াস পর্যন্ত ৫,১৬০ কিলোমিটার।

এই মহাদেশে ১২টি স্বাধীন রাষ্ট্র আছে। এগুলো হলোআর্জেন্টিনাইকুয়েডর, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, গায়ানা, চিলি, পেরু, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা ও সুরিনাম। এর বাইরে দুটি উপনিবেশ আছে। এর একটি হলো- ফরাসি গায়না ও ব্রিটিশ শাসিত ফকল্যান্ড। যার উপর আর্জেন্টিনার ভৌগোলিক দাবি রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। এছাড়া নেদারল্যান্ডের এবিসি দ্বীপপুঞ্জ এবং ত্রিনিনিদাদ ও টোব্যাগো-কে দক্ষিণ আমেরিকার ভিতরে ফেলা হয়।

প্যাঙ্গিয়া মহা-মহাদেশ
দক্ষিণ আমেরিকার প্রাগৈতিহাসিক অবস্থা
ধারণা করা হয়, পৃথিবীর ক্রমবিবর্তনের ধারায় 
৫৪ কোটি ২০ লক্ষ বৎসর আগে প্যালোজোয়িক (Paleozoic) যুগের সূচনালগ্নে দক্ষিণ আমেরিকা আফ্রিকার সাথে ছিল। এই সময় প্রায় সকল ভূখণ্ডই একত্রে একটি বড় মহাদেশ প্যাঙ্গিয়া তৈরি করেছিল। এরপরমেসোজোয়িক (Mesozoic) যুগের শুরুর দিকে অর্থাৎ ট্রায়াসিক (Triassic) অধিযুগে এই মহাদেশ বিভাজিত হতে থাকে। প্রায় ২০ কোটি বৎসর আগে মহা-মহাদেশটি ভেঙ্গে নতুন রূপ লাভ করে। এর উত্তরাংশকে লাওরেশিয়া এবং দক্ষিণাংশকে বলা হয় গণ্ডোওয়ানা (Gondwana)। প্রায় ১৪ কোটি বৎসর আগে ভারতীয় পাত যুক্ত হয়ে যায় অষ্ট্রেলিয়া, এ্যান্টার্ক্টিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার সাথে। মেসোজোয়িক যুগ-এর অন্তর্গত ক্রেটাসিয়াস (Cretaceous) অধিযুগে (৬ কোটি বৎসর আগে) লাউরেশিয়া ভেঙে যায়। এরপর গোণ্ডোয়ানা চূড়ান্তরূপে ভেঙে যায় ৫ কোটি বৎসর আগে। এরপর ধীরে ধীরে বর্তমান দক্ষিণ আমেরিকা উত্তর আমেরিকার দক্ষিণে যুক্ত হয়ে যায়।

দক্ষিণ আমেরিকায় মানব বসতি:
বেরিং প্রণালী পার হয়ে আমেরিকা মহাদেশে প্রথম মানুষ প্রবেশ করে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০০ বৎসর আগে। পানামা অঞ্চল দিয়ে মানুষ দক্ষিণ আমেরিকায় প্রবেশ করে খ্রিষ্টপূর্ব ৯০০০ বৎসর আগে। এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ বৎসরের ভিতরে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস শুরু করে।






হাইকোর্টের রায়ে কমে গেল গৃহস্থালি গ্যাসের দাম


আবাসিক গ্যাসের (গৃহস্থালি) দাম দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগস্ট থেকে দুই চুলার জন্য ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের।
রবিবার দুপুরে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বিইআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিতাস গ্যাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এর আগে দুই দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এ মূল্যবৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদন করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্ববায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে বিইআরসির পক্ষে আপিলে আবেদন করার পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। পাশাপাশি আপিল বিভাগ রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন।
সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষ হয়। বিইআরসি ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম ৭৫০ টাকা, এটা জুনে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের দাম ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৫০ টাকায়।
অন্যদিকে মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয় ৩৮ টাকা, যা জুনে বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ টাকায়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিটপ্রতি খরচ বেড়ে হয় ১৪.২০ টাকা, জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.৪০ টাকা।
এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে ১ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, সচিবসহ তিনজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ফলে ১ জুন থেকে ৯০০ টাকা ও ৯৫০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়। তবে প্রথম দফায় বাড়িয়ে গত ১ মার্চ থেকে এক চুলা ৭৫০ টাকা ও ডাবল চুলা ৮০০ টাকা মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়। পরে হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত হওয়ায় দ্বিতীয় দফায়ও দাম বৃদ্ধি কার্যকর হয়।

জার্মানিতে নাইটক্লাবে গুলি, নিহত ২

জার্মানির কনস্ট্যান্স শহরে নাইটক্লাবে গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছে। রবিবার ম্যাক্স স্ট্রমেয়ার-স্ট্রাসেতে অবস্থিত গ্রে ক্লাবে গুলিতে একজন নিহত হয়, পরবর্তীতে পুলিশের গুলিতে আহত বন্দুকধারী হাসপাতালে নিহত হয়।
 
গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৩ জন।
 
কয়েকটি জার্মান গণমাধ্যমে বলা হয় নিহত দ্বিতীয় ব্যক্তি বন্দুকধারী নয় বরং ক্লাবের অতিথি। এসডব্লিউআর জানিয়েছে, দারোয়ান বন্দুকধারীকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে অটোমেটিক পিস্তল দিয়ে বন্দুকধারী গুলি করে। হামলায় একজন পুলিশ আহত হয়েছে তবে তার আঘাত জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো নয়।
 
পুলিশ ও প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স ও পুলিশ হেলিকপ্টার নিয়োজিত করা হয়েছে। তবে এখনো জানা যায়নি হামলাকারীর কোনো সহযোগী ছিল কি না। এদিকে পুলিশের মুখপাত্র এন-টিভিকে জানিয়েছে, হামলাকারী একজন ইরাকি নাগরিক তবে শরণার্থী নয়। ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে জার্মানিতে আছে। তবে হামলার কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। বিবিসি।

মেক্সিকোয় পরিত্যক্ত ট্রাক থেকে মধ্য আমেরিকার ১৭৮ নাগরিক উদ্ধার

মেক্সিকোয় পরিত্যক্ত একটি ট্রাক থেকে শনিবার মধ্য আমেরিকার বিপুল সংখ্যক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ রাজ্যের তানতিমা শহরে পরিত্যক্ত ওই ট্রাকের মধ্যে মোট ১৭৮ জনকে পাওয়া গেছে। 
 
এদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ট্রাকের আরোহীরা শনিবার অল্পের জন্য মর্মান্তিকভাবে মারা যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। পাচারকারীরা তাদের পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে কয়েকজন গাড়িটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা স্থানীয় মানুষের কাছে সহায়তা চাইলে তারা তাদের খাবার ও পানি দেয়।
 
উদ্ধারের পর তাদেরকে অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। মেক্সিকোর এক সামরিক সূত্র জানিয়েছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশই প্রাপ্ত বয়স্ক। তবে ট্রাকটিতে কয়েকজন শিশুকেও পাওয়া গেছে। এএফপি।

সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ছবি শেয়ার করে বিতর্কে প্রেসিডেন্টের মেয়ে

সোশাল মিডিয়াতে কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্টের মেয়ে আলিয়া শাগিয়েভা শিশুকে বুকের ‍দুধ খাওয়ানোর ছবি শেয়ার করে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, আলিয়া শাগিয়েভা শুধু অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় তার শিশু সন্তানকে স্তন্য পান করাচ্ছেন।
 
আলিয়া শাগিয়েভা এই ছবিটি সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন গত এপ্রিল মাসে। তার ক্যাপশন হিসেবে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সন্তানকে যখন ও যেখানে খাওয়ানো দরকার, আমি তাকে সেখানে ও তখনই খাওয়াবো।’ ছবিটি পোস্ট করার সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট কন্যা ও ছবিটির সমালোচনা শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অনৈতিক আচরণের। এই অভিযোগ ও সমালোচনার মধ্যেই তিনি ছবিটি সরিয়ে নেন।
 
পরে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া শাগিয়েভা বলেছেন, তার দেশের সংস্কৃতিতে নারীকে যৌনতা হিসেবেই দেখা হয় বলে ছবিটি নিয়ে এরকম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে যে শরীর দেওয়া হয়েছে সেটি অশ্লীল নয়। এর অনেক কাজ রয়েছে। আমার শিশুর শারীরিক চাহিদা মেটাতে এর ভূমিকা রয়েছে। এখানে শুধু যৌনতার কিছু নেই।’
 
শুধু যে সোশাল মিডিয়াতেই তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন তা নয়, তার বাবা মাও এই ছবি পোস্ট করার ঘটনাটি মেনে নিতে পারেন নি। কিরগিজ প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েফ এবং তার স্ত্রী রাইসাও ছবিটির পোস্ট করা নিয়ে খুশি নন। আলিয়া বলেন, ‘তারা আসলেই ছবিটি পছন্দ করেন নি। এবং এটা বোধগম্য কারণ তরুণ প্রজন্ম তাদের পিতামাতার চাইতে কম রক্ষণশীল।’
 
আলিয়া শাগিয়েভা সোশাল মিডিয়াতে খুবই সক্রিয়। নিজের শিল্পকর্মও তিনি সেখানে পোস্ট করেন। পোস্ট করেন নিজের হাতে আঁকা নিজের, তার স্বামীর এবং সন্তানের প্রতিকৃতি বা পোট্রেট। তিনি বলেন, ‘আমি যখন আমার শিশুকে স্তন্যপান করাই তখন মনে হয় যে আমি তাকে সেরা জিনিসটাই দিচ্ছি, যেটা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব। লোকজন যা বলাবলি করে তারচেয়েও আমার শিশুর যত্ন নেওয়া এবং তার চাহিদা মেটানোই আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ বিবিসি।

ভারতের গুজরাটে একটি জাহাজ থেকে ১৫০০ কেজি হেরোইন আটক করেছে দেশটির কোস্টগার্ড।


ভারতের গুজরাটে একটি জাহাজ থেকে ১৫০০ কেজি হেরোইন আটক করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। এনডিটিভি জানিয়েছে, আটক হওয়া হেরোইনের বাজারমূল্য সাড়ে তিন হাজার কোটি রূপি যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার সমতূল্য।
 
ভারতীয় কোস্টগার্ডের সমুদ্র পাবক জাহাজ শনিবার গুজরাট উপকূলের একটি মার্চেন্ট জাহাজ থেকে এই হেরোইন উদ্ধার করে। জাহাজটিকে রবিবার গুজরাটের পোরবন্দরে নিয়ে আসা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কোস্ট গার্ড, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, পুলিশ, কাস্টম, নৌবাহিনী ও অন্যান্য এজেন্সিগুলো তদন্ত করছে।
 
জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জাহাজটি আটক করা হয়। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি এখন পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একক মাদক আটকের ঘটনা। এনডিটিভি।

বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে ।

বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন, জলাশয় ভরাট করে অনেক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, এতে ঝুঁকির পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। ভবন যদি ভূমিকম্প সহনীয় না হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বেড়ে যাবে।
 
রবিবার রাজধানীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুইদিনব্যাপী এই কনভেনশনের আয়োজন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
 
ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক-এর উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বর্জ্রপাত নিয়ে আমরা এতদিন সচেতন ছিলাম না। কিন্তু সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তাই বজ্রপাতকে দুর্যোগের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
 
তিনি বলেন, দেশের ৬১ শতাংশ ভূমি ও ৭১ শতাংশ মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ছাড়া ৩২ শতাংশ ভূমি ও ২৭ শতাংশ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে ৭০ শতাংশ ভূমি ও ৮০ শতাংশ মানুষ।
 
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ১৯৯২ সালের মহাপরিকল্পনাটি যুগোপযোগী করা, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ভল্যানটিয়ার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী, ভবন নির্মাণে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে অনুসরণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞদের সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন দেশের বিশিষ্ট এই অধ্যাপক।
 
দুইদিনব্যাপী কনভেনশনের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে ছিল ছয় ঋতুর দেশ। এখন আর ছয় ঋতু নেই। শীতের সময় শীত নেই, গরমের সময় গরম নেই। আগাম বৃষ্টি, আগাম বন্যা, আগাম শীত। কোনো জিনিসে আর তাল মেলে না। কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায় সেজন্য এই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় কনভেনশন জানিয়ে দুর্যোগ ও ত্রানমন্ত্রী বলেন, এতে প্রায় ২ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করছেন। সময়ের সঙ্গে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থাপনাকে তাল মেলাতে অংশগ্রহনকারী সবার মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে। এর আলোকে আমরা আগামী দিনের পরিকল্পনা ঢেলে সাজাবো।

Saturday, July 29, 2017

উরুগুয়ের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়েছে।

উরুগুয়ের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের আইনের চূড়ান্ত ধাপে এ বিক্রি শুরু হলো। ফলে বিশ্বের প্রথম প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির বৈধতাদানকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ছোট দেশটি।
উরুগুয়ের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়েছে। গাঁজা কেনার জন্য নিবন্ধন করছেন এক নারী। ছবি : এএফপি

স্থানীয় সময় বুধবার থেকে প্রকাশ্যে ওষুধের দোকানে মোড়কজাত গাঁজা বিক্রি শুরু হয়।
দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট তাবারে ভ্যাজকুইজ গত সপ্তাহে গাঁজা বাণিজ্যিকরণের ঘোষণা দেন।
প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ১৬টি ওষুধের দোকানকে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সারা দেশে গাঁজা পৌঁছে দিতে সরকার বড়ো ওষুধের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখনো চুক্তির কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
তবে যত্রতত্র  গাঁজা বিক্রি করা হবে না। এ আইনের আওতায় ওষুধের দোকান থেকে গাঁজা কিনতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হবে। আর নিবন্ধনকারীরাই কেবল গাঁজা কিনতে পারবেন।
সরকারের দেওয়া তথ্য মতে, চার হাজার ৯৫৯ জন এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশের বয়সই ৩০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে।
২০১৩ সালের আইনের আওতায় তিন ধাপে ওষুধের দোকান থেকে এ নিবন্ধন ফর্ম ছাড়া হয়। এতে প্রথম ধাপে ছয় হাজার ৯৪৮ জনের বেশি গ্রাহক বাড়িতে বসে গাঁজা সেবনের জন্য নিবন্ধন করেন এবং ৬৩টি স্মোকার্স ক্লাবও অনুমোদন নেয়। 
ওষুধের দোকানে বিক্রির জন্য মাত্র দুটো কোম্পানিকে সরকারিভাবে গাঁজা উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ গাঁজা উৎপাদন করতে পারবে না।
গত সোমবার উরুগুয়ের ন্যাশনাল ড্রাগ কাউন্সিল (এনডিসি) গাঁজার প্যাকেট দেখতে কেমন হবে তার সম্ভাব্য ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিল। সাদা ও নীল মোহরযুক্ত ছোট প্যাকেটগুলো দেখতে অনেকটা কনডমের প্যাকেটের মতো।
--------------------------------------------------------------------------------------
উরুগুয়ে থেকে জেজিওনারা দয়েস সান্তস অলিভেইরা 
অনুবাদ -খায়রুল

বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বিরুদ্ধে এক তরুণী ও তাঁর মাকে নির্যাতনের অভিযোগ ।

গুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার সেই তরুণী ও তাঁর মা। ছবি : এফএনএস
বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ একাধিকজনের বিরুদ্ধে এক তরুণী ও তাঁর মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন ওই তরুণী।
আজ শনিবার বগুড়া সদর থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছেন তরুণীর মা। পরে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকারসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বোন আশার স্বামী তুফান সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অপবাদে ওই তরুণী ও তাঁর মাকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়। রুমকি ও আশাসহ আরো ১০-১২ জন সহযোগী তাঁদের নির্যাতন করেন। পরে নাপিত ডেকে এনে এলাকার সবার সামনে মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। মারধরে আহত অবস্থায় তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ  কথা বলেন ওই তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসায় তো তালা দিছিল আশা আপু, আমার বাসায়, নানুর বাসায়, মামার বাসায়। ঢাকায় থেকে শুনলাম। তারপর রুমকি মামি আমাদেরকে বলতেছে, তোদেরকে মারলে আমার কিচ্ছু হবে না। আমি তিনটা ওয়ার্ডের কমিশনার, পুলিশকে টাকা খাওয়ালেই শেষ, তোরা কী ভাবতেছিস। আবার আশা আপু আমাকে ফোন করে বলে, এসিড মারব। অনেক ম্যাসেজ লিখছে জঘন্য ভাষায়, আছে এখনো ম্যাসেজগুলো। তো আমি তারপর, আমাদের তো আসতে হবে এখানে, মোকাবিলা তো করতেই হবে।’
তরুণী বলেন, ‘সবাই বলল, আস, রুমকি একটা বিচার করবেনি। তো গেলাম, আমরা সরাসরি ঢাকা থেকে গিয়ে রুমকি মামির বাসায় গিয়ে উঠলাম। পা ধরে আমি সব দোষ আমার ঘাড়ে নিয়ে ক্ষমা চাইছি, ক্ষমা করল না। বলতিছে, আশা আসুক। আশা কী বলল, তারপর বিচার হবে। আশা আপু গুণ্ডা-পাণ্ডাদের নিয়ে আসল, আশা আপু অনেক মারধর করল। আশা আপুর মা, রুমকি মামি অনেক মারধর করছে। ওরা করছে আবার মুন্না ওদের বাসার কাজের ছেলে, সে আমার বেনিটা আগে কেটে দিল। তারপর তার মা আমার চুল ছোট ছোট করে কেটে দিল, মামি কেটে দিল। কেটে দিয়ে নাপিতকে ডেকে এনে একদম নাড়ু (ন্যাড়া) করে দিল। আমাকে করছে ভালো কথা, আমার মাকেও একদম নাড়ু করে দিছে!’
‘ওদের চিন্তা-ভাবনা যে, আমার ওর (আশা) বরের সঙ্গে রিলেশন (সম্পর্ক), যার জন্যে ওরা এত কিছু করে ফেলল। আমার পুরা জীবনটাই নষ্ট করে ফেলল। এখন আমি চাচ্ছি, যার জন্য আমার এত বললাম (বদনাম) হয়ে গেছে, এখন তো আর কিুছু করার নাই। সব কিছু হয়ে গেছে, পুরা বাংলাদেশ জেনে গেছে। ও (আশার স্বামী) এখন আমাকে বিয়ে করুক আমার কথামতো। ও তো বিয়ে করার জন্য রাজি, কিন্তু আমি যা বলব, সেই হিসেবে বিয়ে করতে হবে, তাহলে ও ছাড়া পাবে।’
নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী আরো বলেন, ‘এখানে আমি শুনলাম, আমাকে যখন মারধর হচ্ছিল, তারপর নাকি পুলিশকে ও (আশার স্বামী) পাঠাই দিছে। কিন্তু পুলিশ একটু দেরি করছে, তখন তো আমরা বাসায় আসতেছি। ২টার সময় গেছি, চার ঘণ্টা ধরে আমাদের নির্যাতন হয়েছে।’
‘পাড়ার সবার সামনে তো মারধর ও নাড়ু করে দিল। তারপর আমাকে একটা রুমের ভেতর তুলল, ওখানে ১০-১২টা ছেলে ছিল, আশা ছিল আর রুমকি মামি ছিল। তো দিপু এসে আমার মাথায় অনেকগুলো বাড়ি দিছে (মেরেছে) নাড়ু অবস্থায়। আমি একদম বসে পড়েছি, আশা আপু আবার নাকে লাত্থি দিছে, খুব ব্যথা। তারপর বসে বসে রুমকি মামি আমার …হাত দেয়। হাত দিয়ে ছেলেদেরকে বলতিছে, তোরা সবায় কী করবি কর। কিন্তু ছেলেরা কিছু করেনি ওখানে। ওখানে শুধু আমাকে সব জিজ্ঞাসা করতেছিল, আমি সব বললাম।’
তরুণী বলেন, ‘তারপর ওখানে আমাদের মা-মেয়ের জবরদস্তি সাইন (স্বাক্ষর) করে নিল সাদা পেপারে। এখন সবাই বলতেছে, পাড়ার সবার সাইন করে নিচ্ছে।  আমি তো সব দোষ আমার ওপর নিয়ে মাফ চাইছি। ওদের তো উচিত ছিল আমাকে মাফ করা একবার। সব যদি আমারই দোষ হইত, এখন ওরা পালাইল কেন? আমি চাই এটার একটা বিচার হোক।’      
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামি তুফানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।

মৃত্যুর আগে মানুষ কী দেখে ! গবেষণা যা বলছে


মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর ভাসায় “ জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে? ”
মৃত্যু! ছোট্ট একটি শব্দ। এই সেই শব্দ, যা আমাদের নিয়ে যায় অজানা কোন রাজ্যে, যার সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানিনা। সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে কত না কষ্ট! যখন মৃত্যুর ডাক এসে যায়, প্রিয়তমা স্ত্রী,  আদরের সন্তানেরা, সবচাইতে আপন বাবা-মা কেউ তাদের বন্ধন দিয়ে ধরে রাখতে পারেনা আমাদের। কত সুন্দর করে আমরা সাজাতে চেয়েছি আমাদের জীবন, কত পরিকল্পনা ছিল; সব মিলিয়ে যায় মাত্র দুটি অক্ষরের এই শব্দের দ্বারা। আমরা প্রতিদিন এই মৃত্যুকে কত আপনভাবে নিজের সাথে বয়ে বেড়াই আমরা নিজেরাও জানিনা।
মৃত্যুর আগে কী হয় মরণাপন্ন মানুষের সঙ্গে ? কী ভাবেন তাঁরা ? কাদেরই বা দেখতে পান চোখের সামনে ? এ নিয়ে গবেষণা চলছে দীর্ঘদিন ধরে । কিন্তু, মৃত্যুর আগে মানুষের সঙ্গে কী হয়, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে কোনও তথ্য মেলেনি । তবে, ক্যানিসিয়াস কলেজের একদল গবেষক এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন । যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও ।
ক্যানিসিয়াসের গবেষকরা দাবি করেছেন, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকে বা কখনও কয়েক ঘন্টা আগে, মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের দেখতে পান । অচেতন অবস্থাতেই অনুভব করতে পারেন তাঁদের অস্তিত্ব । অর্থাত, মৃত্যুর যত কাছে এসে মানুষ পৌঁছন, তত বেশি করে তাঁরা কাছের মানুষদের দেখতে পান ।
শুধু তাই নয়, ক্যানিসিয়াসের গবেষকরা এ বিষয়ে প্রমাণ দিতে সম্প্রতি একটি পরীক্ষা করে দেখেন । সেখানে একটি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকজন মরণাপন্ন মানুষকে তাঁরা রাখেন । তাঁদের দাবি, ওই মানুষরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, তাঁদের শেষ সময় যত এগিয়ে আসছে, তত বেশি করে কাছের মানুষদের দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা । তারমধ্যেই আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবরা রয়েছেন । অনেকে আবার জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই তাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের দেখতে পাচ্ছেন ।
যদিও, ক্যানিসিয়াসের গবেষকদের দাবি মানতে অস্বীকার করেছেন অনেকেই । তাঁদের দাবি, মৃত্যুর আগে মানুষের সঙ্গে কী হয়, কেমন হয় তাঁর অনুভূতি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে ঠিকই । কিন্তু, এখনও এ বিষয়ে সঠিকভাবে মেলেনি কোনও তথ্য ।
ফাইল ছবি
সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কঙ্কালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis; রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

শট দিতে গেলে আমিতো লজ্জা পেতাম, কিন্তু ডিপজল ভাই আরো বেশি পেতেন: মৌসুমী


দেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। অনেকগুলো সুপার ডুপার হিট হওয়া সিনেমার নির্মাতা তিনি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেশ আয়োজন করেই শুরু করেছিলেন ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর শুটিং। বেশ কয়েক লটে সিনেমাটির দৃশ্যায়ন সমাপ্ত হয়েছে। ডাবিং এর কাজও প্রায় শেষের পর্যায়ে।
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খল-অভিনেতার খোলস পাল্টানো মনোয়ার হোসেন ডিপজল। লম্বা সময় বিরতি কাটিয়ে এই ছবির মাধ্যমে তিনি আবার চলচ্চিত্রে ফিরেছেন। তার বিপরীতে আছেন ঢাকাই ছবির প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। অন্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী ও বিদ্যা সিনহা মিম। আরো অভিনয় করেছেন আহমেদ শরীফ, দিলারা, অমিত হাসান, অরুণা বিশ্বাস, নাদির খান, ববি, জ্যাকি আলমগীর, শবনম পারভীন, ইলিয়াস কোবরা, সুব্রত প্রমুখ। প্রযোজনা করছে রাজেশ ফিল্মস।
এদিকে এ সিনেমার ডাবিং স্টুডিওতে নিজের সেলুলয়েডে দৃশ্য দেখে অবচেতন মনেই ‘লজ্জায় লাল হয়েছেন মৌসুমী’। ঘটনাটি ঘটেছে সাউন্ড কমপ্লেক্সে। হালকা আলোয় মৌসুমী বসে ছিলেন। এখানে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ সিনেমার ডাবিং করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর প্রযোজক নাদের খান সিনেমাটির একটি গান দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সিনেমাটির নায়িকা মৌসুমী এ নিয়ে বেশ আপত্তি তোলেন।
কিন্তু কেন? মৌসুমী জানান, গানটি তার সামনে দেখালে তিনি খুব লজ্জা পাবেন। তিনি চলে যাওয়ার পর গানটি দেখানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু উপস্থিত সবার অনুরোধে একসঙ্গে গানটি যখন শুরু করা হল তখন মৌসুমী লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রেখেছিলেন। গানটিতে মৌসুমীর সঙ্গে নাচছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গানটি দেখার পর উপস্থিত সবাই হাততালি দেন এবং প্রশংসা করেন।
এদিকে লজ্জা পাওয়ার কারণ হিসেবে মৌসুমী বলেন, গানটির শূটিং করতে গিয়ে আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। আর ডিপজল ভাই আরো বেশি লজ্জা পেয়েছিলেন। বাস্তবে উনি আসলে অনেক লাজুক। তিনি আমার সঙ্গে শট দিতে গেলেই লজ্জা পেতেন। কিন্তু একা শট দিতে কোনোরকম লজ্জা পেতেন না বরং খুব ভালো পারফরম্যান্স করেন।
‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এ মৌসুমীকে একজন প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। অটিস্টিক ভাই ও একমাত্র বোনকে নিয়ে যার জীবনযুদ্ধ। আর তার স্বামীর চরিত্রে থাকছেন ডিপজল।
উল্লেখ্য, রাজেশ ফিল্মস প্রযোজিত এ সিনেমার কাহিনী লিখেছেন নাদের খান। সংলাপ লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু। এখন ছবিটি মুক্তির পালা।

৭৮ হজযাত্রী রেখেই ঢাকা থেকে চলে গেল সৌদি বিমান

ঢাকা থেকে মোহাম্মদ আনিসুর রহমান --------
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭৮ জন হজযাত্রীকে রেখে সৌদি এয়ারলাইনের নির্ধারিত দুটি ফ্লাইট চলে গেছে। নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোর উড্ডয়নের সময় ছিল সন্ধ্যা ৬টা ও সোয়া ৭টায়।শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে রেখে যাওয়া হজযাত্রীরা জনপ্রতি ৩০০ ডলার করে জরিমানা দিলে তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করবে সৌদি এয়ারলাইন্স।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ছয়টার ফ্লাইটের হজযাত্রীরা বিকেল চারটার মধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিমানের ভেতর লাগেজ বা ব্যাগপত্র পরিবহন করবেন কি না—এ নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন।
সাউদিয়া এয়ার্যলাইন্সের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে হজযাত্রীরা আসতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সের কোনও ত্রুটি নেই। হজ এজেন্সিগুলোকে আগেই জানানো হয়েছিল ফ্লাইট ছাড়ার ৫ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে হবে। ফ্লাইট মিস করা যাত্রীরা জনপ্রতি ৩০০ ডলার করে জরিমানা দিলে পরবর্তী সময়ে তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কাজী ইকবাল করিম বলেন, ‘এর কারণ আমরা জানি না। তবে রেখে যাওয়া যাত্রীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের হজ ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।’



বাংলাদেশে মুক্ত আসরের সাত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ।

ঢাকা থেকে আমাদের ফটো সাংবাদিক  - মোঃ নুর হুসাইন 



  1.  রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠন মুক্ত আসরের উদ্যোগে সাত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
  2. শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে মুক্তিযোদ্ধাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এভাবে সম্মাননা দেয় মুক্ত আসর। 

সম্মাননা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা হলেন লেখক ও গবেষক মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া, এ জেড এম সাদেকুর রহমান খান, পদ্মা রহমান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক দেবু চৌধুরী, আবদুল মজিদ, মিঞা মুজিবুর রহমান ও তানেস উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়ে যেখানে নেশায় আসক্ত, সেখানে কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণের গড়া মুক্ত আসরের এই সম্মাননা সত্যিই আমাদের আলোড়িত করে। মুক্ত আসরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি, এটা যেন প্রতিবছর অব্যাহত থাকে।’

 
মুক্তিযোদ্ধা পদ্মা রহমান বলেন, ‘নারী হওয়ার কারণে আমাকে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করার সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছি, যাঁরা তিন-চারবার আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে আবার যুদ্ধ করেছেন। আজকের এই তরুণদের দেখে আমার তাঁদের কথা মনে পড়ছে। তরুণদের এ রকম উদ্যোগ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে আরো উজ্জ্বল করে।’
মুক্ত আসরের সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট, বই, স্যুভেনির তুলে দেন মেজর জেনারেল (অব.) মাসুদুর রহমান বীরপ্রতীক, শিশুসাহিত্যিক ও শব্দসৈনিক আখতার হুসেন, মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল ও বিদ্যাপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান খোকা।

‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌসুমী মৌ।



ফটো সাংবাদিক  - মোঃ নুর হুসাইন 

নেইমারকে মনের কথা শোনার পরামর্শ রোনালদিনিয়োর

সর্বকালের সেরা ম্যারাডোনা; পেলেকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় মেসি!

বর্তমান যুগে যেমন রোনালদো আর মেসির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলে; তেমনি সেই সময় লড়াই চলত ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার দুই কিংবদন্তি পেলে আর ম্যারোডোনার মধ্যে। কার চেয়ে কে বড় ফুটবলার- এই বিতর্কের কোনো শেষ নেই। তবে ফুটবল সাময়িকী ফোর ফোর টু নির্বাচন করে ফেলল সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলারকে। এই তালিকায় চমক জাগিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি!
সর্বকালের সেরার প্রথম তিনে আর্জেন্টিনার জয়জয়কার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনা এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন। আর ব্রাজিলের হয়ে ৩টি শিরোপাজয়ী পেলে চলে গেছেন তিন নম্বরে! দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন এ যুগের ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি! মেসির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী পর্তুগাল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো স্থান পেয়েছেন ৫ নম্বরে!
মূলতঃ সরাসরি যেসব ফুটবলারের খেলা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের, তাদের থেকে সেরা ১০০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর ফোর টু। সেখান থেকে বাছাই করা হয়েছে সেরা ১০ জনকে। এতে অবশ্য কে কত ট্রফি জিতেছেন, ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য—এসব বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।  
এই তালিকা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেবে তা বলাই বাহুল্য। এমনটা অনুমান করেই হয়তো ফোর ফোর টু শুরুতেই স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের এ তালিকা অনেকের পছন্দ হবে না। পাঠকদের নিজেদের পছন্দের কথাও জানাতে বলে দিয়েছে তারা। এরপরও কি বিতর্ক থেমে থাকবে?

উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর সাধ্য নেই যুক্তরাষ্ট্রের!

যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পারমাণবিক ক্ষেপাণাস্ত্র হামলার সামর্থ অর্জনের দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।  কিন্তু সমাজতান্ত্রিক এ দেশের হামলা থেকে আত্মরক্ষা করার মতো প্রস্তুতি ও সাধ্য নেই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকার।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া সাফল্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির নেতা কিম জং উন বলেছেন, এ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের পুরোটাই এখন তাদের হামলার আওতায় এসে গেছে।

বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বা ক্ষমতা যা-ই হোক না কেন- এতে কোন সন্দেহ নেই যে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে উন্নতি করে চলেছে।

তাদের বরাবরের লক্ষ্য ছিল এমন একটি পারমাণবিক বোমা বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা-যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেকে একটা হুমকির মুখে ফেলা যায়।

প্রশ্ন হলো: যুক্তরাষ্ট্র কি এরকম একটা আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে?
 
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ চালাতে হলে উত্তর কোরিয়াকে এমন একটি ছোট আকারের পরমাণু বোমা বানাতে হবে-যা ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বসানো যাবে, এবং তা নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যের ওপর নেমে আসতে পারবে।

উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেত্রে ঠিক কতটা দক্ষ হয়েছে তা এখনো অজানা, কিন্তু সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতে থাকতেই তারা এ সক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আত্মরক্ষার প্রযুক্তি গড়ে তুলতে বিপুল অর্থ খরচ করেছে।

আকাশ জুড়ে তারা একটি উপগ্রহ ব্যবস্থা তৈরি করেছে- যাতে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় কোন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলেই তারা তা টের পেয়ে যাবে।

এরকম কোন ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দেবার ব্যবস্থাও এখন সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা বলেন, এ ব্যবস্থা খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়।


ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপারটি পর্যালোচনা করছে, নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু মনে করা হয়, এগুলো সংখ্যায় খুব বেশি হবে না।

১৯৮০র দশকের রুশ-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার তুলনায় সাম্প্রতিককালে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে নাটকীয়ভাবে।

ইসরাইল এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অগ্রগতি ঘটিয়েছে। তারা মার্কিন সহায়তায় যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলার জন্য যে ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম এবং রাডার ব্যবস্থা তৈরি করেছে-তা দারুণ কার্যকর বলে দেখা গেছে।

কিন্তু একটা পূর্ণমাত্রার আক্রমণের বিরুদ্ধে এটা কতটা কাজ করবে তা এখনো অজানা।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইন্টারসেপ্টর মিসাইল বসিয়েছে-যা দিতে প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করা যাবে।

অন্য দিকে মার্কিন কম্যান্ডাররাই স্বীকার করেন, তাদের নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র নয়। বড় আকারের আক্রমণের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে।

বিশ্লেষকদর মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে তিনি কি করবেন। কারণ সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত গবেষক মেলিসা হ্যানাম তার বিশ্লেষণে লিখেছেন: নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩রা জুলাইয়ে নিক্ষিপ্ত চাইতে বেশি দূরে এবং উঁচুতে উঠেছিল। তাই মনে করা হয় যে এটা যুক্তরাষ্ট্রের আরো ভেতরে আঘাত করতে পারবে।

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ছিল ১০ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। তার মানে হলো, এটাকে যদি উত্তর কোরিয়ার রাসোন শহর থেকে ছোঁড়া হয়-তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকুলের নিউইয়র্ক শহরও এর আওতার মধ্যে পড়বে।

নেইমারের বদলে ডি মারিয়া?

বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার পিএসজিতে যাবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তাই বলে গুঞ্জন থেমে নেই। ডালপালা ছড়াচ্ছে গুজব।

এবার শোনা যাচ্ছে, যদি নেইমার পিএসজিতে পাড়ি জমান, তাহলে তার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে বার্সা পিএসজির উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে উড়িয়ে আনবে।

নেইমারের শূন্যস্থান পূরণে বার্সার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরও রয়েছেন পাওলো দিবালা এবং ফিলিপ্পে কুতিনহোও। কিন্তু ডি মারিয়ার নাম উঠে এসেছে সবচেয়ে জোরালোভাবে। দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।

এদিকে মোনাকো তাদের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের দাম ঠিক করে দিয়েছে। ১৮০ মিলিয়ন ইউরো তার ট্রান্সফার ফি। টিনএজ ফরোয়ার্ড এমবাপ্পের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ।

এখন এই দামে যে কোনো ক্লাব তাকে কিনতে পারে। ওয়েবসাইট।

সৌদি থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরার আহ্বান রাষ্ট্রদূতের


সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। সৌদি আরবের দাম্মামে ‘সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ ও বাংলাদেশ সোসাইটি’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অবৈধ কাজে জড়িত হয়ে দেশের সম্মান ক্ষুণœ করবেন না। অবৈধ প্রবাসীরা দেশে ফেরত গেলে আবার সৌদি আরবে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন।’

গোলাম মসিহ বলেন, ‘প্রবাসীরা যেন হয়রানি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারেন, তার জন্য দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে।’ রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে দাম্মামের দুটি বড় কোম্পানি ইসাদ ও ইমদাদের মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মী নেয়ার আগে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘এর ফলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়।’

মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মাদ সারওয়ার আলম, প্রথম সচিব মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান, দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মাদ ফকরুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় সহোদরসহ ৬ বাংলাদেশি নিহত

বাম থেকে এরশাদ বেপারী (২৮), হুমায়ন বেপারী (২৩), মিরাজ মন্ডল (২২), কোব্বাত খান (২৩)
বাম থেকে এরশাদ বেপারী (২৮), হুমায়ন বেপারী (২৩), মিরাজ মন্ডল (২২), কোব্বাত খান (২৩)

সৌদি আরবে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় সহোদরসহ ৬ বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

সৌদি সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দাম্মাম ও আলজুব আরা শহরের মাঝামাঝি স্থানে দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন সৌদি নাগরিকও নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশে নিহতের স্বজনরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ৪ জন ও ফরিদপুর সদর উপজেলার ২ জন রয়েছে।

নিহতরা হচ্ছেন- গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের পূর্ব উজানচর দরাপের ডাঙ্গী এলাকার ওহেদ বেপারীর ছেলে এরশাদ বেপারী (২৮) ও হুমায়ন বেপারী (২৩), দক্ষিণ নাছের মাতব্বর পাড়ার ওসমান খানের ছেলে কোব্বাত খান (২৩) ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর দৌলতদিয়া আনছার মাতব্বর পাড়ার ছাহের মন্ডলের ছেলে মিরাজ মন্ডল (২২)। অপর দুইজন হচ্ছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আরান দেওয়ান ডাঙ্গীর আরান দেওয়ানের ছেলে ইদ্রিস দেওয়ান (৩২) ও সদরপুর উপজেলার হাজীগঞ্জ এলাকার শহীদ বলে জানা গেছে।

এরা সকলেই নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

গোয়ালন্দের স্বজনরা বাংলাদেশ সময় শনিবার দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন। এরপর থেকেই চলছে নিহতদের পরিবারগুলোতে শোকের মাতম।

শনিবার সরেজমিন পূর্ব উজানচরের নিহত দুই ভাই এরশাদ ও হুমায়নদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনদের আহাজারীতে পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির জানান, এ দুর্ঘটনার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা নিহতের পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে শোকাহত স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, তার এলাকার নিহত যুবকের লাশ দেশে আনার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে তিনি স্বজনদের সহযোগিতা করছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান হাবীব জানান, তিনি নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। লাশগুলো দ্রুত দেশে আনার ব্যাপারে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates